"বিল গেটস (দ্যা গ্রেটেস্ট এনট্র্যাপ্রেনার অব সফটওয়্যার)" সূচিপত্র * টুকরো গল্প,টুকরো স্মৃতি, টুকরো টুকরো কথা * আরও এগিয়ে চলা * হাই-টেক হাইওয়ে * বিল গেটসের ব্যবস্থাপনা রীতি * মাইক্রোসফটের ব্যবসায়িক আদর্শ * কম্পিউটার যুদ্ধ * মাইক্রোসফটের ভুল-ত্রুটি * আগামী দিনের পথ চেয়ে * অন্যেরা যা বলেন * সর্বোচ্চ শিখরে * বিল গেটসের বাড়ি * একটুখানি ভালোবাসা * নতুন কম্পিউটার সংস্কৃতি * ব্যক্তিগত জীবনে গেটস * ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা * ঘটনাবলি
‘পড়ো পড়ো পড়ো’ বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে জোর-জবরদস্তি করে সরিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নেন জেনারেল এরশাদ। লেখক তার ঠিক দুই দিন আগে এসএসসির শেষ লিখিত পরীক্ষা দেন। ১৯৯০ সালের ৩ ডিসেম্বর নিশ্চিত হয় স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিদায়। এর কিছুদিন পরই শেষ হয় লেখকের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবন। বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের পুরো সময়টা জুড়ে লেখক নিজেকে সন্ধান করে ফিরেছেন। কখনো মিছিলে, কখনো আকাশ দেখায় কিংবা কখনো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরিতে। সময়টা ছিল বাংলাদেশের জন্য ক্রান্তিকাল। সেই সময়ে বাংলাদেশে পোশাকশিল্পের বিকাশ শুরু হয়। সেই বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় দেশে পুঁজির গঠন। ফলে অনুমতি দেওয়া হয় বেসরকারি ব্যাংকের। আর এর বিকাশের জন্য চালু হয় আইবিএ। এভাবেই আমাদের সমাজে এক নতুন পরিবর্তন সূচিত হয়। এরশাদ আমলের বেশির ভাগ সময় ছাত্রদের কেটেছে রাজপথে, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। আর ঠিক সে সময়ে রাস্তা থেকে রাস্তায়, লাইব্রেরি থেকে লাইব্রেরিতে পড়ার জন্য ঘুরে বেড়াতেন লেখক। কখনো রাতের নাশতার টাকা বাঁচিয়ে, কখনো রিকশার খরচ বাঁচিয়ে নিজের একটা জগৎ বানানোর চেষ্টা করেছেন মুনির হাসান। এ বইটা তার নিজেকে খুঁজে ফেরার প্রথম পর্ব— আত্মানুসন্ধানের কাহিনি।
"বিশ্বনবী (হযরত রসূল (স:) এর জীবনী)" সূচিপত্রপ্রথম খন্ড * আমিনার কোলে * কোন আলোকে * প্রতিশ্রুতি পয়গম্বর * বংশ পরিচয় * নামকরণ * সমসাময়িক পৃথিবী * শিশুনবী * প্রকৃতির কোলে * বক্ষ-বিদারণ * শিশুনবী এতিম হইলেন * সিরিয়া ভ্রমণ * আল-আমিন * শাদী মুবারক * কাবাগৃহের সংস্কার * গৃহীর বেশে * সত্যের প্রথম প্রকাশ * সত্যের স্বরূপ * সত্য প্রচারের আদেশ * সত্যের প্রথম প্রচার * প্রথম তিন বৎসর * সংঘর্ষের সূচনা * উৎপীড়ন * -এ আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে * প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হইল * সাহারাতে ‘ফুটলরে ফুল’ * অন্তরীন বেশে * সর্বহারা * তায়েফ গমন * আল মি’রাজ * অন্ধকারর অন্তরালে * হিযরতের পূর্বাভাস * শিষ্যদিগের প্রস্থান * হিযরত * আল-মদিনায় * প্রেমের বন্ধন * ইসলামিক রাষ্ট্র রচনা * মদিনার আকাশে কালো মেঘ * বদর-যুদ্ধ * বদর-যুদ্ধের পরে * ওহদ যুদ্ধ * জয় না পরাজয় * ওহদ যুদ্ধের শেষে * চতুর্থ ও পঞ্চম হিযরীর কয়েকটি ঘটনা * আয়েশার চরিত্রে কলঙ্ক-দান * খন্দক যুদ্ধ * ষষ্ঠ হিযরীর কয়েকটি ঘটনা * হোদায়বিয়ার সন্ধি * দিকে দিকে গেল আহবান * খায়বার বিজয় * মুলতবী হজ * মুতা-অভিযান * মক্কা বিজয় * মক্কা-বিজয়ের পরে * হোনায়েন ও তায়েফ অভিযান * তাবুক অভিযান ও অন্যান্য ঘটনা * বিদায় হজ * পরপারের আহবান * শেষ কথা
দ্বিতীয় খন্ড * পূ্র্বাভাষ * হযরত মুহাম্মদ জন্ম তারিখ কবে * কাবা শরীফ কখন নির্মিত হইয়াছিল * ইসলাম ও পৌত্তলিকতা * ইসলাম ও মো’জেজা * স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক * বিজ্ঞান আজ কোন পথে * ইসলাম ও নূতন বিজ্ঞান * মি’রাজ * থিওসফী ও মি’রাজ * ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ নাম কি সার্থক হইয়াছে * মুহম্মদ ‘মুহম্মদ’ ছিলেন কিনা * হযরতের বহু বিবাহের তাৎপর্য * মুহম্মদ ‘আহ্মদ’ ছিলেন কি-না
"যদ্যপি আমার গুরু" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কিছু কথা: লেখক এই বইটিতে এমন এক জন ব্যাক্তিকে নিয়ে আলোচনা করেছেন, যাকে বল হয় জাতীয় অধ্যাপক। তিনিই আব্দর রাজ্জাক একাধারে অর্থশাস্ত্র, রাস্ট্রবিজ্ঞান, সামাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, শিল্প-সাহিত্য, ধর্ম-সংস্কৃতিসহ সকল শাখায় তার রয়েছে পান্ডিত্য। লেখক স্বশরীরে আব্দুর রাজ্জাক স্যারের সাখে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সে সব কথা ছিলো নানান প্রেক্ষাপট এবং বিষয় ভিত্তিক। আহমদ ছপার সাথে স্যারের কথাপকোথন এবং স্যারের জ্ঞান গর্ভ আলোচনা নিয়ে উপস্থাপন হয়েছে এই বই। তৎকালিন সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার নানান অসংগতি উঠে এসেছে এই বইটিতে। আহমদ ছফা আবদুর রাজ্জাকের সান্নিধ্যে ছিলেন প্রায় সাতাশ বছর। সুদীর্ঘ একটা সময়। সম্পর্কে ছাত্র-শিক্ষক হলেও মনে হয়নি তাদের সম্পর্কটায় আদৌ কোন ফর্ম্যালিটি ছিল। এত দীর্ঘ সময় ধরে কাউকে গুনমুদ্ধ করে রাখা কিন্তু খুব কঠিন ব্যাপার। কিন্তু আবদুর রাজ্জাক পেরেছিলেন, শুধু ছফা নয়, সমসাময়িক অনেক প্রতিভাবানেরাই তাকে গুরুর আসনে আসীন করেছেন। এই মানুষটিকে বিশ্বকোষ বললে বাড়িয়ে বলা হয় না, জ্ঞানের শাখায় শাখায় তার অবাধ বিচরণ। ছাত্রের মনের জানালা খুলে দেয়া শিক্ষক বুঝে এমন কাউকেই বলে। অথচ বিস্তর পড়াশোনা, অগাধ জ্ঞানী এই মানুষটি কখনও নিজে কিছু লেখেননি । আবদুর রাজ্জাক স্যার কেন লেখেননি এই ব্যাপারে ছফা ব্যাখা দিয়েছেন এভাবে, এই মানুষটি তার সমকালীনদের গন্ডি পেরিয়ে এতখানিই উপরে উঠেছিলেন যে তাদের কাতারে নেমে আসা হয়ত একটু মুশকিল হত তাঁর জন্য। আহমদ ছফা এই অসাধারন মানুষটির সান্নিধ্যের স্বাদ কিছুটা হলেও আমাদের কাছে পৌছে দিতে চেয়েছেন এই বইটির মধ্য দিয়ে। দুজন অসম বয়সী বন্ধুর টুকরো টুকরো আলাপচারিতার স্মৃতিচারণ বলে একে মেনে নিতেও আমার আপত্তি নেই। আবদুর রাজ্জাক স্যার বই পড়া প্রসঙ্গে খুব দারুন একটা কথা বলেছেন, “পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা। আপনের ভাষার জোর লেখকের মতো শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইর্যা নিবেন , আপনের পড়া অয় নাই।”
ফ্ল্যাপে লিখা কথা জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে চলমান বিশ্বকোষ বললে খুব একটা অত্যুক্তি করা হয় না। অর্থশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস, শিল্প-সাহিত্য, ধর্ম-সংস্কৃতি এই সবগুলো বিষয়ে তিনি বিশেষজ্ঞের মতো মতামত দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। সমকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপীঠসমূহের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের অনেকেই একবাক্যে তাঁর মেধা এবং ধী-শক্তির অনন্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই নিভৃতচারী, অনাড়রম্বর জ্ঞানসাধক মানুষটি সারাজীবন কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। সভ্য-সমিতিতে কথাবার্তা বলারও বিশেষ অভ্যাস তাঁর নেই। তথাপি এই কৃশকায় অকৃতদার মানুষটি তাঁর মেধা এবং মনন শক্তি দিয়ে জাতীয় জীবনের সন্ধিক্ষণ এবং সংকটময় মুহূর্তসমূহে পথ নির্দেশ করেছেন। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, বলতে গেলে, চারটি দশক ধরেই তরুণ বিদ্যার্থীদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।
সকলেই স্বীকার করেন অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক একজন প্রবাদতুল্য পুরুষ। কিন্তু তাঁর জ্ঞানচর্চার পরিধি কতদূর বিস্তুত, আর তিনি ব্যক্তি মানুষটি কেমন সে বিষয়েও মুষ্টিমেয় অনুরাগীদের বাইরে অধিক সংখ্যক মানুষের সম্যক ধারণা নেই। যদ্যপি আমার গুরু গ্রন্থটি পাঠক সাধারণের মনে অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মনীষা এবং মানুষ আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে একটি ধঅরণা গঠন করতে অনেকখানি সাহায্য করবে। এই গ্রন্থের লেখক আহমদ ছফা আমাদের সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি অধ্যাপক রাজ্জাকের ছাত্র। দীর্ঘদিন মেলামেশা করার ফলে অধ্যাপক রাজ্জাককে খুব ঘনিষ্ঠভঅবে দেখার যে দুর্লভ সুযোগ তাঁর হয়েছে, বর্তমান গ্রন্থ তার প্রমাণ। অধ্যাপক রাজ্জাকের ওপর খোলামেলা, তীক্ষ্ণ, গভীর এবং সরস এমন একটি গ্রন্থ রচনা করা একমাত্র আহমদ ছফার পক্ষেই সম্ভব। লেখক অধ্যাপক রাজ্জাকের উচ্চারিত বাক্যের শুধু প্রতিধ্বনি করেননি, ব্যাখ্যা করেছেন, উপযুক্ত পরিপ্রেক্ষিতে স্থাপন করেছেন, প্রয়োজনে প্রতিবাদও করেছেন। এখানেই গ্রন্থটির আসল উৎকর্ষ। অধ্যাপক সমকালীন বিশ্বের কথা বলেছেন। সামাজিক দলিল হিসেবেও গ্রন্থটির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
'কারাগারের রোজনামচা' বইয়ের ফ্ল্যাপে লেখা কথা ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনের সোপানগুলি যে কত বন্ধুর পথ অতিক্রম করে এগুতে হয়েছে তার কিছুটা এই কারাগারের রোজনামচা বই থেকে পাওয়া যাবে। স্বাধীন বাংলাদেশ ও স্বাধীন জাতি হিসেবে মর্যাদা বাঙালি পেয়েছে যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, সেই সংগ্রামে অনেক ব্যথা-বেদনা, অশ্রু ও রক্তের ইতিহাস রয়েছে। মহান ত্যাগের মধ্য দিয়ে মহৎ অর্জন করে দিয়ে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন; ক্ষুধা, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছেন। বাংলার শোষিত বঞ্চিত মানুষকে শোষণের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নত জীবন দিতে চেয়েছেন। বাংলার মানুষ যে স্বাধীন হবে এ আত্মবিশ্বাস বারবার তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে। এত আত্মপ্রত্যয় নিয়ে পৃথিবীর আর কোনো নেতা ভবিষ্যদবাণী করতে পেরেছেন। কিনা আমি জানি না । - শেখ হাসিনা
'কারাগারের রোজনামচা' বইয়ের ভূমিকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সংগ্রাম করেছেন । বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য নিজের জীবনের সব আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন । তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় কারাগারে বন্দি জীবন যাপন করেন ।
বার বার গ্রেফতার হন তিনি । মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করা হয় । আইয়ুব-মোনায়েম স্বৈরাচারী সরকার একের পর এক মামলা যেমন দেয়, সেই মামলায় কোনো কোনো সময় সাজাও দেয়া হয় তাকে । তাঁর জীবনে এমন সময়ও গেছে, যখন মামলার সাজা খাটা হয়ে গেছে, তারপরও জেলে বন্দি করে রেখেছে তাকে । এমনকি বন্দিখানা থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন নাই, হয় পুনরায় গ্রেফতার হয়ে জেলে গেছেন অথবা রাস্তা থেকে- গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে।
