কোনো এক শহরে (নানা কারণে শহরটার নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকছি) ছিলো এক অনাথ আশ্রম। এই অনাথ আশ্রমে জন্ম অলিভার টুইস্টের। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত সবার মনে সন্দেহ ছিলো ছেলেটা ব... See more
কোনো এক শহরে (নানা কারণে শহরটার নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকছি) ছিলো এক অনাথ আশ্রম। এই অনাথ আশ্রমে জন্ম অলিভার টুইস্টের। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত সবার মনে সন্দেহ ছিলো ছেলেটা বাঁচবে কিনা। উৎকণ্ঠিত আত্মীয় স্বজন বা অভিজ্ঞ ধাত্রী বা বিজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে ঘিরে ছিলো না বলেই হয় তো শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেল সে। এক নিঃসম্বল বুড়ি আর এক যাজক চিকিৎসক ছাড়া আর কেউ ছিলো না তার কাছে। এপৃথিবী এবং পরপারের টানাপড়েনের মধ্যে কিছুক্ষণ পড়ে রইলো বাচ্চাটা শ্বাসহীন। অবশেষে কয়েকবার চেষ্টার পর, যা হোক, শ্বাস টানলো সে। হাঁচির মতো একটা আওয়াজ করলো নাক দিয়ে। তারপর কেঁদে উঠলো তীব্র শব্দে। বিছানায় শোয়া তরুণীটির ফ্যাকাসে মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
Charles John Huffam Dickens (চার্লস ডিকেন্স , 7 February 1812 – 9 June 1870) was an English writer and social critic. He created some of the world's best-known fictional characters and is regarded as the greatest novelist of the Victorian era. His works enjoyed unprecedented popularity during his lifetime, and by the twentieth century critics and scholars had recognised him as a literary genius. His novels and short stories enjoy lasting popularity. Dickens was regarded as the literary colossus of his age.[9] His 1843 novella, A Christmas Carol, remains popular and continues to inspire adaptations in every artistic genre. Oliver Twist and Great Expectations are also frequently adapted, and, like many of his novels, evoke images of early Victorian London. His 1859 novel, A Tale of Two Cities, set in London and Paris, is his best-known work of historical fiction. Dickens's creative genius has been praised by fellow writers—from Leo Tolstoy to George Orwell and G. K. Chesterton—for its realism, comedy, prose style, unique characterisations, and social criticism. On the other hand, Oscar Wilde, Henry James, and Virginia Woolf complained of a lack of psychological depth, loose writing, and a vein of saccharine sentimentalism. The term Dickensian is used to describe something that is reminiscent of Dickens and his writings, such as poor social conditions or comically repulsive characters.
কিম: Back cover এর সারসংক্ষেপ: দুই অসমবয়েসী মানুষ যুক্ত হলো এক স্বপ্নযাত্রায়। পাহাড় পর্বত,বন জঙ্গল,তুষার, বৃষ্টি,নদী নালা পেরিয়ে চলেছে ওরা।কিম কি খুঁজে পেল তার লাল ষার ? আর লামা ? সে কি পাবে তার আরাধ্য নদী?
এরচে বেশি কিছু বলার কি আর প্রয়োজন আছে?
Read More
Was this review helpful to you?
By Arafat Soumik,
12 Mar 2022
Verified Purchase
অসাধারন
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Rakib Hasan,
02 Mar 2024
Verified Purchase
========= কাহিনী/বইয়ের সার-সংক্ষেপ ও পাঠ প্রতিক্রিয়া ========== #০১। অলিভার টুইস্ট: কোন এক অনাথ আশ্রমে দুর্ভাগ্য নিয়েই পৃথিবীর আলো দেখে একটি শিশু। এতই দুর্ভাগ্য যে জন্মের আগেই বাবাকে হারায়, আর জন্মের পরপরেই কপালে শুধু মায়ের একটি চুমুকে সম্বল করে হারায় মাকে। নামও রাখে অন্যকেউ। অনাথ শিশুর নতুন এক পরিচয় হয় নাম অলিভার টুইস্ট। তারপর তার স্থান হলো এক কারাগারের ন্যায় এতিমখানায়। সেখান থেকে নয় বছর পূর্ণ হতেই তাকে চলে আসতে হলো নতুন এক কেন্দ্রীয় এতিমখানায়, যেখানে তার নিজের ভবিষ্যত জীবনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার পাশাপাশি কাজও শিখতে হবে। সেখানে ক্ষুধার জ্বালায় অতিরিক্ত খাবার চাওয়ার অপরাধে তাকে এতিমখানা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর কখনো এক পরিবারে আবার কখনো চোর-বদমাশদের কাছে আবার কখনো দয়াবান মানুষের কাছে ঠাঁই হয় অলিভারের। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, আশ্রয়, মমতার অভাবে সে যেমন জর্জরিত হয় আবার ঠিক তেমনি পেয়েছে আদর ও ভালোবাসার ছোঁয়া। সে তীব্রভাবে অভাববোধ করে নিজের আসল পরিচয়ের। সে কি আসলেই দুর্ভাগা নাকি গোপনে ও লোকচক্ষুর অন্তরালে সে কোন ষড়যন্ত্রের শিকার? বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্সের লেখা উপন্যাস “অলিভার টুইস্ট” প্রথম বই আকারে প্রকাশিত হয় ১৮৩৮ সালে। বইটিতে এক অভাগা এতিম বালকের দুর্ভাগ্য ও তার জীবনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হওয়া সকল যড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে একসময় সে তার আসল পরিচয় ফিরে পায়। বইটিতে আরোও তুলে ধরা হয়েছে তৎকালীন ইংরেজ সমাজের অবস্থা, দৃষ্টিভঙ্গি ও এক ইহুদীর কূটকৌশল। অনুবাদের মানও মোটামুটি ভালো লেগেছে। কালজয়ী ও ক্লাসিক এক উপন্যাস হিসেবে ভালোই উপভোগ করেছি। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৭/১০।
#০২। কিম: লাহোর মিউজিয়ামে অনেকটা ভবঘুরের মতো জীবন কিশোর কিম-এর। বাবা ছিলেন সামরিক বাহিনীর অফিসার আর মা মারা যান কলেরায়। তবে সেই ভবঘুরে জীবনের অবসান হয় যখন তার পরিচয় হয় এক বৃদ্ধ লামা গুরু নাম টেসু। সে সন্ধান করছে এক নদীর। অন্যদিকে কিম তার বাবার কথা অনুযায়ী সন্ধান করছে পাহাড়ের মাঝে সবুজ মাঠে একটি লাল ষাঁড়। ফলে দুই জনেই নিজ নিজ পরম আরাধ্যের জিনিস খুঁজতে বেরিয়ে পড়লো ভারতবর্ষের পথে পথে। পথে বিচিত্র লোকজনের সাথে পরিচয়ের পাশাপাশি তারা পরিস্থিতি সাপেক্ষে দেখলো, শিখলো ও জানলো অনেককিছু। আবার কখনো তাদের পড়তে হলো প্রাণ সংশয়ে। তবে তারা কি পেয়েছিলো নিজ নিজ আরাধ্যের সন্ধান? বিখ্যাত নোবেল বিজয়ী ইংরেজ ঔপন্যাসিক রাডওয়ার্ড কিপলিং লেখা কিশোর অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস “কিম”। এটি বই আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০১ সালে। বইটি মূলত এক বৌদ্ধ লামা গুরু ও কিশোর বালক কিমের ভবঘুরে জীবন ও নিজেদের পরম আরাধ্যের বস্তুর সন্ধান নিয়ে রচিত। এই সন্ধানকালে তাদের নানা অভিজ্ঞতা ও তৎকালীন শাসক-রাজাদের বিভিন্ন গোপন অভিযানের কাহিনী বইতে তুলে ধরা হয়েছে। অনুবাদের মানও মোটামুটি লেগেছে। কিশোর উপন্যাস হিসেবে ভালো। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৬/১০।
#০৩। লস্ট হরাইজন: চারজন যাত্রী মিস রবার্টা ব্রিংকলো, হেনরী ডি বার্নাড, কনওয়ে ও চার্লস ম্যানিলসন চন্দ্রাপুরের মহারাজা কর্তৃক ধার দেয়া একটি বিমানে করে রওনা হলেন পেশাওয়ারে যাওয়ার জন্য। পাইলটকে নিয়ে ম্যানিলসনের সন্দেহ হলেও কনওয়ে সেটা উড়িয়ে দেন। পরে তিব্বতের দুর্গম এক পাহাড়ি অঞ্চলে বিমান বিধ্বস্ত হলে বোঝা যায় ম্যানিলসনের কথাই সত্যি। দিশেহারা হয়ে যখন চারদিকে চারজন হতাশ হয়ে দেখতে লাগলো ঠিক তখনই চ্যাং নামক এক বৌদ্ধ উপযাজক তাদের গ্রহণ করে নিয়ে গেলেন শাংরিলা নামক এক বৌদ্ধমঠে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হলো চ্যাং যেন তাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। প্রায় পুরো দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন এক নতুন জায়গায় যেন উপস্থিত হলেন চারজন। বিপত্তি বাধলো তখনই যখন সবাই সেখান থেকে ফেরার উপায় খুঁজতে শুরু করলেন। কারণ উপযাজক চ্যাং যেন চান না তারা আর ফেরত যান। রহস্যময় এই শাংরিলা বৌদ্ধমঠকেই তিনি তাদের আপন করতে বলেন বাকী জীবনের জন্য! বিখ্যাত ইংরেজ লেখক জেমস হিলটন ১৯৩৩ সালে এই উপন্যাস রচনা করেন। তিব্বতের রহস্যময় পাহাড়ি অঞ্চলে চারজন হারিয়ে যাওয়া বিমান যাত্রীর এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা নিয়েই এই উপন্যাস। যেখানে এই চারজনকে শাংরিলা নামক এক রহস্যময় মঠে নিয়ে যান চ্যাং নামক সেখানকার এক উপযাজক। কনওয়ে পরে বুঝতে পারেন কোন রহস্যময় কারণে বা অদ্ভুত এক যাদুবলে এই মঠের সকল অধিবাসী শতবর্ষী আয়ু লাভ করেছেন যা পৃথিবীর অন্য কোথাও সম্ভব নয়। আর চ্যাং চাননা তার এই মঠ ছেড়ে চলে যাক। অ্যাডভেঞ্চার ও রহস্যময় উপন্যাস হিসেবে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। অনুবাদের মানও মোটামুটি ভালোই ছিলো। ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৭.৫/১০।
প্রোডাকশনঃ সেবা প্রকাশনীর প্রোডাকশন নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই; যা হয়তো আকর্ষণীয় ও টেকসই নয় কিন্তু সর্বস্তরের পাঠকদের জন্য ক্রয় উপযোগী।