মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদাতের জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মানব ও জিন-জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদাত বা দাসত্ব করার জন্য।’ [সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫২।] আর মানুষের এ ... See more
মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদাতের জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মানব ও জিন-জাতিকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র আমার ইবাদাত বা দাসত্ব করার জন্য।’ [সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫২।] আর মানুষের এ দাসত্বের মনোভাব ফুটে ওঠে দোয়ার মধ্যে দিয়ে। তাই তো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দোয়াই হলো ইবাদাতের মগজ বা মূল।’ [সহিহুল বুখারি, হাদিস : ৪১৪।] আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা না করে জাগতিক উপায়-উপকরণ ও জড়বস্তুর দিকে দু-হাত সম্প্রসারিত করে দিই। যার ফলে আল্লাহর প্রতি আমাদের আস্থা-ভালোবাসার ঘাটতি দেখা যায়। এ থেকে আমাদের ফিরে আসা উচিত। আমাদের উচিত পার্থিব জীবনে কোনো বস্তুর প্রয়োজনে প্রথমেই প্রিয় নবির শিখিয়ে দেয়া সালাতুল হাজাত পড়ে কাঙ্ক্ষিত বস্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে পড়া। ‘দোয়ার শক্তি অপরিসীম; কেবল দোয়াই পারে তাকদির বা ভাগ্য-লিখনকে বদলে দিতে।’ [সুনানুত তিরমিজি, হাদিস : ২১৩৯।] প্রিয় পাঠক! বইটির একটি বিশেষ দিক হলো, এখানে প্রতিটি দোয়া ও জিকির প্রেক্ষাপট সহকারে অনুবাদ করা হয়েছে। দোয়ার মর্মকথা ও প্রকারভেদ, দোয়ার মাহাত্ম্য, দোয়া কবুলের সময়, স্থান, শর্ত ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ ইত্যাদি সকল বিষয়ে উদ্ধৃতিসহ বিশদভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের উচিত জীবনকে সুশোভিত করা। আর তা তখনই হবে, যখন রাসুলের জীবনাদর্শকে অনুসরণ করবে।
Muhammad Saalih Al-Munajjid (محمد صالح المنجد) (born 7 June 1960) is a Syrian-born Palestinian-Saudi Islamic scholar. He is the founder of the fatwa website IslamQA, a popular website for responses on the topic of Islam. Al-Munajjid was born to Palestinian refugees in Aleppo, Syria in 1960 and raised in Saudi Arabia.He studied Islamic law under 'Abd al-'Aziz ibn Baaz,[5] Muhammad ibn al-Uthaymin, Abdullah ibn Jibreen and Abdul-Rahman al-Barrak, among others.
বই সম্পর্কেঃ ------------------------ দোয়া শব্দের অর্থ আল্লাহকে ডাকা, কিছু চাওয়া, প্রার্থনা করা।বিনয়ের সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার থেকে বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করাই হল দোয়া।এই দোয়াকে আল্লাহ ইবাদত হিসেবে অভিহীত করেছেন এবং সাহায্য লাভের মাধ্যম বানিয়েছেন। তাইতো কুরআন ও হাদীসে মহানবী ﷺ এর মাধ্যমে মানুষকে দোয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।আল্লাহ বলেন,তোমরা আমাকে ডাক,আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব,যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে তারা অচিরেই জাহান্নামে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হবে। [সুরা মু’মিন আয়াত-৬০] নবী করিম ﷺ বলেছেন, দোয়া-ই ইবাদত। [জামে আত তিরমিজি]।তাইতো আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়া এবং তার নৈকট্য লাভ করা ব্যতীত মানুষের কোন উপায় নেই,আর দোয়া হল আল্লাহর নৈকট্যলাভের বিশেষ বাহন ও মাধ্যম। আল্লাহর নিকট প্রার্থনা, প্রত্যাশা ও সাহায্য কামনার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নিকটবর্তী হয়।