ভাষা আন্দােলন বঙ্গবন্ধু শুরু করেন ১৯৪৮ সালে। ১১ই মার্চ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এবং গ্রেফতার হন । ১৫ই মার্চ তিনি মুক্তি পান। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সমগ্ৰ দেশ সফর শুরু করেন। জনমত সৃষ্টি করতে থাকেন। প্রতি জেলায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলেন । ১৯৪৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ফরিদপুরে গ্রেফতার করে । ১৯৪৯ সালের ২১শে জানুয়ারি মুক্তি পান। মুক্তি পেয়েই আবার দেশব্যাপী জনমত সৃষ্টির জন্য সফর শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের দাবির প্রতি তিনি সমর্থন জানান এবং তাদের ন্যায্য দাবির পক্ষে আন্দোলনে অংশ নেন । সরকার ১৯৪৯ সালের ১৯শে এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। জুলাই মাসে তিনি মুক্তি পান। এইভাবে কয়েক দফা গ্রেফতার ও মুক্তির পর ১৯৪৯ সালের ১৪ই অক্টোবর আর্মানিটােলা ময়দানে জনসভা শেষে ভুখা মিছিল বের করেন। দরিদ্র মানুষের খাদ্যের দাবিতে ভুখা মিছিল করতে গেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা ভাসানী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হন। এবারে তাকে প্রায় দু’বছর পাঁচ মাস জেলে আটক রাখা হয়। ১৯৫২ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন।
১৯৫৪ সালের ৩০শে মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে করাচি থেকে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করে গ্রেফতার হন এবং ২৩শে ডিসেম্বর মুক্তি লাভ করেন। ১৯৫৮ সালের ১২ই অক্টোবর তৎকালীন সামরিক সরকার কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এবারে প্রায় চৌদ্দ মাস জেলখানায় বন্দি থাকার পর তাকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় জেল গেটেই গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬০ সালের ৭ই ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করে মুক্তি লাভ করেন। ১৯৬২ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি আবার জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়ে তিনি ১৮ই জুন মুক্তি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৪ দিন পূর্বে তিনি আবার গ্রেফতার হন। ১৯৬৫ সালে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও আপত্তিকর বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড প্ৰদান করা হয়। পরবতী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি লাহােরে বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি পেশ করেন। ১লা মার্চ তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন । তিনি যে ছয় দফা দাবি পেশ করেন তা বাংলার মানুষের বাঁচার দাবি হিসেবে করেন, সেখানে স্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপন করেন যার অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা । একের পর এক দাবি নিয়ে জনগণের অধিকারের কথা বলার কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের প্রথম তিন মাসে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোহর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, পাবনা, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন শহরে আটবার গ্রেফতার হন ও জামিন পান । নারায়ণগঞ্জে সর্বশেষ মিটিং করে ঢাকায় ফিরে এসেই ৮ই মে মধ্য রাতে গ্রেফতার হন। তাঁকে কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে জীবন কাটাতে হয়। শোষকগােষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষের ন্যায্য দাবি তুলে ধরেছেন। ফলে যখনই জনসভায় বক্তৃতা করেছেন তখনই তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে সরকার । ১৯৬৮ সালের ৩রা জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক নম্বর আসামি করে মোট ৩৫ জন বাঙালি সেনা ও সিএসপি অফিসারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে । ১৮ই জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে জেলগেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করে তাকে ঢাকা সেনানিবাসে কঠোর নিরাপত্তায় বন্দি করে রাখে ।
‘উইংস অব ফায়ার’ ফ্ল্যাপে লিখা কথা আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আবদুল কালাম জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৩১ সালে, ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। তার অল্প শিক্ষিত পিতা ছিলেন নৌকার মালিক। প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন কালাম এবং পরবর্তী সময়ে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন অর্জন করেন। এই বইয়ে নিজের শৈশব থেকে বেড়ে ওঠার অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করেছেন তিনি, সেই সঙ্গে তার পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো। আরও এসেছে তার তৈরি অগ্নি, পৃথ্বী, আবাশ , ত্রিশুল ও নাগ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর নেপথ্য-কাহিনী। ক্ষেপনাস্ত্র শক্তির দিক থেকে এগুলো ভারতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করে। এই পরমানু বিজ্ঞানী ব্যাক্তি জীবনে দৈনিক ১৮ ঘ্ন্টা কাজ করেন, এবং বীণা বাজাতে পারেন চমৎকার। তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটাল ট্রান্সফর্মেশনের অধ্যাপক। ** ২৭ জুলাই, ২০১৫ আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আবদুল কালাম মৃত্যুবরণ করেন।
"অসমাপ্ত আত্মজীবনী (ডিলাক্স)" ২০০৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা আকস্মিকভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার হস্তগত হয়। খাতাগুলি অতি পুরানো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় এবং লেখা প্রায়শ অস্পষ্ট। মূল্যবান সেই খাতাগুলি পাঠ করে জানা গেল এটি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, যা তিনি ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে অন্তরীণ অবস্থায় লেখা শুরু করেছিলেন, কিন্তু শেষ করতে পারেননি। জেল-জুলুম, নিগ্রহ-নিপীড়ন যাঁকে সদা তাড়া করে ফিরেছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসর্গীকৃত-প্রাণ, সদাব্যস্ত বঙ্গবন্ধু যে আত্মজীবনী লেখায় হাত দিয়েছিলেন এবং কিছুটা লিখেছেনও, এই বইটি তার সাক্ষর বহন করছে।
বইটিতে আত্মজীবনী লেখার প্রেক্ষাপট, লেখকের বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, স্কুল ও কলেজের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, দুর্ভিক্ষ, বিহার ও কলকাতার দাঙ্গা, দেশভাগ, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল অবধি পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, আদমজীর দাঙ্গা, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের বিস্তৃত বিবরণ এবং এসব বিষয়ে লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা রয়েছে। আছে লেখকের কারাজীবন, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও সর্বোপরি সর্বংসহা সহধর্মিণীর কথা, যিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সহায়ক শক্তি হিসেবে সকল দুঃসময়ে অবিচল পাশে ছিলেন। একইসঙ্গে লেখকের চীন, ভারত ও পশ্চিম পাকিস্তান ভ্রমণের বর্ণনাও বইটিকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছে।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. ডিগ্রি লাভ করেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে অধ্যয়ন করেন। ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। তিনি তাঁর দল আওয়ামী লীগকে ১৯৭০ সালের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করেন। তাঁর এই অর্জন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের অন্যতম প্রেক্ষাপট রচনা করে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তিনি এক ঐতিহাসিক ভাষণে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” ঐ সংগ্রামের জন্য তিনি জনগণকে “যা কিছু আছে তাই নিয়ে” প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিরা ১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন। তাঁরা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন হলে শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১০ জানুয়ারি বীরের বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। বাঙালির অবিসম্বাদিত নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমান জীবদ্দশায় কিংবদন্তী হয়ে ওঠেন।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি শাহাদতবরণ করেন।
বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
ইতিহাসের আকর এই গ্রন্থে লেখক শুরুতে তার নিজের জন্ম , বেড়ে ওঠা আর বংশ পরিচয় নিয়ে কিছুটা আলোকপাত করলেও , পরবর্তীতে এই বইয়ের মূল বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে এই উপমহাদেশের এবং আরো বিশেষ করে বলতে গেলে , ১৯৪৭ সনে জন্ম নেয়া একটি উদ্ভট রাষ্ট্র পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের রাজনীতির হালাখাতায় । প্রবল আগ্রহে লেখক, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দির নেতৃত্বে কর্মী হিসাবে রাতদিন খেটে মুসলিম লীগ নামের যে দলটি তিনি তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো করে, যার পেছনে একটাই উদ্দীপনা ছিল তাঁর , আর তা হলো দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে যতোটা না তার চেয়ে বেশী , শেরে বাংলার লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে একটি স্বতন্ত্র দেশ সৃষ্টি করা , যা গনমানুষের আকাংখা পূরণ করবে । আর সে দেশটির ব্যাপ্তি হবে আসাম ও কোলকাতা নিয়ে পরিপূর্ণ বাংলা । যা কিনা অবশেষে হয়নি , হীনমন্য সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ আর সুযোগসন্ধানী ক্ষমতালোভী মুসলিমলীগারদের পর্দার আড়ালের ষড়যন্ত্রের কারণে । যা নিয়ে তিনি তুমুল হতাশা প্রকাশ করেছেন বারংবার । তবে ঠিক কারা এই ষড়যন্ত্রের কুশীলব সে ব্যাপারে কারো নাম তিনি উল্লেখ করেননি, যেহেতু একজন মাঠ পর্যায়ের কর্মী হিসাবে অতো উপর মহলের ষড়যন্ত্রের কথা তার জানার কথাও না। আর এতেই প্রমানিত লেখকের তার লেখায় সততার প্রতি নীতিনিষ্ঠ থাকার ব্যাপারটি । পাকিস্তান হওয়ার পর হতাশ লেখক দেখতে পান কি করে মুসলিম লীগ বৃটিশদের পা চাটা জমিদার খান বাহাদুর, খান সাহেবেদের পকেটে চলে গেল ! ব্রাত্য হয়ে গেলন একসময়ের একনিষ্ঠ মুসলিম লিগের কর্মীরা তো অবশ্যই এমন কি খোদ হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দি স্বয়ং । ফলে সংসদ সদস্য হয়েই এমনকি তার আগেই, ঐ খান সাহেব আর খান বাহাদুরেরা লিপ্ত হয়ে পড়লেন টাকার বিনিময়ে নিজেদের বিক্রির করার