প্রত্যয়ের সূর্যোদয় (হার্ডকভার)

ইউসুফের জীবনে বয়ে চলছিল আশা ও আনন্দের প্লাবন। সে বি.এ. পরীক্ষার দিন গুণছিল। কখনো ফাহমিদার বাবা-মার কাছেও চিঠি লিখতো। প্রত্যেকটা চিঠিতে কিছু শব্দ এমন থাকতো যার অর্থ কেবল ফাহমিদাই বুঝতে পারতো। পরীক্ষার দিন যতই এগিয়ে আসছিল ততই তার প্রস্তুতিতে বেশীরভাগ সময় কেটে যাচ্ছিল।
পরীক্ষার শেষ প্রশ্নপত্রটির জবাব লেখার পর নিজের বাড়িতে ফিরে না গিয়ে সোজা বিলকিসের কাছে পৌঁছে গেলো এবং বললো, "চাচীজান! আমার শেষ পরীক্ষাটিও বেশ ভালো হয়েছে। আমি সামান্য বোকামী করে ফেলেছি। পরীক্ষার দুমাস আগে থেকে মেহনত শুরু করিনি। নয়তো ফার্স্ট ডিভিশান ছিল একদম অবধারিত। তবুও হায়ার সেকেন্ড ডিভিশানটা হাত ছাড়া হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে আমার আসল শিক্ষা শুরু হবে কলেজের পাঠ খতম করার পর।
চাচীজান! সিন্ধু থেকে আমি আহমদ খান সাহেবের টেলিগ্রাম পেয়েছি। তিনি এখনই সেখানে যাবার তাগিদ দিয়েছেন। সিন্ধুর জঙ্গলে শিকার করা ছাড়া করাচী ভ্রমণের কর্মসূচীও বানানো হয়েছে এবং তারপর সেখান থেকে বেলুচিস্তানে মারখুর শিকারেও যাওয়া হবে। আচ্ছা বেটা! সত্যিই কি মারখুর কোনো সর্পভুক জন্তু?