"শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড"। এ জাতির মেরুদণ্ডকে শিক্ষা দিয়ে সোজা করে দেন যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রিয় শ্রদ্ধেয় 'শিক্ষকগণ'। শিক্ষা দিয়ে জাতি বহিঃবিশ্বে সুনামে পরিচিত হয়। জগৎ আজ নব নব আবিষ্কারের উন্নতির শেষ চূড়ায়। এ উন্নতির শিখরে উঠার পিছনে হয় শিক্ষা ও শিক্ষক। শিক্ষা ব্যতীত বিশ্বের কোনো জাতি সভ্য আধুনিকতায় আসেনি। সকল দেশই শিক্ষার হাত ধরে খ্যাতনামা হয়েছে। বিশ্বের সকল দেশের সেরা দেশ জাপান। এ জাপানও শিক্ষার হাত ধরে আসে। "মায়ের শিক্ষাই শিশুর ভবিষ্যতের বুনিয়াদ"- নেপোলিয়ন। মাকে প্রথম শিক্ষার আলোতে গড়েন। তাঁর শিশু তাঁর বুনিয়াদ দিয়ে গড়েন। পরে শিক্ষকের শিক্ষা দিয়ে দেশ জাতির নায়ক করা হয় বা হয়ে আসে। প্রথম শিশুর শিক্ষার বীজতলা হলো মা ও বাবা। পিতা গড়েন দেহ আর শিক্ষক শিখায় আত্মা বা মনুষ্যত্ব গড়েন। কারণ শিক্ষা প্রকৃত মানুষের জন্ম দেয়। তাই আমাদের সমাজে শিক্ষকরা হলেন মহামানব। কারণ শিক্ষক ছাড়া শিক্ষা বা শিক্ষিত হওয়া কল্পনা করা যায় না। যে শিক্ষা গ্রহণ করে তার মৃত্যু নাই। শিক্ষা হচ্ছে ধনাগার। শিক্ষকদের সদায় উঁচু শিরে অধিষ্ঠিত করাই আমাদের উচিত এবং তাঁদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে সদায় আমাদের সচেতন হতে হবে। শিক্ষক আশীর্বাদ মহৎ আশীর্বাদ।
ছাত্রসমাজই যুগ যুগ ধরে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ত্যাগ দিয়ে দেশ মাতৃকার শান্তি ন্যায্যতার জন্য সংগ্রাম যুদ্ধ করে নব নব চেতনা আনয়ন করে। ছাত্রদের চোখে জ্বলে জ্ঞান দীপ্তির বুদ্ধির আবিষ্কারের নূতন নূতন মশাল। তারা যত্র তত্র ডাক দিয়ে যৌথ উদ্যানে রক্ত ছড়িয়ে অমঙ্গলকে প্রতিহত করে মন্দের উর্ধ্বে নিয়ে আসে। তাদের জয়ের সুফল সাধারণ জনতা দু' হাত ভরে উপভোগ করে জয় জয় গান দিয়ে। "শিক্ষক-ছাত্র" লিখনি দিয়ে স্বনামধন্য লেখক আলেক রোজারিও শিক্ষক-ছাত্রদের অনুপ্রাণিত করে বীর বিক্রমে শিক্ষক ও ছাত্ররা একান্ত ছয় কর্তব্য পালনে ব্যাপকতা নিয়ে আসুক নব জগতে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে তারই ইঙ্গিত করেন। লেখকের প্রাক্তন শিক্ষকদের নানাবিধ উপমা কাহিনী গল্প দিয়ে উভয় পক্ষকে গৌরবের বিপ্লবে সোচ্চার হয়ে দিগন্তে যাওয়ার প্রেরণা তাগিদ করেন। শিক্ষক-ছাত্রদের দায়িত্ব-কর্তব্য-গুণাবলি-বৈশিষ্ট্যগুলো স্মরণ করিয়ে চেতনায় ভাসাতে চান। শিক্ষাগুরু হিসেবে ছাত্ররা সদায় শিক্ষক সম্মানে শ্রদ্ধাতে ভক্তিতে নত শিরে থাকুক- এ প্রত্যাশাও করেন।