খেলায় । লাইসেন্স পারমিটের ব্যবসায় । জনগণের আশা আকাংখার তো কোন আর খোঁজই থাকলো না । ফলে লেখক আবারো নব উদ্যমে ঝাপিয়ে পড়লেন নতুন দল আওয়ামী লিগের সৃষ্টি করার কাজে । আর এ করতে গিয়ে বেশ কবারই গেলেন জেলে । মজার ঘটনা ছত্রলিগের জন্ম যে আওয়ামী লিগের আগেই হয়েছে , তাও জেনেছি আমি এই বই পড়ে । এই বইয়ের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে আমাদের ভাষা আন্দোলনের নানান খুঁটিনাটি বিষয়ের কথা যার সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিলেন লেখক , যা আগে আমি জানতাম না । এই অংশে বারবারই তিনি জোর দিয়ে বলেছেন বাংলা কে রাষ্ট্র ভাষা করার গুরুত্বের কথা , সাথে বর্ননা করেছেন ঐ আন্দোলনকে বেগবান করার নিজ ও অন্যান্যদের ভুমিকার কথা । চল্লিশের দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ৫৪র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হওয়ার পর পরই আবার পুনরায় তাঁর জেলবাসের মাধ্যমে শেষ হওয়া এই বইয়ের পরতে পরতে মিশে আছে , সর্বক্ষন সাধারন মানুষের কাছাকাছি থেকে, তাদের সুখ দুঃখ বুঝে লেখকের একজন প্রকৃত জননেতা হয়ে উঠার কাহিনী । সেই জনগণের কাতারে আছেন যেমন ধান কাটা দাওয়ালেরা , আছেন মাঝি , মুদি দোকানি , গ্রামের নারী , কয়েদিরা এমনকি জেলে বা থানায় তাঁকে পাহারার দায়িত্বে থাকা সিপাহিরা । উল্লেখ করেছেন তিনি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক নেতার কথা ও তাদের ভুমিকার কথা । একদিকে যেমন বারবারই তিনি তাঁর দ্বিধাহীন আনুগত্য প্রকাশ করেছেন হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দির প্রতি , তেমনি জিন্নাহর প্রতিও প্রকাশ করেছেন তাঁর আস্থার কথা । ভাসানি আর আতাউর রহমানের দোদুল্যমানতার কথা যেমন বলেছেন তেমনি বলেছেন সালাম খানদের ষড়যন্ত্রের কথা । বলেছেন শেষ বয়সে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মতো জাঁদরেল নেতার , অসহায় ভাবে কিছু দলছুট চরম সুযোগসন্ধানী মুসলিম লিগারদের হাতের পুতুল হয়ে যুক্তফ্রন্তকে গুবলেট করার কথাও আর তাঁর স্বজনপ্রীতির কথা । নিজে একনিষ্ঠ মুসলমান হওয়া সত্বেও তাঁর অসাম্প্রদায়িক আর মানিবক চেতনার প্রকাশ ঘটেছে চল্লিশের দশক থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে ঘটে যাওয়া প্রায় সব কটি দাঙ্গাকেই সামনে থেকে মোকাবিলা করে তা থামানোর তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্ঠায় । ঘুরেফিরে অনেকবারই বলেছেন তিনি ষড়যন্ত্র আর হত্যার রাজনীতির প্রতি তাঁর ঘৃনার কথা, অনাস্থার কথা । বাংলাদেশের যে কোন রাজনৈতিক কর্মীর তো অবশ্যই , এমনকি ইতিহাসনিষ্ঠ রাজনৈতিকভাবে সচেতন যে কোন জনের অবশ্য পাঠ্য এই বই । বংগবন্ধুর বাকি দুটো বইয়ের মতোই এই বইটির প্রচ্ছদও তেমন নজরকাড়া নয় ।
রিভিউঃবাংলাদেশের রাজনীতিতে যার অবদান চিরস্মরণীয়, শুধু রাজনীতি কেন বাংলাদেশের সকল পর্যায়ে যিনি রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান, তিনি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি তাঁর সারাজীবন শুধু জনসাধারণের কথাই ভেবে গিয়েছেন। ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জীবদ্দশায় তিনি তাঁর আত্মজীবনী শেষ করে যেতে পারেননি। তাই তাঁর এ অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তাঁর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। যা হোক যতটুকুও আমরা তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে জানতে পারি, সেখানে তাঁর বংশ পরিচয়, জন্ম, শৈশব, কৈশোর, স্কুল ও কলেজের জীবন পাশাপাশি তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড, দুর্ভিক্ষ, দেশভাগের পর হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, কলকাতাকেন্দ্রিক প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্রলীগ ও মুসলিম লীগের রাজনীতি, দেশ বিভাগের পরবর্তী সময় থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পূর্ব বাংলার রাজনীতি, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মুসলিম সরকারের অপশাসন, ভাষা আন্দোলন, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, যুক্তফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন, পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তানদের থেকে দূরে নিরাপত্তা বন্দী হিসেবে বিনা বিচারে তাঁর জেল জীবন। স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছার উৎসাহেই জেলে বসে তিনি তাঁর এ আত্মজীবনী লেখা শুধু করেন। তিনি তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তিনি যখন জন্মেছিলেন তখন আর তাদের বংশীয় জৌলুস তেমন ছিলোনা বললেই চলে। ১৯৩৬ সালে তিনি গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত হন। তখন থেকেই তিনি চশমা পরিধান করা শুরু করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বগুণ ফুটে ওঠে। স্কুল কলেজের নানা আয়োজনে তিনিই প্রায় সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও পাকিস্তান সৃষ্টিতে তিনি রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেই পাকিস্তানের কারাগারেই তাকে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে বিনা বিচারে কাটাতে হয়েছে বহু বছর। পরিবার থেকে দূরে থেকে একজন রাজনৈতিক বন্দীর জীবন যে কতটা দূর্বিসহ হতে পারে তা এখানে ফুটে উঠেছে খুবই মর্মান্তিক ভাবে। ছেলে-মেয়েরা শৈশবে বাবাকে না পেলে তাদের অনুভূতি কেমন বা সন্তানদের শৈশবের সময় সন্তানদের পাশে না থাকলে একজন পিতার মনের অবস্থা কেমন হতে পারে সে বিষয়টিও আমাদের পীড়া দেয়। একজন মানুষ যিনি তাঁর দেশের কথা ভেবেছেন আজীবন, সে দেশ থেকেই যখন কপালে জুটে বিড়ম্বনা, তখন মানুষটির মনের অবস্থা আমরা এখানে দেখতে পাই।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি অনেকের দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে যার কথা না বললেই নয়, তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। এছাড়াও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষাণী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক অন্যতম। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তাঁর ভারত, পশ্চিম পাকিস্তান ও চীন ভ্রমণ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এছাড়াও আছে কেন্দ্রীয় মুসলিন লীগ সরকারের অপশাসন, যুক্তফ্রন্ট পূর্ব-বাংলায় জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তারা ক্ষমতা যুক্তফ্রন্টের হাতে তুলে দেয়নি। বরং তারা মন্ত্রী পরিষদকে বরখাস্ত করে, শেখ মুজিব সহ আরও অনেক মন্ত্রীকে মিথ্যে অভিযোগে জেলে বন্দী করে রাখে। শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন শুধু দেশের কথাই ভেবেছেন, আর এজন্য তাকে জীবনের অনেকটা সময় পিতা-মাতা, স্ত্রী, সন্তানদের থেকে দূরে জেলে বসে কাটাতে হয়েছে। তবে তাঁর পিতা এবং স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা সারাজীবনই তাকে উৎসাহ যুগিয়ে গেছেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By NAFIUR RAHMAN SHUVO,
18 Oct 2021
Verified Purchase
শেখ মুজিবের লেখনী একজন সাহিত্যিকের সমতূল্য। অসমাপ্ত আত্নজীবনী গ্রন্থে উনি নিজের ছেলেবেলা থেকে বড় হওয়া, পরিবারের কথা, ছাত্র আন্দোলন- সংগ্রাম সহ নানা অজানা ঘটনার উল্লেখ করেছেন। এগুলো তো গেল জ্ঞানার্জনের জন্য তবে বর্তমানে এমন কোনো চাকরির পরীক্ষা নেই যেখানে এই বই হতে প্রশ্ন করা হয়না। তাই পরীক্ষার আগে কারও নোট দেখার চেয়ে একবার সময় থাকতে পড়ে নিন, তাহলে সাহিত্য গ্রন্থ পড়ার স্বাদের সাথে পরীক্ষার প্রস্তুতিও হয়ে যাবে। আসুন বই পড়ি, মনের পরিধি বৃদ্ধি করি একই সাথে যোগ্য বাঙালি এবং বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে আত্নপ্রকাশ করি।ধন্যবাদ সকল পাঠক ভাই/বোনদের কে...
Read More
Was this review helpful to you?
By S. M. Hasnain Iqbal,
12 Dec 2019
Verified Purchase
তৎকালীন সময়ের ইতিহাস এই বইয়ে। বই পড়ার নেশা আছে ঠিকই, কিন্তু কোন রাজনৈতিক আত্মজীবনীমূলক বই আমার জীবনে এটাই প্রথম। প্রথমটাতেই বাজিমাত। ধন্যবাদ রকমারি ডট কম কে...
Read More
Was this review helpful to you?
By Mohammad Maruf Ali,
28 Feb 2020
Verified Purchase
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে হলে এই বইটি পড়তে হবে।
Read More
Was this review helpful to you?
By iqbal mahfuj,
26 Apr 2016
Verified Purchase
বইটি থেকে কিছু প্রিয় উক্তিঃ ● "আমি আবিষ্কার করলাম সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেশী বিক্রি হয়ে যায় সিগারেট ও বিড়ি। অবাক হয়ে ভাবতাম, গরিব মানুষেরা তাদের কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ এভাবে ধোঁয়া গিলে উড়িয়ে দেয় কেন।" ● একজন খারাপ ছাত্র একজন দক্ষ শিক্ষকের কাছ থেকে যা শিখতে পারে তার চেয়ে একজন ভালো ছাত্র একজন খারাপ শিক্ষকের কাছ থেকে অনেক বেশী শিখতে পারে । ● যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু জ্ঞানী হল সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোন কাজে আসেনা। ● বিজয়ী হওয়ার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে বিজয়ী হওয়ার দরকার নেই মনে করা। তুমি যখন স্বাভাবিক আর সন্দেহমুক্ত থাকবে, তখনই তুমি ভালো ফলাফল করতে পারবে। ● দ্রুত কিন্তু কৃত্রিম আনন্দের পেছনে না ছুটে বরং নিখাদ সাফল্য অর্জনের জন্য আরও বেশি নিবেদিত প্রাণ হও। ● প্রশংসা করতে হবে প্রকাশ্যে কিন্তু সমালোচনা ব্যক্তিগতভাবে। ● আমরা প্রত্যেকেই ভেতরে ঐশ্বরিক আগুন নিয়ে জন্মায়। আমাদের চেষ্টা করা উচিত এই আগুনে ডানা যুক্ত করার এবং এর মঙ্গলময়তার আলোয় জগত পূর্ণ করা। ● আমি এ কথা বলব না যে আমার জীবন অন্য কারো জন্য রোল মডেল হতে পারে। কিন্তু আমার নিয়তি যেভাবে গড়ে উঠেছে তাতে গরিব শিশুরা হয়তো বা একটু সান্ত্বনা পেতে পারে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Shahed,
12 Sep 2019
Verified Purchase
wings of fire. india er sabek president APJ abdul kalam er jiboni. Olpo sikkhito pitar sontan hoyeo chotto akta gram theke uthe esheo j jibone koto ta sofol howa jai ta jante hole boi ti sobar pora uchit bole ami mone kori. potirokkha biggani hisabe abdul kalam carrier suru koren. pore tini india er sorboccho besamorik puroskar pan. daily 17-18 ghonta kaj korten tini. Sara jibon prochondo oddhabosayi ai manush ti sudhu desh k deai gesen. Tini toiri koresen ogni, pritthi, trisul, nag, abash kheponastro. The missile man name porichito biggani abdul kalam er osadharon jibon kahini jante boi ti obosso pattho.
Read More
Was this review helpful to you?
