জগতে আদি সৃষ্টির দিনে মানুষের মনে সবচেয়ে উঁচু আসনটি পেয়েছে প্রেম। প্রেমের জন্য জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে যুগে-যুগে মানুষ সৃষ্টি করেছে অমর প্রেমের ইতিহাস। লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদ, ইউসুফ-জুলেখা, রাধা-কৃষ্ণ, রোমিও-জুলিয়েট, হেলেন-প্যারিস, ক্লিওপেট্রা-মার্ক এন্টনি, চণ্ডীদাস-রজকিনী, সেলিম-আনারকলি, শাহজাহান-মমতাজÑ এই মহান প্রেমিকযুগলের নাম সবার কাছে পরিচিত; কিন্তু তাদের প্রেমের কাহিনি অনেকেরই অজানা। প্রেমের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে হলে এই অমর প্রেমকাহিনিগুলো জানা আবশ্যক।
বিখ্যাত সব প্রেমিকযুগলকে যদি চোখের সামনে দেখতে পাই, তাহলে কেমন হয়! কিংবা আমরা যদি পৌঁছে যাই মহান প্রেমিকযুগলদের স্মৃতিবিজড়িত; আরব, পার্সিয়া, ট্রয়, আলেকজান্দ্রিয়া, ভেরোনা, দিল্লি, আগ্রা কিংবা বৃন্দাবন। যেখানের আলো-বাতাস, সাগর-নদী এখনো সাক্ষ্য দেয় সেই অমর প্রেমকাহিনির। কেমন হবে যদি পৃথিবীর সকল মহান প্রেমিক-প্রেমিকা তাজমহল প্রাঙ্গণে এসে সমবেত হন, ভালোবাসা দিবসে যদি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সবার সামনে উপস্থিত হয়ে ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস তুলে ধরেন, যদি প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী আফ্রোদিতি মঞ্চে এসে শোনান প্রেমের জয়গান! বাস্তবে এটা কখনো সম্ভব নয়। অনন্ত-অনামিকার প্রেমের কাহিনির মধ্য দিয়ে এই অসম্ভবকেই সম্ভব করার চেষ্টা করেছি। ‘অনন্ত-অনামিকা’ জগতের সকল অমর প্রেমকাহিনিকে এক সুতোয় গেঁথেছে, রচিত হয়েছে একটি বিশুদ্ধ প্রেমগাঁথা। এ যেন এক বিশুদ্ধ প্রেমের বাক্স! যার ভেতর এসে জমা পড়েছে সকল কালের সকল প্রেমের গীতি। এটি খুলে যে কেউ পেতে পারে অমর প্রেমের অমিয় নির্যাস, যার ফলে সকলের অন্তরে আরো তীব্রভাবে জেগে উঠবে প্রেম। শুধু প্রেমই পারে আজকের স্বার্থান্ধ এই অস্থির পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে এনে মায়াময় সুখের ভুবন গড়তে।
বিশুদ্ধ প্রেমের বাক্সটি রচনা করতে আমাকে অনেক খ্যাতিমান লেখকের বিখ্যাত রচনা থেকে সাহায্য নিতে হয়েছে। তাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এই স্বল্প পরিসরে নির্ভুলভাবে এতগুলো ইতিহাস তুলে ধরা একসময় অসম্ভব মনে হয়েছে। শেষপর্যন্ত প্রেমগাঁথাটি সম্পন্ন করতে পেরে তৃপ্ত বোধ করছি। চাঁদের কিরণ, ফুলের ঘ্রাণ সকলের ভালো লাগুক। প্রতিটি প্রাণ হোক প্রেমময়। প্রেমের সুবাতাস বয়ে যাক পুরো পৃথিবীতে।