অক্ষরবাস (হার্ডকভার)

জীবনসূত্রমুখের এক প্রশ্নসমুচ্চয় চোখ ও মনের সাথে কবির যুদ্ধ--কবি রুবি আফরোজের কবিতায় সেই ধৃতপ্রশ্ন অনুভ‚তিসমূহ বাঁধাছলে শিল্পের আঁধারে প্রতিশিল্পের রৌদ্রপীছায়ায় বেড়েওঠা অক্ষর-শব্দ আর পঙ্ক্তিতে মিলিয়ে যাপনই অরক্ষরবাস। অন্তর্জীবনের যাত্রার ভেতর অমীয় ধ্রুপদিসত্যের যে কালিক, স্থানিক কিংবা আধারিক সীমানাঊর্ধ্বগামী কবির বোধে, ভাবে, ভাষায়, দর্শনে, উপলব্ধিতে ‘সার্বজনীন একক’ প্রাপ্তি কবিকে টাইরেসিয়াসের মতো ত্রিকালদর্শীতা এনে দিয়েছে। ‘অক্ষরবাস’ তুমুল প্রেমের দ্বীপান্তরিত হবার মধুবিষাদের স্বাদও আছে। কবির কবিতায় ফিজিওলজি এবং সোসোলিজমের এমন অপূর্ব মেলবন্ধন ও অদ্বৈতরূপ আমাদের মস্তিষ্ককে আশ্চর্য ধাঁধায় বিচলিত করে। দিগন্তলাগোয়া ধূসরতার উল্লম্ব ধুন্ধুমার মুক্তি চান কবি--অর্থপূর্ণ আনন্দ বিশ্বাসে।

রুবির কবিতায় অন্তর্নিত মান ও মর্ম উৎঘাটনে আমরা পাই এক চাঞ্চলময় অলৌকিক বাস্তবতা ও জীবন উৎসারণের অভিজ্ঞানপ্রদত্ত বোধের সত্তা। তিনি দৃশ্যযোজনার সবকিছুই প্রতিচলিত রাস্তা থেকে বেরিয়ে একটু আলাদা ভণনে বিন্যস্ত করেছেনÑ এক অনাগতকালের গভীর সংগুপ্তে। কবি স্ট্রাকচারলিজম এবং এক্সিজটেনশিয়ালিজমে বিশ্বাসী নন। যুক্তির সাথে স্বজ্ঞা জারিয়ে পঙ্ক্তিমালায় কবিতার মূর্তি জাগিয়ে তোলা--আর বাংলাকবিতার কসমিকধারার ও সপ্তবর্ণ সম্ভাবিত করে পাঠকের তৃতীয় নয়নে ধ্যানপ্রবাহের স্পর্শ করলেই তিনি সার্থক। --মাসুদ মুস্তাফিজ, কবি ও প্রাবন্ধিক।