এর দ্বারা মানুষ তার প্রতিপালকের ইবাদত করে, উদ্দেশ্যে লাভে সফল হয়, তার সন্তুষ্টি অর্জন করে।‘আয়ান প্রকাশন’ কর্তৃক ‘প্রভূর ডাকে সাড়া দাও’ বইটিতে দোয়ার মহিমা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।পাশাপাশি দোয়া ও জিকিরের প্রেক্ষাপট অনুবাদসহ আলোচনা করা হয়েছে।দোয়ার সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ,দোয়ার ফজিলত, দোয়া কবুল হওয়ার শর্ত,দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ ইত্যাদি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে। আশা করা যায় যে,এই বইটি পড়ার মাধ্যমে পাঠকসমাজ ইহকালীন সুখশান্তির পাশাপাশি পরকালীন সুখশান্তিও লাভ করবে,ইন শা আল্লাহ।
বইটির প্রয়োজনীয়তাঃ ------------------------------- হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন,‘মুসলমান যখন অন্য কোন মুসলমানের জন্য দোআ করে,যার মধ্যে কোনরূপ গোনাহ বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার কথা থাকে না,আল্লাহ তাআলা উক্ত দোআর বিনিময়ে তাকে তিনটির যেকোন একটি দান করে থাকেন। (১) তার দোআ দ্রুত কবুল করেন অথবা (২) তার প্রতিদান আখেরাতে প্রদান করার জন্য রেখে দেন অথবা (৩) তার থেকে অনুরূপ আরেকটি কষ্ট দূর করে দেন। একথা শুনে সাহাবীগণ উৎসাহিত হয়ে বললেনতাহলে আমরা বেশী বেশী দোআ করব। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহ তার চাইতে আরও বেশী দোআ কবুলকারী। [আহমাদ, হাকেম, মিশকাত হা/২২৫৯ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯।] বইটিতে কুরআন ও হাদিসের আলোকে অনেকগুলো দোয়া সংযোজন করা হয়েছে,যা প্রতিটি মানবসমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইহকালীন সুখশান্তি ও পরকালীন মুক্তির জন্য প্রতিটি ব্যক্তির দোয়া সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে 'প্রভূর ডাকে সাড়া দাও' বইটি অনেক বড় ভূমিকা পালন করবে,ইন শা আল্লাহ।
বইটি কাদের পড়া উচিতঃ ------------------------------------- আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে আমার বিষয়ে জিজ্ঞেস করে, তখন বলে দাও যে, আমি তাদের অতীব নিকটবর্তী। আমি আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিয়ে থাকি,যখন সে আমাকে আহবান করে।অতএব তারা যেন আমার আদেশ সমূহ পালন করে এবং আমার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করে। যাতে তারা সুপথ প্রাপ্ত হয়। [সূরা বাকারাহ,আয়াত ১৮৬] আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা পথভ্রষ্ট হয়ে,মুক্তির পথ খুঁজে পায়না।দিশেহারা হয়ে ভূল পন্থায় মুক্তি লাভ করতে চায়। তারা হয়তো জানেনা সকল সমস্যা হতে মুক্তিলাভের একমাত্র পন্থা হচ্ছে প্রভূর সাকে সাড়া দেওয়া।আর প্রভূর ডাকে সাড়া দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে দোয়া। বইটি পড়ার মাধ্যমে পথভুলা ব্যক্তিরা দোয়ার গুরুত্ব ও দোয়া কবুলের শর্ত সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তদানুযায়ী রবের নিকট চাইবে। ইন শা আল্লাহ তারা তাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবে।
ব্যক্তিগত অনুভূতিঃ --------------------------- ব্যক্তিগতভাবে বইটি আমার অনেক ভালো লেগেছে,আলহামদুলিল্লাহ। দোয়ার স্বরূপ ও দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত লেখনি নিয়ে খুব কম বই দেখা যায়। বইটিতে দোয়ার ফজিলত,দোয়া কবুলের শর্তাবলি ইত্যাদি বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে,যা আমার অনেক ভালো লেগেছে। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় সব দোয়া এখানে উল্লেখ করা হয়েছে,যা প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- ইবাদতের জগতে ফরয-ওয়াজিবের বাইরে বহু আমল আছে, যা একজন মানুষকে পূর্ণ মুমিন হতে সাহায্য করে। সে ধরনের একটি আমল হচ্ছে– দৈনন্দিন আল্লাহর নিকট দোয়া করা। দোয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতগুলোর মধ্যে একটি, যা বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে। দোয়ার মাধ্যমে বান্দা তার রবের কাছে সকলকিছু চাওয়ার মাধ্যমে রবের প্রতি নিজের আনুগত্য পূর্ণরুপে প্রকাশ করে। বান্দার ঈমান দৃঢ় হয়, বিশ্বাস আরও মজবুত হয়। বান্দা যখন দোয়া করে তখন সে তার রবের অত্যন্ত নিকটে চলে যায়।
