"চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম"বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: স্টুডেন্ট লাইফের জাতীয় খাবার হচ্ছে বাঁশ। সে জন্যই হয়তাে পরীক্ষা এলে টিচাররা বাঁশ দেয়। রেজাল্ট খারাপ হলে পাশের বাসার আন্টি বাঁশ দেয়। প্রেম করতে চাইলে যে ফ্রেন্ডটা হেল্প করতে পারত সেইই উল্টা তার নিজের সঙ্গে আংটা লাগিয়ে বাঁশ দেয়। এই রকম শত শত কচি বাঁশ, কঞ্চি বাঁশ, আইক্কাওয়ালা বাঁশকে নাশ করতেই এই বই ‘চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম। যাতে বাঁশ খেয়ে বেদিশা, লাইফ নিয়ে হতাশা, ফিউচার নিয়ে কুয়াশা, ভাগ্যের তামাশা, সব দুর্দশাকে মুচড়ে ফেলতে পারাে কুংফু স্টাইলে। ক্যালসিয়ামের পাওয়ার দিয়ে। এই লেখাগুলাতে মাঝেমধ্যেই কিছু চলমান বাংলা এবং ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এবং আন্তরিকতা বােঝাতে কখনাে কখনাে তুই বলে সম্বােধন করা হয়েছে। কারণ ঘনিষ্টতা বােঝাতে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক মহাশয় আপনি কি আমার দুঃখ হবেন না বলে তিনি বলেছেন, ‘তুই কি আমার দুঃখ হবি? তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি? এই বই লিখতে জীবনের ওপার থেকে আমাকে সাহস জুগিয়েছেন আমার আব্দু। আর পাশ থেকে সহযােগিতা করে গেছেন আমার আম্মু, আমার স্ত্রী কারিনা, ছােট ভাই হীরা, বােন রিটা, নিপুণ আর নূপুর। এ ছাড়া সব সময় সহযােগিতা করে গেছে লাবীব, শারাফাত, সাজু ভাইসহ আরও অনেকেই। ক্যালরি ঝরালে, ক্যালসিয়াম বাড়বে। সেই প্রত্যাশায়
পাঠকসমাজে তাঁর পরিচিতি এখন গৎবাঁধা লেখার বাইরে নতুনত্বের আমেজ এনে দেওয়া তরুণ লেখক হিসেবে। তিনি ঝংকার মাহবুব, পেশায় একজন ওয়েব ডেভেলপার। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক পাশ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ঝংকার মাহবুব। বাংলাদেশের তরুণ লেখকদের মধ্য থেকে ঝংকার মাহবুব এর বই আলাদা করা যায় খুব সহজেই। তাঁর লেখার বিষয়গুলোও ব্যতিক্রমধর্মী। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে কীভাবে এ দেশের তরুণদের মাঝে সহজবোধ্য করা যায়– তা নিয়েই ঝংকার মাহবুব এর বই সমূহ। তাঁর লেখা বইগুলোতে তিনি প্রোগ্রামিংয়ের মতো কাঠখোট্টা জিনিসকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝংকার মাহবুবের বই সমগ্র এখন এ দেশের তরুণ প্রোগ্রামারদের কাছে প্রোগ্রামিং শেখার মজার বন্ধু হয়ে উঠছে এবং এই বইগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য কিছু বই হলো রিচার্জ ইয়োর ডাউন ব্যাটারি, হাবলুদের জন্য প্রোগ্রামিং, প্রোগ্রামিংয়ের বলদ টু বস, প্রোগ্রামিংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী, প্যারাময় লাইফের প্যারাসিটামল ইত্যাদি। প্রোগ্রামিং শেখানো সহজ করা বইগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলেও ঝংকার মাহবুব তাঁর লেখার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন তরুণ প্রোগ্রামারদেরকে। লেখালেখির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি শিকাগোর নিলসেন কোম্পানিতে সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কর্মরত আছেন।
রিভিউ - ফাহিম মোরশেদ বইয়ের নাম : চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম লেখকের নাম : ঝংকার মাহবুব জনরা : সেলফ হেল্প, মোটিভেশন পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১১১ মুদ্রিত মূল্য : ২৪০/- প্রকাশনী : আদর্শ
স্টুডেন্ট লাইফের জাতীয় খাবার হচ্ছে বাঁশ। সে জন্যই হয়তাে পরীক্ষা এলে টিচাররা বাঁশ দেয়। রেজাল্ট খারাপ হলে পাশের বাসার আন্টি বাঁশ দেয়। প্রেম করতে চাইলে যে ফ্রেন্ডটা হেল্প করতে পারত সেইই উল্টা তার নিজের সঙ্গে আংটা লাগিয়ে বাঁশ দেয়। এই রকম শত শত কচি বাঁশ, কঞ্চি বাঁশ, আইক্কাওয়ালা বাঁশকে নাশ করতেই এই বই ‘চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম’।
বইয়ের বর্ণনা :
চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম বইটিকে শুধু মোটিভেশনাল বই বলা পুরোপুরি ঠিক হবে না। কারণ এই বইটিতে একজন সিনিয়র তার জুনিয়রকে পড়াশোনা এবং জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সব উপদেশ এবং দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন নেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজে, হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিমায়।
এই বইটি মোটিভেশনাল বই হলেও এখানে অসংখ্য ক্যারিয়ার ডাইরেকশন বা দিক নির্দেশনাও দেওয়া আছে। সাথে কিছু টেকনিকের কথাও বলা হয়েছে। যেমন: OLLS (Observe, Listen, Learn, Speak), REST (Reward, Eliminate, Specific, Timebox), কীভাবে টাকা বাচাতে হয়, কীভাবে ব্যবসা শুরু করে সেটাকে খুব দ্রুত দাঁড় করানো যায়, চাকরী পাওয়ার জন্য বিভিন্ন টেকনিক ইত্যাদি। জীবনের সাথে সম্পর্কিত এরকম আরও কিছু টপিক খুব ভালো ভাবে তুলে ধরেছেন লেখক বইটিতে।বই শেষের দিকে নিজেকে যাচাইও করতে পারবেন আপনি আপনার লাইফের কোন স্টেপে রয়েছেন।
যে বিষয়গুলো সম্পর্কে স্কুল/কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে বলা হয় না, সেরকম বেশ কিছু জিনিস নিয়ে ঝংকার ভাইয়া আলোচনা করেছেন একদমই প্রাঞ্জল ভাষায়। কিভাবে টাকা ম্যানেজ করতে হয়? কোনো কিছুর সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে হয়? সময় এর সঠিক ব্যাবস্থাপনা কীভাবে করতে হয়? ইত্যাদি অনেক প্রশ্নের সুন্দর উত্তর বইতে পাবেন। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের খেলার মাঠ কিন্তু একটা না, একেকজন আলাদা আলাদা ফিল্ডে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারে। লাইফে বারবার উষ্টা খাওয়ার পরও যারা ইফিশিয়েন্ট আর ইফেক্টিভভাবে লেগে থাকবে তাদের জন্যই বরাদ্দ থাকবে সফলতা। (যদিও বইতে লেখক ইফিশিয়েন্ট হওয়ার চেয়ে ইফেক্টিভনেসকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন)
পুরো বইতে ১৫-২০টি ভিন্ন ভিন্ন থিওরি দেয়া আছে যা স্বল্প পরিসরেও আলোচনা করা দুষ্কর। তবে এরমধ্যে একটি থিওরি আমার ব্যাক্তিগতভাবে অসাধারণ লেগেছে, এটি হল “চালাক” থিওরি। চালাকের পূর্ণরূপ লেখকের মতে- চেখে দেখা, লেগে থাকা, কামাই করা। আমরা আমাদের আশেপাশে অনেক অপ্রচুনিটি দেখতে পাই। কিন্ত কোনটায় আমাদের আসলে প্যাশোন রয়েছে এটা খুঁজে বের করতে অনেকের সমস্যা হয়। এইজন্য প্রথমে ঝংকার মাহবুব বলেচ্ছেন, চেখে দেখতে সব ফিল্ডকেই। এরপর লেগে থাকতে যেকোনো একটিকে আঁকড়ে ধরে। আর চালাক শব্দের লাস্ট অক্ষর ‘ক’। এই 'ক' দিয়ে লেখক বোঝান কামাই করতে হবে। প্যাশনের ফিল্ডে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে কাজটি করার পাশাপাশি ইনকাম করাটাও খুব জরুরি। যেটা আমরা অনেকেই মিস করে যাই, এরকম হাজারো ফ্যাক্ট ‘চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম’ বইটি জুড়ে বিদ্যমান।
পাঠকের অনুভূতি :
“চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম” বইটিতে একটি জিনিস খুব ভালোকরে শিখেছি যে, অন্য কারো আউটপুটের সাথে নিজের আউটপুটের সাথে নিজের আউটপুট কম্পেয়ার না করে বরং অন্যদের ইনপুট আর ইফোরটের সাথে নিজেরটি কম্পেয়ার করা বেশি জরুরি। আর জীবনে ৪/৫ বছর ডেডিকেটেড ভাবে কোনো না কোনো ক্ষেত্রে দিতেই হবে আমাদের, যে যত আগে দিতে অয়ারবে সে তত বেশি সুবিধা ভোগ করবে। অনেক ছোটখাটো টিপস, ট্রিক্সের সমন্বয়ে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা ঝংকার মাহবুব ভাইয়ের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। শুধু পড়ালেখা বা স্টাডি মোটিভেশনের বাইরে এসে অসংখ্য ক্যারিয়ার গাইডলাইন বইকে অনন্য রূপ দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ বইয়ের খারাপ কোনো দিকই সেভাবে চোখে পড়ে নি। ঝংকার ভাইয়ের কাছে এমন আরো বইয়ের অপেক্ষায় রইলাম। এভাবেই বইয়ের কথা ছড়িয়ে পরুক। পৃথিবী বইয়ের হোক। Highly recommended for every student.
