আনুষাঙ্গিক বিল প্রস্তুত ও পাশ করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত আর্থিক বিধিবিধান যেমন-জেনারেল ফিন্যান্সিয়াল রুলস, ট্রেজারী রুলস, অডিট কোড, পিপিআর-২০০৮, আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ-২০১৫, গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের বিল প্রস্তুত ও পাশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমানে সিজিএ কার্যালয়ের বিল পাসিং চেকলিস্ট ও ওজচঅ অডিট সংক্রান্ত চেকলিস্ট অনুযায়ী করা হচ্ছে। বিল প্রস্তুত ও বিল পাশের ক্ষেত্রে এগুলো অনুসরণ করতে হবে। বইটিতে বিল পাশের ক্ষেত্রে যে সকল বইয়ের বিধিবিধান অবশ্যই পালনীয় সে বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। বিল প্রস্তুত ও বিল পাশের ক্ষেত্রে কি কি কারণে আপত্তি হয়ে থাকে এবং আপত্তি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কি কি আর্থিক বিধিবিধান লক্ষ্যণীয় তা বইটিতে রয়েছে। নতুন অর্থনৈতিক কোডের শ্রেণিবিন্যাস ও সংবিধানের যে বিষয়গুলো অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের কর্মচারীদের অবশ্যই জানা প্রয়োজন তা বইটিতে রয়েছে। তাছাড়া বাজেট প্রণয়ন, হিসাব, উপযোজন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। এসএএস ১ম পর্ব, ২য় পর্ব পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার সহায়ক হিসাবে অনেক বিষয় জানা যাবে। অডিট ও হিসাবরক্ষক বিভাগের সকলের কাজের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সিভিল অডিট ও ওজচঅ অডিটের আপত্তি না হওয়ার কাজে অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আনুষঙ্গিক বিল সংক্রান্ত বিধিবিধান গ্রন্থটি অনুসরণ করে বিল প্রস্তুত ও পাশ করলে অডিট আপত্তি নিরসন হবে ও সরকারি অর্থের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস। বইটিতে অনেক আদেশ ও পরিপত্র সংকলন করা হয়েছে যা অডিট ও হিসাবরক্ষণ অফিসে আনুষঙ্গিক বিল প্রস্তুত ও পাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। গ্রন্থটিতে ভাষাগত, মুদ্রণজনিত, তথ্যগত কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে তা লেখক হিসাবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সদয় অনুরোধ জ্ঞাপন করছি। ইতিবাচক সমালোচনা ও পরামর্শ দৃঢ়চিত্তে গৃহীত হবে। পাঠকদের ইতিবাচক মনোভাব আমার অডিট এন্ড একাউন্টস বিভাগের নতুন একটি বিষয়ের উপর লেখার অনুপ্রেরণার পাথেয় হিসাবে সাহস সঞ্চার করবে।br আমি আশাবাদী সরকারি অফিসের ক্রয়কার্যের ক্ষেত্রে এই বইটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
জনাব নাছিমা আনোয়ারা বেগম, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার রসুলপুর গ্রামে ১৯৭৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মফিজ উদ্দিন এবং মাতা আয়েশা আক্তার। তাঁর বাবা সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। তিনি নান্দাইল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হতে ১৯৯৩ সালে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ, নান্দাইল হতে এইচএসসি'তে প্রথম বিভাগে কৃতকার্য হন। তিনি আনন্দমোহন সরকারি কলেজ হতে বিএসএস (সম্মান) ও এমএসএস (অর্থনীতি) বিষয়ে ২য় শ্রেণিতে পাশ করেন। তিনি ২০০১ সালে ডিটিসিবিতে জুনিয়র অফিসার পদে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৪ সালে সিএও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। সিএও অর্থ বিভাগ, সিএও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণা- লয়, সিএও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয়, সিএএফও, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ধারাবাহিকভাবে কাজ করেন। তিনি বর্তমানে সিএএফও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর স্বামী মুহাম্মদ রেজাউল হক, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সচিব (হাইকোর্ট) বিভাগে কর্মরত আছেন। তাঁর শ্বশুর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার কার্তিকখীলা গ্রামে। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জননী।