By Mohammad Yasin,
14 Oct 2019
Verified Purchase
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ.! "উইংস অব ফায়ার" বইটি ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম এর আত্মজীবনী। তার দরিদ্র জীবনের সাথে কিভাবে মোকাবেলা করে তিনি একজন রকেট বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন.? সেখানে শুধু শেষ নয়, তিনি একজন ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে সকলের প্রিয়পাত্র করে তুলেছেন।
তার প্রতিটি উক্তি একজন হতাশ মানুষকে জাগ্রত করে তুলে। তার জীবনী পড়ে মানুষ নিজেকে কঠিন পরিস্থিতিতে মোকাবেলা করে নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেই সব বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবে।
সবাইকে অনুরোধ করবো, যেনো তার এই আত্মজীবনীটি পড়ে দেখেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md. Abu Nasir,
03 Oct 2019
Verified Purchase
উইংস অফ ফায়ার রিভিউঃ আমার পছন্দের (আইডল) মানুষের তালিকায় থাকার হিসেবে কালাম স্যার আছেন ৩ নম্বরে। আর তার বায়োগ্রাফি পড়তে আমি একটু বেশি দেরী করে ফেললাম। যাই হোক, বইটি সম্পর্কে আমি কিছুই বলবো না কারণ কালাম স্যার এর লেখা নিয়ে মন্তব্য করার সাহস আমার নেই। কিন্তু অনুবাদক মনে হয় সম্পুর্ন ভাবটি প্রকাশ করতে পারেন নি। তবে তিনি তার সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। আমাদের মাঝে এই বইটির অনুবাদ হিসেবে দেবার জন্য তাকে ধন্যবাদ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Sayem,
08 Jan 2016
Verified Purchase
গত কয়েক শতাব্দিতে পৃথিবীর বুক আলোকিত করে যে কয়জন মহান ব্যক্তি জন্ম নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন এপিজে আবদুল কালাম।আমার পঠিত অন্যতম সেরা জীবনি হল Wings of Fire,একজন মানুষের পক্ষে যে কতগুলো অসম্ভবের সীমারেখা পেরিয়ে সফলতা অর্জন করা যায় তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন এই 'মিসাইল ম্যান'
Read More
Was this review helpful to you?
By Toriqul Islam Leon,
05 Sep 2019
Verified Purchase
#পাঠ_প্রতিক্রিয়া- "যদ্যপি আমার গুরু" লেখক- আহমদ ছফা।
আহমদ ছফা নামের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে আরেক জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এর মাধ্যমে। তার কয়েকটা বইয়ে'ই স্যার তাকে ছফা ভাই হিসেবে আখ্যায়িত করে কয়েকবার স্মৃতিচারণ করেছিলেন। (বলে রাখা ভাল আমি, হুমায়ুন স্যারের এত্ত বড় ফ্যান যে, কয়েকটা হিমু ও কয়েকটা সাইন্সফিকশন বাদে তার প্রতিটি বই আমার কয়েক বছর আগেই পড়া শেষ)। এরপর বহু জায়গায় ছফা নামটি পেয়েছি, তবে আমার দূর্ভাগ্য হলো উনার কোন লেখা আমার আগে পড়া হয় নি। আমি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠক, নয়তো এমনটা হতোনা। যাই হোক, এমন চমৎকার একটি বইয়ের মাধ্যমেই উনার লেখার জগতে আমার প্রবেশ। আর শুরুটাই আমাকে উনার লেখার প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে!
?"যদ্যপি আমার গুরু" বইটি বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিমান কথাসাহিত্যিক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ আহমদ ছফা বিরচিত স্মৃতিচারণা মূলক গ্রন্থ। এমন তৃপ্তিদায়ক, শক্তিশালী একটা বইয়ের রিভিউ কিংবা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখা আমার মতো একজন আনাড়ি পাঠকের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার। আবার এমন একটা বইয়ের সাথে সবার পরিচয় না করিয়ে দেওয়াটাও অপরাধবোধে ভোগাবে। সে দায় থেকেই লিখছি! অবশ্য আরো একটা কারন আছে, সে কারনটা কি? সে কারনটা বইয়ের মাঝেই পেয়েছি!
"পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা। আপনার ভাষার জোর লেখকের মত শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইরা নিবেন, আপনের পড়া অয় নাই।"- আব্দুর রাজ্জাক স্যার।
কথাটা একজন গুরুর, একজন শিক্ষকের, একজন বুদ্ধিজীবির। সেই মহীরুহের গল্প নিয়েই এই বই। একজন বহুমাত্রিক, ব্যতিক্রমী, প্রচার বিমুখ সাদাসিধে মানুষের গল্প। সেই মানুষটি হল জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত ড. আবদুর রাজ্জাক। উনার সাথে লেখকের দীর্ঘ ২৭ বছরের সংস্পর্শে পাওয়া কিছু অমলিন স্মৃতিকথাই ফুটে ওঠেছে এখানে।
এই স্মৃতিচারণা পড়তে গিয়েই বিমোহিত হয়েছি বারবার। শুধু লোমহর্ষক থ্রিলার কিংবা টানটান উত্তেজনার ফিকশন বই-ই পাঠককে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত আকর্ষিত করতে পারে, এ বইটা পড়ার পর আমার সেই ভুল ভাঙলো। নন-ফিকশন হওয়ার পরও শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মোহাচ্ছন্ন হয়ে ছিলাম!
মাত্র ১১০ পৃষ্ঠা আর দুই মলাটে ভর করে যেন ফিরে যাওয়া যায় সেই সময়ে, ড. আবদুর রাজ্জাক স্যারের সামনে! যেন চোখ বন্ধ করলেই শোনা যায় ঢাকাইয়া ভাষায় একজন মানুষের জ্ঞানগর্ভ আলোচনা! একজন মানুষের জানার পরিধি কত বিস্তৃত হতে পারে তা এই বই না পড়লে জানতাম না। ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, দর্শন, শিল্প-সাহিত্য সবকিছুই আলোচিত হয়েছে এখানে। বইয়ের নাম আর লেখকের নাম সহ রেফারেন্স দিয়ে আলোচিত হয়েছে অনেকগুলো বই। পড়া শেষে যা আপনার জানার তৃষ্ণা বাড়িয়ে দিবে, বাড়িয়ে দিবে জ্ঞানের পরিধি।
"একটা কথা খেয়াল রাখন খুব দরকার। যখন একটা নতুন জায়গায় যাবেন, দুইটা বিষয় পয়লা জানার চেষ্টা করবেন। অই জায়গার মানুষ কি খায় আর পড়ালেখা কী করে। কাঁচাবাজারে যাইবেন কি খায় হেইডা দেহনের লাইগ্যা। আর বইয়ের দোকানে যাইবেন পড়াশোনা কি করে হেইডা জাননের লাইগ্যা।....কী খায় আর কী পড়ে এই দুইডা জিনিস না জানলে একটা জাতির কিছু জানন যায় না।"- আব্দুর রাজ্জাক স্যার।
একজন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কতটা প্রখর আর দূরদর্শী হলে এমন ভাবনা মাথায় আসতে পারে, ভাবতে পারেন?
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখলেও এই বই নিয়ে আমার অনূভুতি প্রকাশ হয়তো শেষ হবে না। এবং তাও হয়তো যথেষ্ট হবেনা। তাই পাঠকের বিরক্তবোধ চলে আসার আগেই লেখা শেষ করছি!
সবশেষে, একটা কথা। একটা বই কখন স্বার্থক হয়ে ওঠে- যখন তা পাঠককে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে, যখন তা পাঠকের মনে চিন্তার উদ্রেক ঘটাতে পারে, যখন তা পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গিকে বিকশিত করতে পারে। আমার মতে, এই বইটা তেমন একটা বই।
দুই তিনদিন হল আহমদ সফা'র "যদ্যপি আমার গুরু' পড়ে শেষ করলাম। এবং দুই তিনদিনের প্রতিদিনই ভাবছি একটা রিভিউ লিখব। নাহলে পাপ হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কি লিখব এই ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখন এই বই নিয়ে কিছু রিভিউ আমার চোখে পড়েছে। কয়েকটা রিভিউ একদম মনের মত মনে হয়েছে। তাই ব্যর্থ চেষ্টা না করে কয়েকটা রিভিউ'র নিজের 'মনের কথা' সাথে কিছু সম্পাদকীয় অংশ রিভিউ হিসেবে তুলে ধরলাম।
Read More
Was this review helpful to you?
By Tasfia Promy,
08 Mar 2021
Verified Purchase
জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। তাঁর পাণ্ডিত্য, বিদ্যা, জ্ঞান ছিল সর্বজনবিদিত। তাঁকে চলমান বিশ্বকোষ বলা হয়। তাঁর জীবন ছিল খুব সাধারণ। তাঁর ছাত্র ছিলেন আহমেদ ছফা। তিনি পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কে নিয়ে করেছেন কিছু স্মৃতিচারণ। বইটা নিয়ে কম বেশি সবাই জানি। বই এ কি আছে, এর আগে বইটা পড়ে আমার কি মনে হচ্ছে সেটা বলি। আমার মনে হচ্ছিল উনি আমার শিক্ষক, উনি, আব্দুর রাজ্জাক স্যার যে কথাগুলো বলছেন, দীক্ষা দিচ্ছেন সেটা আমাকে দিচ্ছেন। কেবল মাত্র আব্দুর রাজ্জাক নয়, মুনীর চৌধুরীর খুব সামান্য উপস্থিতিও আপনাকে কিছু না কিছু শেখাবেই।আহমেদ ছফা তাঁর উচ্চশিক্ষা জীবনে পি এইচ ডি এর সুযোগ পান। সেখান থেকেই এই বই এর যাত্রা শুরু হল। সময়টা ১৯৭০ সাল ছিল। মাস্টার্স পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছিল বিভিন্ন কারনে। একসময় পি এইচ ডি এর সুপারভাইজারের জন্য প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক এর দ্বারস্থ হলেন। লেখকের ভাষ্যমতে আব্দুর রাজ্জাক স্যার খুব সাদামাটা জীবন যাপন করতেন, প্রচুর পড়াশোনা করেছেন জীবনে। সুশিক্ষা আর স্বশিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। উচ্চশিক্ষিত হয়েও তিনি নিজের শেকড়কে ভুলে জাননি। প্রথমে যেদিন লেখক দেখা করতে যান, স্যার নিজের রুমে ঘুমাচ্ছিলেন। দরজা বলতে গেলে খোলায় ছিল। ছফা সাহেবের কাছ থেকে সব শুনে নাক মুখ ঢেকে আবার ঘুমিয়ে গেলেন। এবার সেইদিকে গিয়ে ছফা আবার ও আর্জি জানান, যাতে আব্দুর রাজ্জাক তাঁর থিসিস সুপারভাইজ করেন। ওমা! উনি এবার আবার পাশ ফিরে শুলেন। এর পর সাহসী ছফা, বেশ সাহসের একটা কাজ করে বসলেন। যার জন্য আব্দুর রাজ্জাক ঘুম থেকে উঠে বসতে বাধ্য হলেন। প্রথম দিন, ছফা কে মৌলবী ছফা নামে সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু কেন? এতো কেবল শুরু, ছোট্ট বইটা, কিন্তু আব্দুর রাজ্জাক স্যার কে জানা, আর নিজে শিক্ষা পাবার জন্য অনেক। উনার মত জ্ঞানতাপসের বড্ড প্রয়োজন আমাদের। শিক্ষকদেরকে হয়তো আজ আমরা তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনা, চাই না কিংবা উনাদের দিক থেকেও কিছু ভুল আছে । আব্দুর রাজ্জাক মাটির মানুষ ছিলেন, খেতে এবিং খাওয়াতে ভালোবাসতেন। আহমেদ ছফা আস্তে আস্তে তাঁর পরিবারের একজন হয়ে ওঠে। পুরো বই জুড়ে নিয়াজ মোর্শেদ, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন সহ আরো অনেকের কথায় উঠে এসেছে। সবার সম্পর্কে ২-৩টা করে হলেও নতুন তথ্য জানতে পারবেন। এই বইটা এত সুন্দর, যদি লিখতে চাই, তাহলে অনেক বেশি বড় হয়ে যাবে, এটাকে না যদি বলি ফিকশন মানাবে , যদি বলি নন ফিকশন তাও হবে। বইটা অনেকদিন পরে পড়লাম। আমার মনে হল, এর পর থেকে আমি কোন কাজে আটকে গেলে সত্যিই এই বইটা পড়ব আর আহমেদ ছফা কে যে যে পরামর্শ উনি দিয়ে গেছেন, পুরোপুরি না হলেও কিছু না কিছু আমি মেনে চলব।
Read More
Was this review helpful to you?