▪️ আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন, “আর আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, (তখন বলে দিন যে) নিশ্চয় আমি অতি নিকটে। আহ্বানকারী যখন আমাকে আহ্বান করে আমি তার আহ্বানে সাড়া দেই। কাজেই তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার প্রতি ঈমান আনুক, যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে।” (সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৬);
- বিভিন্ন সময় আমরা বিভিন্ন বিপদ-আপদে পতিত হই। দুঃখ-দুর্দশা আমাদের অন্তরকে গ্রাস করে বসে। হতাশায় ফেলে দেয়। নিরুপায় হয়ে তখন আমরা দুনিয়াবী বিভিন্ন আশ্রয় খুঁজতে থাকি। অথচ, একজন মুমিনের তখন সর্বোচ্চ আশ্রয়স্থল হলো– আল্লাহর নিকট দোয়া করা। মনের গহীন থেকে অনুতপ্ত অন্তর নিয়ে– নিজেদের হীনতা, দূর্বলতা ও পাপের সমিষ্টি নিয়ে যদি আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর শিখিয়ে দেয়া ভাষায় বিষয়ভিত্তিক ভাবে আল্লাহর নিকট দোয়া করি, তাহলে তিনি আমাদের কখনোই ফিরিয়ে দেবেন না। এটা আল্লাহর ওয়াদা। আর কুরআন-হাদীসের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ‘১৫০ টি’রও অধিক দোয়ার সংকলন হচ্ছে “প্রভুর ডাকে সাড়া দাও” নামক বইটি।
- বইটির লেখক আরবের উম্মাহ দরদী বিখ্যাত আলিম ‘শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ ও সাঈদ ইবনু আলি আল কাহতানি’ (হাফিজাহুমুল্লাহ)। পবিত্র কুরআন ও নববী হাদীসের বুকে ছিটিয়ে থাকা প্রায় ‘১৫০ টি’র অধিক দোয়া দিয়ে বইটিকে সাজানো হয়েছে। মুমিন জীবনে দোয়ার মাহাত্ম্য, দোয়ার উপকারিতা, দোয়া কবুলের শর্ত, স্থান, সময়, দোয়ার আদব, দোয়ার ফলাফল, ইসমে আজম দিয়ে দোয়া করা ইত্যাদি নিয়ে বক্ষমাণ এই বইটিকে সুসজ্জিত করা হয়েছে। বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে– হাদীসে দোয়া করার সময়ের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় রেফারেন্স প্রদান করা হয়েছে।
- শর্ট পিডিএফে দীর্ঘ সূচিপত্রের সাথে ভিতরের দুই-তিনটি পেইজ সংযুক্ত করলে হয়তো আরেকটু বিস্তারিত বলা যেতো। তবে এটুকু বলা যেতে পারে, বক্ষমাণ এই বইটি আমাদের সকলের সংগ্রহে রাখা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর শিখিয়ে দেয়া অর্থবহ বাক্য দিয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়া, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, দৈনন্দিন কাজের সময়ে দোয়া করা নিঃসন্দেহে মুমিনের জীবনে আরো বারাকাহ নিয়ে আসবে। আত্মিক প্রশান্তি ও ইবাদতে তৃপ্তির স্বাদ উপভোগ করা যাবে। তাছাড়া, যেকোনো সময়ে প্রয়োজনীয় দোয়াগুলো খুব সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যাবে। যা থেকে উপকৃত হতে পারবো 'ইন শা আল্লাহ। • ?এক নজরে বই পরিচিতি: –––––––––––––––––– নাম: প্রভুর ডাকে সাড়া দাও লেখক: শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ ও সাঈদ ইবনু আলি আল কাহতানি (হাফি.) অনুবাদক: আব্দুল আহাদ তাওহীদ সম্পাদনা: মুফতি আরিফ মাহমুদ প্রকাশনী: আয়ান প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৬৮ মুদ্রিত মূল্য: ৩২০৳ .
Read More
Was this review helpful to you?
