মানুষ ও কবিতা অবিচ্ছেদ্য। আর কবিতা বা কাব্য হলো মনের বহিঃপ্রকাশের একটি সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম। কবিতা লেখার সময় ও পাঠ করার সময় কোনো একটি বিশেষ বিষয়ে আমাদের অনূভুতি ও চিন্তা ভাবনা গুলো হৃদয়ে দোলা দেয়। যখন পৃথিবীর মানুষের কোনো অক্ষরজ্ঞান ছিল না, তখনো মানুষের মুখে কবিতা ছিল। কবিতা নানা সময়ে নানা রূপে এসেছে। কবিতার ভিন্ন ভিন্ন রূপগুলোই আজ কবিতার বিভিন্ন শাখায় পরিণত হয়েছে। প্রায় সবার হৃদয়ে একটি কবি সত্তা বাস করে। মানুষ তার মনের ভেতরের যেকোনো ভাব, চিন্তা- ভাবনা, আবেগ ও অনুভূতিগুলো যখন ছন্দোবদ্ধ আকারে প্রকাশ করে, তখনই সেটা হয়ে উঠে কবিতা ।
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আমি তেমন কোন কবি, লেখক নয়। তবু যখনি প্রকৃতির রূপ আমাকে মুগ্ধ করে। নানান ঘাত অপঘাত আর প্রতিকূলতা আমাকে ছুঁয়ে যায়, তখনই শব্দের তুলির আঁচড়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে লেখালেখির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায়। লিখতে থাকি মনের কথা জনের কথা দেশের কথা দশের কথা। আর তখনই ক্রমশ বিকশিত হতে থাকে কাব্যমালা।
ইহধামে চলার পথে অনেক বাঁধা বিপত্তি আসবে। আবার কখনো না চাইতেই সাফল্যও মিলবে। সাফল্যে সবাই খুশি থাকলেও, বাঁধা বিপত্তিতে কেউ থমকে যায়, আবার কেউ শত বাঁধা সত্ত্বেও আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এগিয়ে চলে। ঠিক তেমনি আমরা যেনো আমাদের ছোট ছোট পরাজয়ে মনোবল না হারিয়ে, সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে চলি।আর সৎসাহস, অনুপ্রেরণা, উদ্দীপনা, আত্মবিশ্বাস আর সত্যের মশাল নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। আর হাজারো সমস্যার মধ্যে কিভাবে স্রোতের বিপরীতে আমাদের সাঁতার কাটতে হয় তাহাই এই কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়।
পরিশেষে আমি আশাবাদী আমার শ্রম চেষ্টা ও সামর্থ্য আর সক্ষমতা পাঠকমহলের সুদৃষ্টির উপর নির্ভর। আপনাদের সমীপে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস সাদরে গৃহীত হলেই আমি কৃতার্থ হবো। এবং আমার আগামীর পথচলা সহজ ও সমৃদ্ধি হবে।