By Yousuf Azad,
02 Aug 2021
Verified Purchase
"যদ্যপি আমার গুরু" নিয়ে অল্প কথায় কিছু বলা খুব শক্ত কাজ। তবু পাঠ-প্রতিক্রিয়া লিখতে বসেছি কেননা আবদুর রাজ্জাক বলেছেন কিছু পড়ে তা নিজের ভাষায় বলতে না পারলে সে বই আসলে পড়া কিছু হয়নি।
আবদুর রাজ্জাকের সাথে লেখকের পরিচয় পিএইচডি করতে গিয়ে। শেষ পর্যন্ত ডক্টরেট তো লেখকের করা হয়ে ওঠেনি, তবে দেখা পেয়েছেন এমন এক মানুষের যিনি লেখকের নিজের সত্ত্বাকে খুঁজে পেতে মশালের মতো পাশে ছিলেন। যাঁর মনন, যাঁর প্রজ্ঞাকে ধরে রাখতেই লিখেছেন এই বই।
আহমদ ছফার কলমে জীবন্ত হয়ে উঠেছে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের জীবন, চিন্তার প্রসার, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি, ধর্ম-বিজ্ঞান-শিল্প-সাহিত্য নিয়ে তাঁর মতামত। নিত্যদিনের টুকরো টুকরো ঘটনা, ক্রমশ বিস্তৃত আলোচনার প্রেক্ষাপট আর দৈনন্দিন কথোপকথনের ভীড় ঠেলে আহমদ ছফা কাগজে এঁকেছেন ভেতরকার মানুষটাকে। যে মানুষটা পড়তে ভালোবাসেন, যিনি সত্যকে সত্য বলতে কুন্ঠাবোধ করেন না, যিনি লেখকের হাতে একের পর এক তুলে দিয়েছেন বই, সৃষ্টি করেছেন জানার স্পৃহা, যিনি আপাদমস্তক একজন খাঁটি ঢাকাইয়া মানুষ হয়েও নতুনকে বরণ করেছেন মুক্তহাতে।
এ বইয়ের পাতায় পাতায় জেনেছি কিভাবে অজানাকে জানতে হয়, বুঝেছি জানা জ্ঞানকে কতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। প্রতিটি অক্ষর সৃষ্টি করেছে নতুন সত্যের আলোড়ন। এখানে দেশ ভাগ, নতুন দেশের জন্ম, সমাজের মারপ্যাঁচ আর রাজনীতির কুটিলতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে জীবনকে দেখার সহজ স্বীকারোক্তি। জেনেছি বড় মানুষ হওয়ার চেয়ে জনপ্রিয় হওয়া কত সহজ। শিখেছি অতীতের মিথ্যে অহংকারকে মানুষ নিজের স্বার্থে বাঁচিয়ে রাখে কতটা নির্লজ্জভাবে। পেয়েছি নির্ভয়ে নিজের সত্য প্রকাশের সাহস।
তার সবটাই কি শুধু আবদুর রাজ্জাকেরই কৃতিত্ব? না। আহমদ ছফার শব্দ, তার সহজ প্রকাশ এক আকাশ সুবিশাল ব্যক্তিত্বকে ১১০ পাতার বইয়ে যত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছে, আমার মনে হয়না যে আর কারো পক্ষে তা সম্ভব।
Read More
Was this review helpful to you?
By Shawon Shafi,
09 Aug 2017
Verified Purchase
একজন শক্তিশালী লেখক, একজন সাহসী লেখক, একজন স্পষ্টভাষী লেখক। এই তকমা গুলো বাস্তবতা পায় আহমেদ ছফা নামটির পাশে বসালে। আহমেদ ছফার আমার প্রথম পড়া ভাই গাভী বৃত্তান্ত। এরপর তো পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরান পাঠ করে রীতিমত ভক্ত হয়ে গেলাম। ওংকার পড়ে কেঁদে ফেললাম।
এরপর যখন ‘যদ্যপি আমার গুরু’ পড়া শুরু করলাম আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। পড়লাম আর বিস্মিত হলাম, পড়লাম আর বিস্মিত হলাম। কেন বিস্মিত হলাম- আহমেদ ছফার লেখায় এবং জাতীয় অধ্যাপক রাজ্জাক স্যারের প্রজ্ঞায়।
এটি একটি স্মৃতিচারণামূলক গ্রন্থ। এখানে আহমেদ ছফার সাথে রাজ্জাক স্যারের অনেক স্মৃতির কথা উল্লেখ আছে, অনেক আলাপ চারিতার কথা। খুব সাদাসিধে একজন মানুষ ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। আহমেদ ছফাকে ডাকতেন মৌলবি ছফা বলে।
প্রথম যেদিন আহমেদ ছফা , রাজ্জাক স্যারের সাথে দেখা করতে যান – স্যার কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। আহমেদ ছফা স্যারকে ডাকেন- আর উনি পাশ ফিরে শোন। এরকম কয়েকবার হওয়ার পর , ছফা আহমেদ স্যারের উপর থেকে টান দিয়ে কাঁথা সরিয়ে ফেলেন।
এরপর আহমেদ ছফার সাথে রাজ্জাক স্যারের অদ্ভুত এক সম্পর্ক হয়ে গেল। প্রতিদিন ছফা স্যারের কাছে আসতেন, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতেন- একেকটা কথা যেন অমৃতবানী। স্যারের বাসা থেকেই খাওয়া দাওয়া করে আবার নিজ ডেরায় ফিরতেন।
ঘটনাক্রমে বইতে এস এম সুলতান নিয়েও অনেক কথা চলে আসে। এই বইটা তো রাজ্জাক স্যারকে নিয়েই লেখা সেই সাথে এটা পড়লে কিংবদন্তী শিল্পী এস এম সুলতান সম্পর্কেও সংক্ষিপ্ত পরিচিত পাওয়া যাবে। আমার প্রিয় বইগুলোর মধ্যে- ‘যদ্যপি আমার গুরু একটি’।
Read More
Was this review helpful to you?
By Maharab Ope,
24 Mar 2021
Verified Purchase
"পড়ার কাজটি অইল অন্যরকম। আপনে যখন মনে করলেন, কোনো বই পইড়্যা ফেলাইলেন, নিজেরে জিগাইবেন যে বইটা পড়ছেন, নিজের ভাষায় বইটা আবার লিখতে পারবেন কিনা। আপনার ভাষার জোর লেখকের মত শক্তিশালী না অইতে পারে, আপনের শব্দভান্ডার সামান্য অইতে পারে, তথাপি যদি মনে মনে আসল জিনিসটা রিপ্রোডিউস না করবার পারেন, ধইরা নিবেন, আপনের পড়া অয় নাই।" -------প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক
যদ্যপি আমার গুরু বাংলাদেশের অগ্রণী চিন্তাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা বিরচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তি জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাথে লেখকের বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনসমূহের বিবরণ পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। ছফা অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মনীষা এবং চারিত্র্য প্রাঞ্জল ভাষায় ও সুচারু শৈলীতে চিত্রায়িত করেছেন। রাজ্জাকের মুখনিঃসৃত সংলাপ যতদূর সম্ভব তিনি যে ধরনের ঢাকাইয়া বুলিতে কথা বলতেন সে বুলিতেই তুলে ধরেছেন ছফা। গ্রন্থটিকে ছফার গুরুদক্ষিণা বলা হয়।
স্যার আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে বলতে গেলে তিনি অত্যাধিক পরিমাণের জ্ঞানী মানুষ।
উনিশশো সত্তর সালে বাংলা একাডেমী থেকে গবেষণা বৃত্তি নিয়ে পি.এইচ.ডি করার প্রচেষ্টা চলাকালীন সময়ে অধ্যাপক আব্দূর রাজ্জাকের সাথে আহমদ ছফার প্রথম পরিচয় ।এরপর বিশ বছরের স্মৃতি লেখক চারণ করেছেন।
স্যার আবদুর রাজ্জাক সম্পর্কে জানতে অসাধারণ একটা বই "যদ্যপি আমার গুরু।"
Read More
Was this review helpful to you?
By Shawkat Ali Khan Hiron,
20 Sep 2014
Verified Purchase
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বাঙালির ইতিহাস নাই।’ আর এ কথাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে ইতিহাসচর্চার চেয়ে ইতিহাস দখলেই আমাদের আগ্রহ বেশি। যাঁরা ইতিহাস নির্মাণ করেন, তাঁদের ইতিহাস দখল করার প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসচর্চার সমস্যা হলো, এক পক্ষ অন্য সবাইকে বাদ দিয়ে একজন নেতা ও একটি দলকে পুরো কৃতিত্ব দিতে চায়, অন্যদের ভূমিকা খাটো ও অগ্রাহ্য করে। আরেক পক্ষ সেই নেতার অবদান অস্বীকার করতে নানা কল্পকাহিনির আশ্রয় নেয়। সাম্প্রতিক কালে আরও একটি বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে যে ইতিহাসের ঘটনাপরম্পরা বাদ দিয়ে অনেকে এর দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন নিয়ে অযথা বিতর্ক করছে। মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘নতুন রাষ্ট্রপতিত্বও’ সেই কল্পকাহিনির অংশ। দুই একজন মানুষ তখনই নেতা হয়ে ওঠেন, যখন তিনি তাঁর নেতৃত্বগুণে একটি জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেন; একজন মানুষ তখনই নেতা হয়ে ওঠেন, যখন তিনি নীতিতে অটল থাকেন, কোনো অবস্থায় হুমকি বা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করেন না; একজন মানুষ তখনই নেতা হয়ে ওঠেন, যখন জাতির চরম দুর্দিনেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হন না। কথাগুলো মনে পড়ল শারমিন আহমদের তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা বইটি পাঠ করে। এ বইয়ে তিনি কেবল একজন স্নেহশীল পিতার প্রতিকৃতিই নয়, একটি জাতির জয়-পরাজয়ের প্রতিচ্ছবি এঁকেছেন; নানা ধাপ ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যে জাতি স্বাধীনতাসংগ্রামের দীর্ঘ ও দুরূহ পথ পাড়ি দিয়েছে। তিনি লিখেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হলে তাজউদ্দীন আহমদ তার সার্থক রূপকার। শারমিন আহমদের বইটি লেখার সূচনা ১৯৭৯ সালে, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে, যখন স্বাধীনতার সিপাহসালারদের নাম উচ্চারণ করা যেত না। ক্ষমতার ভারী বুটের নিচে চাপা দেওয়া হচ্ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার গৌরব। শারমিন আহমদ বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেন, বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের নায়কদের নিয়ে অনেক কাজ হলেও বাংলাদেশে কিছুই হয়নি। এমনকি পাঠ্যবইয়েও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ঠাঁই পাননি। তাঁকে নিয়ে কোনো গবেষণা বা বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা নেই। সব দেশে এ কাজটি করে থাকেন দলীয় বৃত্তের বাইরের লেখক-বুদ্ধিজীবীরা, তথা নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু বাংলাদেশে এদলে-ওদলে বিভক্ত হয়ে তাঁদের কেউ ক্ষমতাসীন দলের, কেউবা বিরোধী দলের অনুগ্রহ লাভে ব্যস্ত। তাই, ইতিহাসের নামে ব্যক্তিস্তুতি কিংবা কুৎসা রচনাই প্রাধান্য পাচ্ছে।
আলাপচারিতায় শারমিন আহমদ জানান, এই বেদনাবোধই তাঁকে তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর ভাষায়, ‘বইটি সময়ানুক্রমিকভাবে শুরু করেছি ষাটের দশকের শুরুতে আমার জন্মলাভ হতে এবং শেষ করেছি ১৯৭৫ সালে নভেম্বর মাস আব্বুর অনন্তলোক যাত্রায়।’ শারমিন আরও জানান, দেশের বাইরে যখন তিনি নিজের পরিচয় দেন, তখন তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধাবনত হন। তাঁর দৃঢ়বিশ্বাস, ‘বাংলাদেশ একদিন তার প্রয়োজনেই খুঁজে বের করবে তাজউদ্দীন আহমদকে।’ শারমিন বর্ণিত সময়টি ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, সবচেয়ে আলোকসঞ্চারী ও ঘটনাবহুল। এই সময়েই শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনে তাজউদ্দীন আহমদকে বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে পান; এই সময়েই ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষিত হয়, অাগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্তরা জাতীয় বীরের মর্যাদা লাভ করেন; এই সময়েই উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে আইয়ুবশাহির পতন ঘটে। এরপর সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে। এই আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিটি পর্বে তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছায়াসঙ্গী। কিন্তু স্বাধীনতার পর তাঁদের সেই বন্ধন অটুট থাকেনি। মেয়ে হিসেবে বাবা তাজউদ্দীন আহমদের প্রতি শারমিন ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি জানাবেন কিংবা স্মৃতিচারণা করবেন, এটাই স্বাভাবিক; বইয়ের বড় অংশজুড়ে আছে লেখকের শৈশব ও কৈশোরের স্মৃতিচারণা, আছে একটি রাজনৈতিক পরিবারের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনার ছবি। আছে ময়মনসিংহ কারাগারে বন্দী বাবা তাজউদ্দীন আহমদকে দেখতে যাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় ফ্ল্যাটে মা-ভাইবোনদের সঙ্গে থাকলেও বাবার সান্নিধ্য থেকে দূরে থাকা—এ রকম টুকরা টুকরা অজস্র স্মৃতি। কিন্তু শারমিন ইতিহাস বিচারে যথাসম্ভব বস্তুনিষ্ঠ থাকতে চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে বিতর্ক চলে আসছে ৪৩ বছর ধরে, লেখক তাঁর গবেষণার মাধ্যমে একটি উপসংহারে এসেছেন, যা ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল হতে পারে। তিনি এক জায়গায় লিখেছেন, ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দীন আহমদ যখন বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন, তখন তিনি পাকিস্তানিদের হাতে প্রমাণ রাখবেন না বলে এড়িয়ে যান। এমনকি বাসা ছেড়ে কোথাও আত্মগোপনে যেতেও অস্বীকৃতি জানান। শারমিনের আক্ষেপ, বইয়ের এই তথ্যটুকু নিয়ে একশ্রেণির পাঠক তাঁর ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে গালাগাল করেছেন। তাঁর সঙ্গে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির যোগসূত্র বের করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা বইয়ের পরবর্তী অধ্যায়গুলো পাঠ করার প্রয়োজন বোধ করেননি। করলে এমন কিছু তথ্য পেতেন, যা এর আগে কেউ বলেননি, লিখেননি। ইতিহাসের সত্যসন্ধানী হিসেবে শারমিন আহমদ দুজন ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দেখিয়েছেন যে বঙ্গবন্ধু তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদের অনুরোধে স্বাধীনতার লিখিত ঘোষণা পাঠ না করলেও বিকল্প উপায়ে তিনি সেই ঘোষণা দেন। এর সাক্ষী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহযোগী হাজি গোলাম মোরশেদ। তাঁর সাক্ষাৎকার উদ্ধৃত করে লেখক আমাদের জানাচ্ছেন, ‘...