বইটির কিছু লাইন যা আমার পছন্দ হয়েছে :
কে ভালো করবে আর কে খারাপ করবে এটা তার বাড়ি, বাপের গাড়ি, মায়ের শাড়ি, পেটের নাড়ি, দাঁতের মাড়ি কোনো কিছুর ওপরেই নির্ভর করবে না।
গদগদ হয়ে জানপ্রাণ সঁপে দেওয়ার আগে বুঝতে হবে….হয়তো কিছুদিন পরে ঐ নদীর স্রোত অন্য কারো হৃদয়ে চলে যেতে পারে।
তুই যদি সলিড থাকস, অনেস্ট থাকস, হার্ডওয়ার্ক করস; তাহলে তুই যদি দুই-চারবার খারাপ করস। দ্যাট ডাজন্ট ম্যাটার।
পাত্তা পাওয়া মেইন উদ্দেশ্য না। উদ্দেশ্য হচ্ছে পাত্তা পাওয়ার অসিলায় তুমি কিছু একটা জিনিস ভালোভাবে করতে শুরু করবা।
রিস্ক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়, মুচড়ে ফেলে সংশয় তিন মাসেই সারতে পারবে, সারা বছরের আমাশয়।
Read More
Was this review helpful to you?
By Probir Ghosh,
07 May 2021
Verified Purchase
কিভাবে গুরুজীর প্রশংসা করলে সঠিক হবে...কোন ভাষায়/কোন শব্দ চয়ন করলে যথাযথ প্রশংসা করা হবে আমি জানি না...আমি শুধু বলতে চাই..চিরদিন ঝংকার মাহবুব ভাইয়ার সেনাপতি হয়ে থাকতে চাই...ওনার প্রতিটা বই আমার জীবন-ধারা বদলে দিচ্ছে..."চেষ্টার জিমনেসিয়াম ফিউচারের ক্যালসিয়াম" আমাকে নতুন ভাবে গড়ে দিচ্ছে...চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমার কোথায় কোথায় সমস্যা...এমন "ডিজিটাল-দার্শনিকের কথাগুলো শুনেও..বুঝেও যদি নিজের ভুল সংশোধন না করি তাহলে...নিজের সাথে সবচেয়ে বড় বেইমানি করা হবে...আর যেই উদ্দেশ্যে উনি বইটা লিখেছেন... গুরুজীর ওই উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হবে...
যুগ যুগ জিও,গুরুজী❤️?????
Read More
Was this review helpful to you?
By Farjana Yeasmin,
14 Apr 2021
Verified Purchase
owhoo..I don’t know how I share my feeling when I was read the book. The book was so amazing but somehow I was confused that hay what did I do? my answer: nothing just saw a dream and sleep. But on those days I really changed myself like every day do a new good thing and work hard to fulfill my dream and help others people.sooooo yeah I am here to say Jhankar Mahbub mamma .. oh sorry only MAMA thank you ?❤❤..And new people who saw firstly review yep brother or sister the book is amazing. It is the best book than a motivation book trusts me.??
Read More
Was this review helpful to you?
By Muntajim Rahman,
13 Apr 2021
Verified Purchase
বইটি পড়ার পরমূহুর্তেই আমার মনে হলো বইটি যেন আমাকে নিয়েই লিখা হয়েছে। কারণ প্রাইমারি স্কুল লেভেলে আমি অত্যন্ত ভালো ফলাফল করলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে তেমন আর হয়ে উঠেনি। বইটি পড়তে গিয়ে কখনো মনে হয়নি যে কোনো লেখক বইটি লিখছে,মনে হচ্ছিলো যেন আমারই এক সহপাঠী আমার পাশে থেকে আমাকে প্রতিনিয়ত সুপরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। বইটির অন্যতম ভালো লাগার এক লাইন হলো-"লাইফে সমস্যা আসা সমস্যা না। অন্যরা সমস্যা দিচ্ছে সেটাও সমস্যা না; বরং সমস্যা হচ্ছে সমস্যা জেনেও সমাধানের চেষ্টা না করা।" বইটি পড়ার পর নিজেকে প্রো-একটিভ রাখার অনেক উপায় সম্পর্কে জেনেছি।
Read More
Was this review helpful to you?
By Samad Ahmad,
04 Apr 2021
Verified Purchase
জানিনা কিভাবে ভাইয়াকে ধন্যবাদ দিবো, সময়টা ২০১৯সাল ভার্সিটি ২য় বর্ষে উঠেছিলাম কেবল, কিভাবে নিজের ক্যারিয়ার করবো নিজের সময়কে কিভাবে কাজে লাগাবো কোনো কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না ঠিক সেই সময়ে "রিচার্জ ইয়র ডাউন ব্যাটারি" বইটি পড়ে আমার চার্জ এতো পরিমান ফুল হয়েছিলো যার ফল এখনো পাচ্ছি মাশাআল্লাহ, এই বইটি আরো আগে পরলে হয়তো ক্যালসিয়াম আরো একটু বেশিই পেতাম ??? যারা লাইফ নিয়ে চিন্তিত নিঃসন্দেহে এই বইটি পড়েন, কিভাবে সময়কে কাজে লাগিয়ে একটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠবেন এই বিষয়টি ভালোভাবে আয়ত্ব করতে পারবেন। ধন্যবাদ ঝংকার ভাইকে❤️