By Sabbir Ahammed,
02 Jun 2022
Verified Purchase
সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না- এ চিরন্তন সত্য সকলেরই জানা। তাই সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি সময়ের সৎ ব্যবহার না করা যায়, সময়কে নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে না চলা যায়-তাহলে জীবন ব্যর্থায় রূপ নিবে। যদি এ সময়টাকে দু'জগতের কল্যানকর কোন কাজে লাগান যায় তাহলে তো আর কথাই নেই। কিন্তু অনেকেই মনে করি, এ কাজটা সম্পন্ন করার পরই ইবাদাতে মন দিব। আবার অনেকেই এরকম অনেক ধরণেরই অনেক কথায় বলে থাকেন। কিন্তু জীবনটা এমনই। যদি মনে করেন, সবকিছু সামাল দিয়ে তারপর অমুক কাজটি করবো, তাহলে সে কাজটি তার একই অবস্থায় ই থাকবে। কোন পরিবর্তনই হবে না। বরং একদিন হঠাৎ মৃত্যু বরণ করবেন, কিন্তু সেই কাজটা আর সম্পাদন করা হয়ে উঠবে না। তাই সময়ের সঠিক ব্যবহার জানতে হবে।
••••• ধরুন, আপনি সকালে ফজর সালাত আদায় করে নাস্তা-পানি খান। তারপর গোসল করে খাওয়ার টেবিলে বসে খেয়ে উঠেই চলে যান অফিস পানে। গাড়িতে উঠেন, আবার গাড়ি থেকে নামেন। আপনার অফিসের নির্দিষ্ট রুমে গিয়ে বসে পড়েন। তারপর একটানা কাজ শুরু করেন। কাজ চলতে থাকে দুপুর পর্যন্ত।এভাবেই দুপুর পেরিয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। একসময় কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন এবং খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। আপনি যে এতগুলো কাজ করেন, এত সময় আপনার নিজের কাজে ব্যয় করেন।কেমন হতো যদি এসব কাজগুলো ইবাদাতে পরিণত হত। কেমন হত, এসবের বিনিময়ে আখিরাত ও দুনিয়াতে অনেক কল্যাণকর জিনিস পেতেন। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন। যদি কুরআন ও সুন্নাহের দিকনির্দেশনা মোতাবেক চলতে পারেন, বিভিন্ন কাজের পূর্বে শরীয়তের নিয়ম অনুসরণ করে চলেন, যদি নিয়ত ও দোয়ার মাধ্যমে আপনার জীবনকে পরিচালনা করতে পারেন- তাহলেই আপনার এসমস্ত কাজগুলো ইবাদাতে পরিণত হবে। একসাথে আপনার কাজগুলোও সম্পাদন হলো, সাথে সাথে ইবাদাতের যে একটা স্বাদ সেটাও অনুভব করতে পারলেন। সাথে ইবাদতের প্রতিদান তো আছেই।
দোয়ার গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। তাইতো বলা হয়, দোয়া ইবাদতের মগজ। আবার বলা হয়েছে, দোয়া ছাড়া তাকদির পরিবর্তন হয় না। আবার আল্লাহ তাআলার তখনই খুশি হন, যখন বান্দা তার নিকট কিছু চান। আর চাওয়ার মাধ্যমটাই হলো দোয়া। তাই দোয়ার অভ্যাসটা আমাদের মাঝে নিয়ে আসা প্রয়োজন। আমরা দৈনন্দিন জীবনে খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে, গোসল, অজু, জাহান্নাম থেকে পানাহ চাওয়া, সাক্ষাৎ লাভসহ ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক এভাবে পর্যায়ক্রমে অনেককাজ সম্পাদনা করতে দোয়ার মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার কোন বিকল্প নাই। এর কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে দলিলসহ জীবনের পরতে পরতে মিশে থাকা কাজগুলোর কখন কোন দোয়া করা উচিত তা ফুটে তোলা হয়েছে 'প্রভুর ডাকে সাড়া দাও' বইটিতে। বইটি প্রকাশিত হয়েছে আয়ান পাবলিকেশন্স থেকে।