এরপর এগারোটা বেজে গেল, বারোটা বাজে বাজে, এমন সময় একটি টেলিফোন আসল। বলে, “আমি বলধা গার্ডেন থেকে বলছি। মেসেজ পাঠানো হয়ে গিয়েছে, মেশিন নিয়ে কী করব?” অমি মুজিব ভাইয়ের কাছে দৌড়ে গেলাম। বললাম, মেসেজ পাঠানো হয়ে গিয়েছে। উনি (বঙ্গবন্ধু) বললেন, “মেশিনটা ভেঙে ফেলে পালিয়ে যেতে বল।”’ ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হাজি গোলাম মোরশেদও ৩২ নম্বর থেকে গ্রেপ্তার হন। বার্তাটি যিনি পাঠিয়েছিলেন, তিনি হলেন শহীদ প্রকৌশলী নুরুল হক। ২৯ মার্চ মহাখালীর ওয়্যারলেস কলোনির বাসভবনে ঢুকে পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। ২৫ মার্চ দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ট্রান্সমিটারটি খুলনা থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন। এই হলো তাজউদ্দীনকন্যা শারমিনের অনুসন্ধান ও উদ্ঘাটন। আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামের প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানই। তিনি ধাপে ধাপে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র সংগ্রামের দিকে নিয়ে গেছেন। অন্য বাঙালি নেতাদের চেয়ে বেশি জেল–জুলুম সহ্য করেছেন (দেখুন অসমাপ্ত আত্মজীবনী)। এ কথা যেমন সত্য, তেমনি অসত্য নয় যে তাঁর অনুপস্থিতিতে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারটি পরিচালনা করেছিলেন। শারমিন আহমদের ভাষায়, বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন অনন্য সেতুবন্ধ। যত দিন তাঁরা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর কুচক্রী মহল তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ তৈরি করে। আর দেশের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনা হলো মুজিব ও তাজউদ্দীনের বিচ্ছেদ, যা কেবল এ দুই নেতাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়নি, জাতিকেও অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত হলেও দলের ভেতরে সবার মত ও পথ এক ছিল না। কেউ বড় পাকিস্তান ভেঙে ছোট পাকিস্তান করতে চেয়েছিলেন। খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে একাংশ পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনের চেষ্টা চালিয়েছিল। দলের যুব নেতাদের দাবি ছিল, বঙ্গবন্ধু তাঁদেরই সবকিছু করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। তাঁরা মুজিব বাহিনী নামে আলাদা একটি বাহিনী গঠন করেন মুজিবনগর সরকারের অনুমোদন না নিয়েই। এসব নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে উপদলীয় কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। অনেকের মতে, এই কোন্দলে ভারত সরকারেরও ভূমিকা ছিল। ‘তারা সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখতে চায়নি।’ এসব উপদলীয় কোন্দলের ঊর্ধ্বে থেকে এবং নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে মানুষটি মুক্তিযুদ্ধকে সফল করতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন, যুদ্ধের মধ্যেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পরিকল্পনা করেছেন, তিনি তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধকে কেবল আওয়ামী লীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি বলে মওলানা ভাসানী, মণি সিংহ প্রমুখকে নিয়ে সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন, ভিন্ন দলের কর্মীদেরও মুক্তিবাহিনীতে নেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও। তিনি চেয়েছিলেন, সবার জন্য মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন একটি দেশ। দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন জানতে চাইলেন, আপনাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সহায়তা করতে হলে তো ‘আইনানুগ একটি সরকার প্রয়োজন, সেই মুহূর্তেই তাজউদ্দীন আহমদ অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, যার রাষ্ট্রপতি হবেন শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকবে নিজের হাতে। তিনি একক সিদ্ধান্তে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তৈরি করলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় সরকারের শপথ অনুষ্ঠান করলেন। আর নতুন দেশের রাজধানীর নাম দিলেন মুজিবনগর, নেতা শেখ মুজিবের নামে। তাজউদ্দীন আহমদ স্বপ্ন দেখেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গঠিত বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর অন্যতম আদর্শ রাষ্ট্র, যেখানে ধর্মের বিভেদ থাকবে না, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র হবে সেই রাষ্ট্রের মূল নীতি। তিনি সব মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে জাতীয় মিলিশিয়া বাহিনী গঠনে উদ্যোগ নিয়েছিলেন; যদিও পরবর্তীকালে সেই উদ্যোগ পরিত্যক্ত হয়।
তিন স্বাধীন বাংলাদেশে তাজউদ্দীন আহমদের অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে গেছে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে তিনি কতটা সফল হয়েছেন, তা নিয়ে তর্ক থাকতে পারে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে কিংবা স্বাধীনতার পর পৌনে তিন বছর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন দৃষ্টান্ত কেউ দিতে পারবেন না। এখানেই ছিল তাঁর বিশিষ্টতা ও অনন্যতা। শারমিন এমন এক পিতা ও নেতাকে নিয়ে বই লিখেছেন, যিনি ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যতিক্রমী মানুষ, যিনি মঞ্চের সামনে নয়, নেপথ্যে থেকে কাজ করতে ভালোবাসতেন, নিজে নয় মাস মুক্তিযুদ্ধটি পরিচালনা করলেও কখনো তাঁর কৃতিত্ব নিতে চাননি। লেখককে অভিনন্দন। সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক। sohrabo3@dhaka.net
Read More
Was this review helpful to you?
By আব্দুল্লাহ আল এমরান,
28 Feb 2015
Verified Purchase
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই শারমিন আপুকে এই রকম একটি সাহসী উদ্যেগের জন্য, সত্য কথা লেখার জন্য। বইটি আসলেই চমৎকার। অনেক বড় তাই পড়তে একটু সময় লাগছে। আশা করছি এই রকম বই আরো উপহার দিবেন আমাদের শারমিন আপু।
Read More
Was this review helpful to you?
By Alamgir Hossain,
22 Aug 2022
Verified Purchase
অসাধারন একটা বই, এই বই পড়ে ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। যা কেউ কখনো বলে না
Read More
Was this review helpful to you?
By Saymon Fahad,
07 Nov 2021
Verified Purchase
সঠিক সময়ে বইগুলো ডেলিভারি করার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ
Read More
Was this review helpful to you?
By Fairuz Fariha,
01 Dec 2019
Verified Purchase
বইটি অনেক ভালো।সকলে পড়ে দেখতে পারেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Zubair Bin Shafi-SHAON,
20 Mar 2013
Verified Purchase
হুমায়ূন আহমেদ । বাংলাদেশের জননন্দিত কিংবদন্তি কথাশিল্পী । তাঁর হারানো শৈশবও যেন তার জীবনের মত শতরঙে রঙিন । তাই তিনি লিখতে বসেছেন "আমার ছেলেবেলা "। বইটি তিনি তাঁর জন্মের মুহূর্তটির বর্ণনা থেকে শুরু করেছেন । তবে তিনি নাকি খুব চেষ্টা করেছিলেন যে নিজে তাঁর জন্মক্ষণটির কথা মনে করবেন ! তাঁর মায়ের বিভিন্ন কথা,ওনার মানসিক অসুস্থ্যতা এবং লেখকের একেবারে ছোট্টকাল থেকে বড় হবার কাহিনীও বইটিতে পাওয়া যায় । তবে বইটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুচ্ছেদ তিনি লিখেছেন তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ কে নিয়ে । মানুষটা এতটাই খেয়ালী,এতটাই আবেগী ছিলেন যে হুমায়ূন আহমেদ নিজের বাবাকে যথার্থই বলেছেন -"জন স্টেইনবেকের উপন্যাস থেকে উঠে আসা এক রহস্যময় চরিত্র" । কতটা আবেগী হলে একজন মানুষ রাত ১২টার সময় তাঁর জীবনসঙ্গিনী কে নিয়ে দিঘীর টলটলে জলে নেমে অবগাহন করতে পারেন,কতটা খেয়ালী হলে একজন মানুষ তাঁর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তুলে নিছক শখের বশে ঘোড়া কিনে আনতে পারেন তা জানা যায় এ বইটি পড়লে । যে জোছনা হুমায়ূন আহমেদকে সারাটাজীবন শুধু মুগ্ধই করেছে,যে জোছনার ফুল তিনি শুধু বারবার খুঁজেই গেছেন সেই জোছনার ফুল তিনি প্রথম শৈশবে কিভাবে খুঁজে পেলেন তাও বলে দিয়েছেন এ বইয়ে । প্রাণোচ্ছল ভাষায় বর্ণনা করেছেন কিভাবে তাঁর শৈশব ছিল বুদ্ধিদীপ্ত সব দুষ্টুমি আর চঞ্চলতায় ভরা । শৈশবে তাঁর কাছের কিছু চেনা পরিচিত মানুষ বা কাছের কিছু আপনজনের কথাও বইটিতে লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ । অন্যরকম একটা ভালবাসা দিয়ে লেখা শৈশবের স্মৃতিচারণমূলক এ বইটির মাঝে হারিয়ে গেলে একজন পাঠকের চোখের সামনে যেন ভেসে উঠবে কিংবদন্তি এক লেখকের হাজাররঙা শৈশবের একটা রঙিন চলচ্চিত্র ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Khaled Ahmed Tamim ,
01 Nov 2019
Verified Purchase
আমার ছেলেবেলা বইটিতে লেখক তার নিজের শৈশব যেভাবে কেটেছে তা খুব ইন্টারেস্টিং ভাবে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ করেছেন শৈশবে তার পারিবারের অবস্থা সম্পর্কে। মা- বাবা, ভাই-বোন সবার কথাই উল্লেখ করেছেন। সিলেটে থাকাকালীন শুক্লাদি নামের এক মেয়ে তাকে 'ক্ষীরের পতুল' নামে একটি বই উপহার দেন। যা তার সাহিত্যের প্রথম পড়া বই। এর রেশ থেকেই সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদের সদস্য হওয়া। দূর মীরাবাজার থেকে হেঁটে হেঁটে গিয়ে পাঠাগারে বই পড়া এবং বাসায় নিয়ে আসা। এবং আস্তে আস্তে সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া। জানা যাবে তার রহস্যময় শৈশব সম্পর্কে। তার বন্ধু উনু। জগদলের সুখের দিন সম্পর্কে। যেভাবে কেটেছে এই রহস্যমানবের শৈশব সুখে দুঃখে!
