শস্যকন্যা (হার্ডকভার)

বাংলাদেশের প্রধান নদী মেঘনা। হিমালয় অববাহিকার পাহাড়ের ভেতর শিরা উপশিরার মতো ছড়ানো অসংখ্য নালা আর ঝর্ণা। ঋষিদের জটার মতো পর্বত শৃঙ্গ আর অরণ্যর উপর বৃষ্টি ঝাঁপটে পড়ে। বৃক্ষরাজির পাতা আর শাখা-প্রশাখাকে সেই বৃষ্টি সিক্ত করে চুম্বনের মতো শব্দে মাটিতে ঝরে পরে। মাটিতে গড়িয়ে তা এসে জমা হয় নালা আর ঝর্ণায়। সমস্ত পাহাড় অরণ্য ধৌত সেই জলরাশি নূপুর নিক্কন শব্দ তুলে শাখ-প্রশাখা নদী উপনদীতে জমা হয়। এইসব নদী উপনদী নানা নামে এসে মেঘনায় মিলিত হয়েছে।
মেঘনা এই উদ্দাম জলরাশিকে বুকে নিয়ে ছুটে চলে সাগর পানে। সাগর দু'হাত বাড়িয়ে তাকে আহ্বান করতে থাকে। ঘোর বর্ষায় মেঘনা হয়ে উঠে ভয়ংঙ্কর। খরস্রোতা জিহ্বা দিয়ে সে ভাঙতে থাকে দু'পাড়। তার স্ফীত জলধারা নদী উপনদী বেয়ে আসে অজস্র শাখা প্রশাখা খালে। তার বিস্তীর্ণ দু'কূল ডুবে যায় সেই জলস্রোতে। কখনো তা ডুবিয়ে দেয় বসতবাটি। এই চলার পথে মেঘনা কখনো সরল কখনো সর্পিল আকার নেয়। কোথাও তার বেধ সরু কোথাও বিশাল।