এ বইটি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য খুবই দরকারি। কেননা, আমরা যদি আমাদের দৈনন্দিন কাজগুলোকে ইবাদতে পরিণত করতে চাই তাহলে এ বইয়ের মাধ্যমে সেসব বিষয় জানা সম্ভব হবে। যারা এরকম দোয়ার বই অনেকদিন যাবৎ খুজতেছিলেন বা দলিল ভিত্তিক কোন বই পাচ্ছিলেন না, তাদের জন্য এ বইটি আশার আলো হবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা যদি কিছু চাই বা করতে চাই আর সেটা কারো কাছে না বলি তাহলে সেটা পাওয়া বা করা কখনোই সম্ভব নয়। মা-বাবা আমাদের সবচেয়ে আপন, তাদের কাছেও আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো চেয়ে নিতে হয়।
আল ওয়াহহাব- আল্লাহ পরম দাতা। তিনি আমাদেরকে পুরো পৃথিবীর সমান কিছু দিয়ে দিলেও তাঁর সাম্রাজ্য থেকে এক চিমটি পরিমাণও কমবে না। আমরা সৃষ্টির কাছে যতটা চাই, আমাদের স্রষ্টার কাছে ততটা চাই না। চাওয়ার শিক্ষাটাও আমরা অনেকেই পাই না। বা নিতান্ত সাধারণ জিনিস আল্লাহর কাছে চাইবো এইটাও মাথায় আসে না। অথচ, সাহাবাগণ জুতা ছিঁড়ে গেলেও আল্লাহর কাছে চাইতেন। আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি বান্দার প্রতি খুশি হন।
আমরা সাধারণত নামাজে ব্যবহৃত দু'আ সাথে প্রয়োজনীয় কিছুর দু'আর কথাই জানি। সেগুলোই প্রয়োজনে পড়ি, আবার পড়িও না। কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কুরআনে আমাদেরকে দু'আ করা শিখিয়ে দিয়েছেন। প্রিয় নবী মুহাম্মদ ﷺ তিনিও জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে আল্লাহর কাছে দু'আ করে গিয়েছেন। কিন্তু এই দু'আসমূহ আমরা ক'জনই জানি বা আমল করি।
◾বই সম্পর্কে:
শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ, সাঈদ ইবনু আলি আল কাহতানি- কুরআন ও হাদীসে উল্লিখিত দু'আসমূহ সংকলন করে এক খন্ডে নিয়ে এসেছেন। আর সেটিই অনুবাদ করে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য নিয়ে এসেছে আয়ান প্রকাশন “প্রভুর ডাকে সাড়া দাও” শিরোনামে।
বইটিতে প্রায় ১৬০ টির মতো দু'আ সংকলন করা হয়েছে। জীবনের প্রতি মুহূর্তে প্রয়োজনীয় যত দু'আ রয়েছে তার সবই উল্লিখিত হয়েছে বইটিতে। শুরোতেই দু'আ কবুলের শর্তসমূহ আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষে সূরা ফালাক, সূরা নাসের তাফসির উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘুম থেকে জেগে উঠা, ঘুমানো, গোসল, কাপড় পরিধান, নতুন চাঁদ দেখা, যানবাহনে চড়া, বজ্রপাত, বৃষ্টির সময়, খাওয়ার আগে পরে, অসুস্থ ব্যক্তি দেখতে গেলে, মুসিবতে পতিত হওয়া, খারাপ স্বপ্ন দেখা- অর্থাৎ জীবনের প্রতি মুহূর্তেই আমাদের দু'আ করার অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে এই বইয়ের মাধ্যমে।
◾বইটি কেনো পড়বেন:
সাধারণ একটা বিষয়েও যদি আমরা দু'আ করি তাহলে সেই সাধারণ বিষয়টাও আরও বরকতময় হয়ে উঠে, আমরা আল্লাহর প্রিয়পাত্র হয়ে উঠতে পারি, নবীর সুন্নাহ মানা হয়, দু'আ করার জন্য অতিরিক্ত নেকী অর্জন হয়, আবার দু'আর মাধ্যমে সেই জিনিসটাও আমাদের জন্য কল্যাণকর হয়ে আসে আর অকল্যাণকর হলে সেটা হতেও আমরা দূরে থাকতে পারি, ইন শা আল্লাহ! হ্যাঁ, দু'আ এতোটাই পাওয়ারফুল।
◾শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুভূতি:
শর্ট পিডিএফে বইয়ের সূচিপত্র টুকুই এড করা হয়েছে। তাই বেশি কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না বই নিয়ে। তবে বইটি যেহেতু দু'আর সংকলন আলাদা করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না। নিঃসন্দেহে বইটি আমাদের জন্য উপকারী হবে, আমাদের সঙ্গী হয়ে রবে সবসময়।
Read More
Was this review helpful to you?