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Robiul Islam,
10 Nov 2020
Verified Purchase
humayan ahmed somporke janar agroho cotobela thekei,,,,,ai boite onkta tar celebelar cittakorsok bisoyguloke futiya tulece,,,,,
Read More
Was this review helpful to you?
By Shaumik Barua,
30 Dec 2019
Verified Purchase
Boi ta pore humayun sir er matter e onk kichu janlam... onek vlo laglo boita .. sobai ekbar holeo porben ei onurodh roilo....
Read More
Was this review helpful to you?
By Fahad Ahammed,
31 Dec 2018
Verified Purchase
Obviously you will love this book a lot for his unique writing style. Those descriptions... :)
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Mahmudullah,
27 Sep 2019
Verified Purchase
আমাদের নবীজী (সঃ) সকল মানুষের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ। আমরা মুসলিম হয়েও যদি আমাদের নবী (সঃ) ঘটনা না জানি তাহলে আমাদের মতো হতভাগা আর কেউ থাকবে না। লেখক গোলাম মোস্তফার অনেক কৃতজ্ঞতা এমন একটি বই লেখার জন্য। নবী( সঃ) এর সময়ের অনেক ঘটনা আছে যা চিন্তা করতেই শরীরে শিহরণ জেগে ওঠে।অনেক ভালো লাগে। প্রিয় নবী সম্পর্কে জানার জন্য প্রত্যকের বইটা পড়া উচিত।
Read More
Was this review helpful to you?
By S. M. Javed Hasnain,
21 Aug 2014
Verified Purchase
এতোটা মমতা, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা নিয়ে কাউকে কোনো বই লিখতে দেখিনি এই বইটার আগে। পড়ার পর মনে হলো লেখকের বিশ্বাসের জোড় এতোটা বেশি যে, অবিশ্বাসীরাও মুগ্ধ হবে। বাংলায় লেখা মহানবী (সঃ) কে নিয়ে বঢ হয় এর চাইতে ভালো বই আর হয়না।
Read More
Was this review helpful to you?
By shamsun naher,
31 Aug 2018
Verified Purchase
প্রতিটি মুমিনের অন্তরে রাসুলে করীম (সা) এর প্রেম থাকে। তার (সা) আশেকরা অন্তরে নবী প্রেমের একটি তৃষ্ণা অনুভব করে। এই বইটি পড়ে আমার সেরকমই তৃষ্ণা মিটেছে। এই অসাধারণ সীরাতের বইটি সবার পরা উচিত।
Read More
Was this review helpful to you?
By Saad Saiful Islam,
02 Sep 2023
Verified Purchase
বাংলায় সীরাত নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক বই। তবে হৃদয় ও মনের এমন মাধুরি মিশিয়ে খুব কম সীরাতই রচিত হয়েছে। 'সীরাত ইতিহাসে' বলব না, তবে ' সীরাত সাহিত্যে' অনবদ্য এক রচনা এটা। হৃদয় ছুঁয়ে গেলো।
Read More
Was this review helpful to you?
By মহসিন,
27 Dec 2019
Verified Purchase
মহানবী (স.) এর জীবন সম্পর্কে জানার জন্য কবি গোলাম মোস্তফার এই বইটি চমৎকার একটি বই।
Read More
Was this review helpful to you?
By M Shahjahan Siraj,
23 May 2021
Verified Purchase
পড়ো পড়ো পড়ো পাঠ্যপুস্তক ছাড়া সবকিছু পড়ার কথা কেউ আমাকে এমন করে কখনো বলেনি। আর তাই লেখক মুনির হাসান ভাইয়ের বইটা প্রকাশ হয়েছে জানতে পেরে রকমারিতে অর্ডার করে ফেললাম। যদিও অনলাইনে প্রকাশ হওয়া এর সবগুলো অংশ পড়ে নিয়েছি আগেই। বইটা হাতেও পেয়েছি সময়মতো। কিন্তু অফিসে ERP এর পাল্লায় পড়ে আর পড়া এগোয় না। বলেছিলাম ঠিকই, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে সূবর্ণতে চান্সটা নিতে পারিনি। সূবর্ণতে না এসে সেদিন রাতের ট্রেনে চট্টগ্রাম আসতে হল। রাসেল ভাই একাই সূবর্ণতে চট্টগ্রাম গেল। আর আমি ERP মিটিং এর পাঠ শেষ করে ঝিমুতে ঝিমুতে রাতের তূর্ণায় করে চট্টগ্রাম পৌছালাম। ফ্যাক্টরিতে দুইদিনের ঝড় সামলে আবার বিষ্যুদবারের তূর্ণায় করে ঢাকায় ফিরলাম, পরদিন শুক্রবার ফজরের ওয়াক্তে। শিডিউল ছিল মেয়েকে 'কাঠি ঘোড়ায়' চড়াতে হবে। এটা হবে বাবা আর মেয়ের প্রথম শিশু পার্ক ভ্রমণ। কোন ভাবেই মিস হতে দেয়া যায় না। মিস হয়নি, অনেক আনন্দ হয়েছে। লম্বা লাইন দিয়ে দুইবার মেয়েকে তার কাঠি ঘোড়ায় চড়াতে হয়েছে। এদিকে 'পড়ো পড়ো পড়ো' আর পড়া হয় না। অবশেষে বাসা থেকে কালুরঘাট ফ্যাক্টরিতে যেতে সিএনজিতে বসে গত চারদিনে 'পড়ো পড়ো পড়ো' পড়া শেষ করলাম। হাজিপাড়া'র (আগ্রাবাদ) উজ্জলের কাছ থেকে নিয়ে প্রথম 'তিন গোয়েন্দা' পড়া। আমরা তখন আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি হাই স্কুলে পড়ি। তারপর স্কুলে যাওয়ার বাস ভাড়া থেকে প্রতিদিন ১ টাকা বাঁচিয়ে উজালা বুক স্টোর থেকে সিরিজের পরের বইটা কেনা। বায়েজিদ বোস্তামির সরকারি বাসা থেকে বেরিয়ে মুসলিম হাই স্কুলে আসার পথে ষোলশহর এসে বহদ্দারহাটের বাসে উঠলেই প্রতিদিন ১ টাকা বেঁচে যেত। স্কুল থেকে বেরিয়ে উজালা বুক স্টলেই ঘন্টা পার করে দেয়া, কিনতে না পারি কিছু পৃষ্ঠা পড়া আর কিছু উল্টাতে কেউতো মানা করেনা। অনেক পত্রিকা পাওয়া যেত, রিডার্স ডাইজস্টও। ততদিনে ২৪/২৫ টাকা হয়ে গেছে তিন গোয়েন্দার প্রতিটা বই। তারও আগে, মোর্শেদের ব্যাক্তিগত লাইব্রেরিতে আড়াই টাকায় মেম্বারশিপ নিয়ে ১ টাকায় একটা বই বাসায় নিয়ে এসে পড়তে শুরু করি, ক্লাশ ফোরে। তখন ছোটপুলে সিলভার বেলসে পড়তাম, এটি তখন কিন্ডারগার্টেন। মর্নিংশিফটের ক্লাশ সাড়ে এগারোটায় শেষ। তারপর লালদিঘীর ময়দানে ক্রিকেট, নয়ত পাবলিক লাইব্রেরি। মোশাররফের সাথে দুপুর পর্যন্ত সেখানে কাটিয়ে বাসায় ফেরা। কত ভারি, সুন্দর আর ঝকঝকে দামি কাগজে ছাপা- এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা। পত্রিকার কুইজের জবাব গুলো খুজে বের করার জন্য আর কিছুতো লাগেনা। সেই। কুইজের সঠিক উত্তরের পুরস্কার হিসেবে আবার কিছু বই উপহার। অবশ্য তার কয়েকটা বই আমার পছন্দ হয়নি। তবুও ফ্রি পেয়েছি বলে সব পড়ে ফেলা। কখনো নিউমার্কেট হয়ে, 'অমর বইঘরে'। কত কমদামে পুরনো বই পাওয়া যায়। বেশি মজা- যে বইগুলো অন্য কোথাও পাওয়া যায় না, সেই বইটিই সেখানে খুজে পাওয়া যায়। দেশ ছেড়ে যখন পড়তে যাই, তখনো বই নিয়ে যাই সাথে করে। মিকি ভাই 'জীবনানন্দ দাশের কবিতা সমগ্র' বইটা নিয়ে বলেছে আর ফেরত দেবে না। মনের ভেতর কষ্ট থাকলেও ভাবলাম উনি ছড়াকার, শিল্পী মানুষ, আমার চেয়ে ওনারই বেশি কাজে লাগবে বইটা। আর ফেরার পথে ইঞ্জিনিয়ারিং এর বইগুলো সাথে করে আনিনি বলে কি কষ্টটাই না লেগেছিল। দেশে ফিরে আমার কেনা, আর জমানো বইগুলোর একটাও পাইনি। কারা যেন নিয়ে গেছে। ছোটভাইয়ের মৃত্যুর সময়টাতে সবাই মাকে নিয়ে ব্যস্ত, আর এই সুযোগটাই কেউ কাজে লাগিয়েছে। চাকরি করতে ঢাকায় এসে প্রথম বইমেলা দেখা। এতবড় আয়োজন! চট্টগ্রামে আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। পকেট না, একাউন্টের সব টাকা খরচ করে বই কিনে আজিজ সুপার মার্কেটের মেসে ফেরা। রকমারি'র যুগে এসে, সারা বছরই কিছুনা কিছু বই কেনার চেষ্টা করা। কারণ বই কিনে নাকি কেউ দেউলিয়া হয়না। - এসবই আমার মনে পড়ে গেল এই 'পড়ো পড়ো পড়ো' পড়তে গিয়ে। অনেক ধন্যবাদ মুনির হাসান ভাইকে। ভাল লেগেছে বইটি পড়ে। পড়া, শোনা আর দেখার তালিকাটা যদিও করা হয়নি কখনো আমার, তবে 'পড়ো পড়ো পড়ো'র এই তালিকার অল্প কিছু বই বাকি আছে। কোন সুযোগে সেগুলো কিনে ফেলতে হবে :)। পড়া একদিন হবেই। আমার অবশ্য দেখার তালিকাটা অনেক লম্বা, আর লম্বা হতেই থাকবে। সেখানে সবাই আছে - সত্যজিত রায়, আলফ্রেড হিচকক, আকিরা কুরো সাওয়া, হুমায়ূন আহমেদ, জহির রায়হান। হুমায়ুনের সব বই পড়া না হলেও, সিনেমা গুলো সবই দেখা হয়েছে। এক-আধটু বই পড়ার সময় পাওয়া গেলেও, সিনেমা দেখার আর সময় পাওয়া যায় না এখন। মোয়াজ্জেম ভাই আর জুলুর মত সিনেমা দেখার পার্টনারও কাছে নাই। ডেস্কটপে সিনেমা দেখার চেষ্টা সেদিন করেছিলাম, মেয়ে বাবার কোলে উঠে কিবোর্ড তার দখলে নিয়ে নিয়েছে। বাবা 'তম' (Talking Tom) দাও না, 'তম' দেব্বতো (দেখবত)। Talking Tom তার দোস্ত মানুষ। যাইহোক 'পড়ো পড়ো পড়ো'তে ফেরত আসি - "খুবই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় হেড স্যার জানালেন সরকার বাহাদুর আমাদের নতুন ভবনের প্রস্তাব পাস করেছে! জীবনে সবচেয়ে বড় চিৎকারটা সেদিনই দিয়েছিলাম।" - এই লাইনগুলো পড়তে গিয়ে একটু মনে হয় ভেতরটা হুহু করে উঠল। আহা, এখনকার ছাত্র আন্দোলন? পর্তুগীজ সেই ভবনটা স্কুলে আমিও পেয়েছিলাম। আমরা অবশ্য নতুন ভবনেই ক্লাস করেছি। যাই হোক সব কিছুর পরও বই পড়া জারি থাকবেই। আর পেশাগত পড়াতো থাকতেই হবে। ERP টা এখনো ফ্যাক্টরি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েনি। অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে, এটা এবছর নিজের কাছেই নিজের চ্যালেঞ্জ। - আবারো ধন্যবাদ মুনির হাসান ভাইকে, বই পড়তে বলার জন্য।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md. Shafiul Alam Chowdhury,
