জীবনের আতর গোলাপ (হার্ডকভার)

মাসটি ছিল শ্রাবণ। বর্ষা-বিষণ্ণ একটি দিন। করুণ আকাশে ধূপছায়া রঙ মেঘ। বৃষ্টি ভেজা গাছ-গাছালির শাখায় ধীরে ধীরে নামছে মেদুর সন্ধ্যা। এক সময় অঝোর ধরায় শ্রাবণের রাত শিহরিত হতে থাকে। বর্ষণ মুখর ঘন শ্রাবণ রাতে, সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার সুখাইড় গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক জমিদার পরিবারে আমার জন্ম। ১৯৪৫ সালের ২৭ জুলাই আমি পৃথিবীর আলো দেখেছি, গাঢ় রাতের বাদলা হাওয়া প্রথম আমাকে ছুঁয়ে গেছে।
মা নীলিমা রায় চৌধুরী, বাবা সুধাংশু শেখর রায় চৌধুরী। ভাগ্যগুণেই হয়তো এ পরিবারে আমার জন্ম। 'ঘরের লক্ষ্মী' হিসেবেই আবাহন করেছেন আমাকে। দাদু, সুরেন্দ্র মোহন রায় চৌধুরী সেই ঘনঘোর রাতে নাকি আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে বলেছিলেন-আমার ঘরে লক্ষ্মী এসেছে। উলুধ্বনিতে মুখর হয়েছে বাড়ি, শাঁখ বেজে উঠেছিল মধুর ধ্বনিতে। উৎসবময় হয়ে উঠেছিল সারা প্রাঙ্গণ। অঝোর বৃষ্টির ধারাপাতের মাঝে কাকু বিমল কান্তি রায় চৌধুরী উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছেন, ঝরঝর ঝর্ণার মতো বৃষ্টি ঝরছে-মেয়ের নাম ঝর্ণা-ই হোক।