By মুহাম্মদ রুবেল মিয়া,
29 May 2022
Verified Purchase
ভূমিকা :
সকল ইবাদাতের সার কি? তা কি আমরা জানি? হাদিস শরীফে প্রিয় রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই তার উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "দুআ হলো সকল ইবাদাতের সার" - সুনানে জামে তিরমিযি, হাদীস নং : ৩৩৭১
আমরা দৈনন্দিন জীবনে কতো কাজ ইতো করি। আমাদের কাজগুলো আমাদের প্রয়োজনেই করতে হয়। কিন্তু আমরা কি জানি, আমাদের প্রয়োজনের সেই কাজগুলোও হয়ে উঠতে পারে ইবাদাত! এরজন্য শুধু একটি দুআ পড়াই যথেষ্ট, যে দুআ পড়তে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিস শরীফে উৎসাহিত করেছেন। দৈনন্দিন চলার পথে আমাদের দ্বারা কতো গুনাহের কাজ সংগঠিত হয়। হাতের গুনাহ, পায়ের গুনাহ, চোখের গুনাহ, কানের গুনাহ, মস্তিষ্কের গুনাহ, জিহ্বার গুনাহ ইত্যাদি। এতো গুনাহ যে করি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায়টা কি জানি? তা হলো আল্লাহ তাআলার দরবারে দুআ করা। আমাদের রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও দৈনিক একশতবার ইস্তেগফার পড়তেন।
এছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরীফে অসংখ্য দুআ পাওয়া যায়। সেই দুআগুলো যদি আমরা মুখস্থ করে আমলে পরিণত করতে পারি তাহলে আমরা হবো সফলকামদের অন্তর্ভুক্ত ইনশাআল্লাহ। কিন্তু এতো এতো দুআ পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরীফ থেকে খুঁজে খুঁজে বের করা আমাদের জন্য কঠিনই। আমাদের সেই সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করেই আরবের বিখ্যাত দুইজন আলিম শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ হাফি. এবং শাইখ সাইদ ইবনু আলি আল কাহতানি রহ. মিলে সংকলন করেছেন দুআর এক ভান্ডার। যার নাম "প্রভুর ডাকে সাড়া দাও"।
বইটি যেমন :
বইটিতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় দেড়শতোর উপরে দুআ সংকলন করা হয়েছে। যে দুআগুলো আমাদের জন্য খুবই দরকারী এবং খুবই উপকারী। দুআগুলো আমাদের সর্বদাই কাজে লাগবে। পবিত্র কুরআন এবং হাদিস শরীফ থেকে খুঁজে বের করে আমল করা যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি সময়সাপেক্ষ। এজন্যই বইটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ যেনো যথা সময়ে সঠিক দুআটি আমরা সহজেই পেয়ে যাই। এখন প্রশ্ন আসতে পারে দুআগুলো কতোটা সহিহ বা এগুলো আদৌ সঠিক কোনো জায়গা থেকে নেওয়া হয়েছে কিনা। সে কথা চিন্তা করেই প্রত্যেকটি দুআর সাথে রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে। যেনো পাঠকমাত্রই তার সঠিকতা যাচাই করে দেখে নিতে পারেন। সেই সাথে সুন্দর বাচনভঙ্গি, সহজ এবং সরল ভাষা, সুদর্শন প্রচ্ছদ সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি বই হবে ইনশাআল্লাহ।
বইটি আমাদের সকলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সবারই উচিত বইটি সাথে রাখা এবং সর্বদা এর উপর আমল করা।
বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :
বইয়ের নাম : প্রভুর ডাকে সাড়া দাও লেখক : শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ হাফি. , শাইখ সাইদ ইবনু আলি আল কাহতানি রহ. অনুবাদক : আব্দুল আহাদ তাওহীদ সম্পাদক : মুফতি আরিফ মাহমুদ প্রকাশনায় : আয়ান প্রকাশন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬৮ মুদ্রিত মূল্য : ৩২০ টাকা
Read More
Was this review helpful to you?
By Umme Aiman,
03 Jun 2022
Verified Purchase
?বই প্রিভিউ: আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তার আনুগত্য করার জন্য।আর এই আনুগত্য করতে যেয়ে আমরা হাজার ভুলের মধ্যে মশগুল হয়ে যায়।ভুলে যায় রবের কথা।তবে,প্রভু আমাদের নিরাশ করেননি। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা ফিরে আসলে তিনি ক্ষমার চাদরে মুড়িয়ে নিবেন।আর এই ক্ষমা চাওয়ার উত্তম স্থান হলো জায়নামাজের সিজদারত অবস্থায়। কেননা, রাসূল সাঃ বলেছেন, “দোয়া ইবাদতের মূল বা মগজ” (সহীহ বুখারী)।এই জন্যই দোয়া করতে হবে আমাদের জীবনের প্রতিটা স্তরে। হাদিসের অনত্র্য আছে “দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হয়।যে জাতি দোয়া করে না সে জাতির ভাগ্য আল্লাহ পরিবর্তন করেন না।”
আর তাই-ই লেখক শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ ও সাইদ ইবনু আলি আল কাহতানি এর লেখা কুরআন হাদিসের সম্বনয়ে দোয়ার এই বইটি।
?শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুভূতি: ___________________________________ সর্ট পিডিএফ এর ১৫ পৃষ্ঠার ৭ পৃষ্ঠাই সুচি পত্র। আমাদের জীবনের পরতে পরতে আল্লাহকে স্মরণ করার লক্ষ্য অসংখ্য দোয়া চমৎকার ভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে এই বইটি। কুরআন এর আয়াতের দ্বারা আল্লাহর কাছে চাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।
?পরিশেষে: _________________ “প্রভূর ডাকে সাড়া দাও” বইটিতে অসংখ্য দোয়া রয়েছে।এই বইটি প্রত্যেকটা মুমিন মুসলমানের হৃদয়ে আনন্দ, উৎসাহের বার্তা পৌঁছে দিবে।রবের প্রিয় হতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ। সকলের কাছে এই বইটি থাকা একান্ত প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত আমরা সুখ-দুঃখ,বিপদ-আপদ ইত্যাদি আনন্দ, বেদনার সম্মুখীন হয়।তখন দিক দিশা না পেয়ে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকি মানুষের সাহায্য। কিন্তু!বর যে মহা গ্রন্থ আল কুরআনের মাঝে তাকে ডাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তা আমরা জানি না।আরে!জানবোই বা কিভাবে? দুনিয়ার কাজেই তো সারা দিন পার করি। দিন শেষে ক্লান্তিতে গাঁ এলিয়ে দিই বিছানায়। তাহলে কখন! কুরআন এর তাফসির পড়বো? কখন খুঁজবো রাসূল সাঃ এর হাদিস?
তাইতো! কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে লেখকের অনন্য প্রকাশ “প্রভূর ডাকে সাড়া দাও” বইটি। আপনার সংগ্রহে রাখতে পারেন।
" তোমরা আমার কাছে দোয়া কর, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। " (সূরা মুমিন আয়াত :- ৬০) আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ভুল-ক্রুটি ক্ষমা পেতে, আমাদের চাহিদা সমূহ সুনির্দিষ্ট উপায়ে চাইতে,অন্যের জন্য ভালো কামনা করতে, জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে আল্লাহর সাহায্য পেতে দোয়ার কোনো বিকল্প নেই। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পাশাপাশি সমস্ত বিপদ-আপদ থেকে মুক্ত থাকা যায়। নবি ﷺ এর জীবনের দিকে তাকালে আমরা দেখব তার সম্পূর্ণ জীবনটাই ছিল আগাগোড়া দোয়ার সমষ্টি। রাসূল ﷺ বলেছেন ; আল্লাহ্ তায়ালার নিকট দোয়ার চাইতে অধিক সম্মানিত বস্তু অন্য কিছু নেই। অন্য এক হাদিসে এসেছে দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। তাই আমাদের বিপদে-আপদে সুখে-দুঃখে সব সময় আল্লাহর নিকট দোয়া করতে হবে।আর সেই দোয়া গুলো যদি হয় নবীজির ﷺ এর শিখিয়ে দেওয়া দোয়া তাহলে তো আর কথাই নেই।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রাসূল ﷺ এর শিখিয়ে দেওয়া প্রয়োজনীয় দোয়া সমূহ নিয়েই "আয়ান প্রকাশন" এর এবারের আয়োজন " প্রভুর ডাকে সাড়া দাও " বইটি।
কুরআন-হাদিস থেকে সংগৃহীত দোয়া সংক্রান্ত একটি বিশুদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য সংকলনের অনুবাদ " প্রভুর ডাকে সাড়া দাও" বইটিতে প্রতিটি দোয়ার সঙ্গে রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে।আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় ১৫০+ দোয়া ও পরিশিষ্ট অংশ নিয়ে বইটি সংকলন করা হয়েছে। বইটির মাঝ থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দোয়া হলো, জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে বাঁচার দোয়া,ইসমে আজম,পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়ার দোয়া,সাইয়িদুল ইস্তেগফার, হিদায়াতের দোয়া,পরকালে মুক্তির দোয়া,শরীর সুস্থ থাকার দোয়া,ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া,ইস্তেখারার দোয়া ও সকাল-সন্ধার জিকর ইত্যাদি দোয়া ও পরিশিষ্ট অংশে আরাফাতের রোজা,জমজমের পানি দিয়ে চিকিৎসা ও সূরা নাস-ফালাকের তাফসির নিয়ে বইটি সংকলিত হয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনের জন্য চমৎকার একটি দোয়ার বই "প্রভুর ডাকে সাড়া দাও" আমার মতে সবার কাছে বইটি রাখা প্রয়োজন।কেননা প্রয়োজনের সময় আমরা অনেক দোয়া সহজে খুঁজে পাইনা। বইটিতে সহজে দোয়া গুলো পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ।
'প্রভুর ডাকে সাড়া দাও' আয়ান প্রকাশনের নতুন এই বইটি দ্বীনে ফেরা সম্পর্কিত পরিচিত ঘরানার বই। কিন্তু বইটির কন্টেন্ট ও সাধারণ আলোচনাই বলে দেয় কিছু ব্যতিক্রম তো নিশ্চয়ই আছে।
যে দূয়ার মাধ্যমে আমরা ইহকাল ও আখিরাতের সমস্ত ভালোর প্রত্যাশা পূরণের আশায় থাকি, যদি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অজানা ভুলের কারণে দুয়াই কবুল না হয়, তাহলে আমাদের জীবনটাই যে বৃথা। দূয়া কবুলের শর্তের সাথে তাই দুয়ার আদবও রক্ষা করা চাই।
জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ননা আমাদের নিজের সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ করে দেয় মৃত্যুর আগে। প্রজ্ঞা ও হিকমত লাভের জন্যও চাই বেধি বেশি দুয়া করা। দুয়া করারও সময় ও নিয়ম রয়েছে। দুয়া করার অভ্যাস ধীরে ধীরে বানদাকে রবের সান্নিধ্যে নিয়ে চলে। বইটির বেশিরভাগ অধ্যায় খুব পরিচিত। কিন্তু সম্পাদনা ও নিরীক্ষণের অভিপ্রেত লেখক দ্বয়ের পরিশ্রমলব্ধ লিখনশৈলীর অনুবাদকৃত জ্ঞানকে আরো সাবলীল ও সুখপাঠ্য করে তুলবে বলে আমার মতামত।
বই- প্রভুর ডাকে সাড়া দাও (পেপারব্যাক) লেখক- শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ, সাইদ ইবনু আলি আল কাহতানি অনুবাদ- আব্দুল আহাদ তাওহীদ সম্পাদনা- আয়ান সম্পাদক টিম নিরীক্ষণ - সাইফুল্লাহ আল মাহমুদ আয়ান প্রকাশন মুদ্রিত মূল্য - ৩২০ টাকা পৃষ্ঠা - ১৬৮
Read More
Was this review helpful to you?
By Akash Sagor,
28 May 2022
Verified Purchase
◾প্রভুর ডাকে সাড়া দাও◾
হযরত মুহাম্মদ সা বলেন," তোমারা বেশি বেশি দোয়া কর।" (সহিহ মুসলিম)
দোয়া মুসলমানদের এক বিশাল হাতিয়ার। বলা হয় "সত্যিকারের দোয়া হলো মিসাইলের মতো। যদিও মিসাইল মিস হয়, কিন্তু দোয়া কখনো মিস হয় না।" তাই আমাদের উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে এ হাতিয়ার ব্যবহার করা। আমরা যত গুনাহই করি না কেন দোয়াই পারে আমাদের বাঁচাতে। এমনকি মূত্যুর আগ মুহুর্তেও গুনাহ যদি পাহাড়সমও হয়, তবুও ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করতে পারেন। যার বহু উদাহরণ কুরআন - হাদিসে বিদ্যমান।
এ বিষয়টিকে সামনে রেখেই আয়ান প্রকাশনের এ প্রকাশনা - প্রভুর ডাকে সাড়া দাও। বইটি শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদ, সাঈদ ইবনু আলি আল কাহতানি নামক দুজন বিশ্বখ্যাত আলিমদের সমন্বয়ে লেখা বই। বইটিতে আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় নানা দোয়া স্থান পেয়েছে। বইটির সূচিপত্র মোট ৭ পৃষ্ঠা যা থেকে ধারণা করা যায় কি পরিমাণ দোয়া এ সংক্ষিপ্ত বইতে সংকলন করা হয়েছে। আমরা যদি চলার পথে বইটি কাছে রাখি তবে বইটি আমাদের অনেক উপকারে আসবে আশা করি।
Read More
Was this review helpful to you?
By Sazzad Hossain,
31 May 2022
Verified Purchase
প্রভুর ডাকে সাড়া দাও . . দোয়া মুমিনের জন্য আল্লাহর এক অসাধারণ নিয়ামত। বদ নজর যেমন ভাগ্যকে ছাপিয়ে যায়, তেমনি দোয়াও। অভাবনীয় অসম্ভবও সম্ভব হয়ে উঠে দোয়ার বদৌলতে। দোয়ার কিছু আদব-কায়দা আছে, আছে কিছু বিশেষ মুহূর্ত দোয়া কবুলের। সেসব দিক ঠিক রেখে দোয়া করতে হয়, এতে দোয়ার কার্যকারিতা বাড়ে। বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুযায়ীও অনেক দোয়া আছে যা কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এই বইটিতে সেসব বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে। ১৫ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত পিডিএফ এর সূচিপত্র দেখে মূল বিষয়ের কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়, তবে মূল বইয়ের কিছুটা এখানে থাকা দরকার ছিল। তাহলে ভাল করে বুঝা যেত বই ও বইয়ের বিষয়, উপস্থাপনা নিয়ে।