23 Jan 2017
Verified Purchase
এই লেখাটাকে ঠিক বই রিভিউ বলা যাবে কিনা বুঝতে পারছি না, তবে মিশ্র কিছু একটাতো হবেই। আমার জীবনে আমি কখনও হাতের লেখা ভালো করতে পারি নাই, তবে যখন লিখি, তখন মনে হয় সুন্দরইতো হচ্ছে, কিন্তু রিভাইস দিতে গেলে বুঝি আমিই আমার হাতের লেখা বুঝতে পারছি না। আর অনলাইনে যে সব লেখা লেখি করি, সেটার জন্যও এই থিউরি প্রযোজ্য।
মুনির স্যারের সাথে পরিচয় ২০১১ বা ১২ সালে। প্রথম দেখা অবশ্য তারও আগে। কোন একটা বিতর্ক উৎসবে উনি “ডিজিটাল বাংলাদেশ” নিয়ে নানান কথা বার্তা বলেছিলেন, যদ্দুর মনে পড়ে আরকি। পরিচয়ের পর কথা হবার পরই বুঝেছি আমারমত নাদানের নাম উনি মনে রাখবেন এই যোগ্যতা কখনও হবে না। তবে কি করে কি করে স্যার এখন আমার নাম জানেন, সেটা আমার সৌভাগ্য। ফেসবুকে স্যারের প্রায় প্রতিটি পোষ্টই পড়ি, আসলে নোটিফিকেশন অন করে রাখা, স্যার পোষ্ট করলেই ফেসবুক আমাকে জানান দেয়। উনার লেখা অনেক কিছুই পড়েছি। তাই উনি যখন ঘোষনা দিলেন “পড়ো পড়ো পড়ো” নামে উনার একটা বই বের হবে, এবং যখন প্রি-অর্ডার শুরু হলো তখনই আমি অর্ডার করে রেখেছি। তবে বই পাবার পর বিভিন্ন ডামাডোলে* পড়া হয় নাই পুরাটা; ঠান্ডা ব্রেইনে পড়বো বলে। গতকাল বইটা শেষ করে আবার উল্টে পাল্টে দেখলাম। বইয়ের রিভিউয়ে আসি।
প্রথমেই বলি, বইটা কেন পড়বেন? সোজা বাংলায় বলতে হয়, মুনির হাসান স্যারকে আরও কাছ থেকে জানার জন্য পড়তে পারেন, কেন অন্য বই পড়বেন সেটা জানার জন্য পড়তে পারেন আবার এমন একজন আধুনিক চিন্তা চেতনার মানুষ কিভাবে আজকের “মুনির হাসান” হলেন সেটা জানতে পড়তে পারেন। আমার পড়ার মূল আগ্রহটা ছিলো এই মানুষটাকে আরও ভালো ভাবে জানার জন্য। স্যারের সাথে পরিচয়ের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি, সেই মানুষটা কিভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছেন সেটা জানতে পারাটা বলা যায় ডাবল বোনাস!
স্যারের মুখে একটা কথা অনেকবার শুনেছি, আমরা এখন বই পড়া জাতি থেকে স্ট্যাটাস পড়া জাতিতে পরিনত হয়েছি। উনার পুরা বইয়ে বারবার উনি নিজের বই পড়ার আগ্রহ, সেটার জন্য সকল চেষ্টার কথা যেভাবে বলেছেন, এখন মনে হয় একটা টাইম ম্যাশিনে করে পিছনে ফেরৎ চলে যাই, আবার শুরু করি। ভাবা যায়, একটা মানুষ কতটা বই পাগল না হলে একটা বিশ্ব বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে বই কি থাকবে সেটা একজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করা হয়? “পড়ো পড়ো পড়ো”তে স্যার বার বার ঘুরে ফিরে, পড়বার কথাই বলেছেন। আর যারা পড়তে চায়, তাদর জন্য শেষে যেই চমকটা স্যার রেখেছেন সেটার জন্য আমি সামান্যতমও প্রস্তুত ছিলাম না। এত্তো বড় একটা পড়ার লিষ্ট দিয়েছেন।
সাহিত্য কেন্দ্রে স্যারের সাবস্ক্রিপশন নেবার কথাটা উনার মুখেই আগে শুনেছি, আগেই বইয়ের অংশ বিশেষ তার ফেসবুক থেকে পেয়ে জেনেছি তার প্রথম লেখা ও সম্পাদনার কথা। তবে তার পড়ার এই আগ্রহ বা নেশার পিছনে তার মায়ের ভূমিকার কথা জানা ছিলো না। নেপোলিয়ানের Give me an educated mother, I shall promise you the birth of a civilized, educated nation, কথাটা যে কতটা যথার্থ তা এই বইয়ে মোটামুটি স্পষ্ট।
২০১৭ সালের মোটামুটি একটা হিডেন ইসতেহার ছিলো যে ৪০টা বই অন্তত পড়বো, এখন মনে হচ্ছে ৫২টা বই কম হয়ে যাবে, তবুও সেটা করতে হবে।
আমাদের ছাত্র-রাজনীতি বিমূখিতা নিয়ে কিছু চিন্তা এই বই পড়বার পর আমার মাথায় ঘুরছে। বর্তমান সময় এসে আমি-আমরা রাজনীতি করাটাকে, আন্দোলন করাটাকে বেশ খারাপ চোখে দেখি। নিজেরা যেমন সরাসরি রাজনীতির সাথে জড়াতে চাই না, অন্য কেউ জড়ালে তাকেও বাঁধা দেই; কিন্তু এই বই পড়ে আসলে এতটুকু অনুধাবন করেতে পেরেছি যে আমরা কি ভুলটা করছি! আজকে যারা শিক্ষিত বলে দাবী করি, তাদের ভবিষ্যতে চালিয়ে নিয়ে বেড়াবে আজকের নতুন নেতারাই। অর্থাৎ আজকে যাকে আমি হয়ত পছন্দ করছি না রাজনীতিক নেতা হিসাবে, আগামীকাল সেই হবে আমার নেতা, আমি হয়ত অনেক খারাপ কিছুর জন্য তাকে দোষারোপ করবো, কিন্তু ভুলটার শুরু করেছি আমিই।
বইটা না পড়লে জানাই হতো না যে “বুয়েট”এর মত কঠিন জায়গায় মানুষ কিভাবে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে বিশ্বাবিদ্যালয় ও দেশের জন্য কিছু করতে পারে। লেখা পড়া করা ভালো ছাত্র মানে এই না যে অন্য কিছুতে সময় দিতেই পারবে না।
বইটা পড়বার সময় একটা মজার অভিজ্ঞতা লাভ হয়েছে। সাধারণত সবাই বই পড়তে পড়তে বইয়ে পড়া দৃশ্যগুলি মাথার মধ্যে তৈরী করে নেন। তবে এই বইটা পড়তে গিয়ে বার বার কেন যেন মনে হয়েছে দৃশ্যেতো আছিই, সাথে স্যার যেন হাত নেড়ে তার স্বভাব সুভল ভঙ্গিতে কথাগুলি নিজের মুখেই বলছেন। স্যারকে যারা চিনেন, তারা আমার সাথে একমত হবেন আশাকরি। বইয়ের লেখার স্টাইলটা সম্পূর্ণ উনার কথা বলার ধরণের সাথে মিলে যায়।
সব শেষে এটাই বলবো, বইটা আমাদের পড়া উচিৎ। হাজারো তরুনকে যেই মানুষটা চাকরী না খুঁজে চাকরীদাতা হবার মত কাজে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন, দেশে বিজ্ঞানের বিপ্লব নিয়ে কাজ করে চলেছেন, তরুন প্রজন্মের পক্ষে কথা বলবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তার পিছনের ইতিহাস না জানলে আসলে তার সাথে একাত্বা হওয়া সম্ভব নয়। আর এই বই মুনির হাসান স্যারের সাথে একাত্ব হবার একটা সহজ পোর্টাল।
* স্যার তাই বইয়ে এই শব্দ এতবার ব্যবহার করেছেন যে এখানে লেখার সুযোগ পেয়ে নিজেকে থামাতে পারলাম না!
Read More
Was this review helpful to you?
By maruf morshed,
18 Sep 2017
Verified Purchase
পড়ো পড়ো পড়ো-মুনীর হাসান, বুক মিভিউ বইয়ের নাম শুনলে মনে হতে পারে, বোধ হয় ম্যাথ অলিম্পিয়াড, বা সায়েন্স অলিম্পিয়াডের বইয়ের লিস্টের বই বা সেখানে কিভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায় তার অনুপ্রেরনার বই। আসলে তা নয়। তবে যারা বুয়েটে পড়তে চায় তাদের অনুপ্রেরনা হতে পারে। সেই যে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথ। বুয়েটিয়ানরা ভালোমত স্মৃতিচারন ও করতে পারবেন। আমার মত মেডিকেল পড়ুয়াদের জন্য ইহা নয়। সিএমসিতে চান্স পেয়েও পড়েননি। আমিত বগুড়াতে চান্স পেয়েই খুশি। পড়তে পড়তে নিজের কথা ভাবি। কেমন ছিল প্রথমকার দিনগুলো। খারাপ জিনিস বেশি মনে থাকে। সেটা বাদ। প্রথম রাতেই শিহাবের সাথে পরিচয়। শিহাব আমি একই ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুলে পড়া। সৌরভ ছিল-সে একটু ভাবিস্ট আর অভিজাত ছিল। তাই শিহাবকেই পছন্দ হল। তা খাতির বাড়াতে গেলাম শিহাবের রুমে। বসলাম একটা বিছানায়। আগামীকাল অরিয়েন্টেশন, অনেকেরই অভিভাবক আজ আছেন। তো দেখি এক খোচা খোচা দাড়িওয়ালা চাচা লুংগী পড়ে রুমে ঢুকছেন। ভাবলাম শিহাবে চাচা টাচা হবে হয়তো। দিলাম সালাম। তা আংকেল বললেন বস। কিছুক্ষন পর জানতে পারলাম-উনি আংকেল টাংকেল কেউ নন। উনি শাহীদ আকন্দ। আরেকটা ঘটনা খুব মনে পড়ে। ছোটকাল থেকেই বয়েজ স্কুল কলেজে থাকার কারনে মেয়ে বা নারী আমার কাছে আশ্চর্য বস্তু। তা সেই আশ্চর্য বস্তুর সাথে বান্ধবী হিসেবে প্রথম কথা মনে না থাকার কথা না। স্থানটি ছিল কলেজ বিল্ডিং এর তিনতলা-আমরা ফিজিওলজী ক্লাস করে নামছিলাম। আমার পিছনে ছিল পাতলা অনিক। তখন ও পড়া বাদে আর কিছু করতো না। মেয়েটার পরনে ছিল লাল জামা, তাতে কালো কালো নকশা করা। চুলটা কোকড়ানো। তার প্রশ্ন আপনি কোন বই থেকে এনাটমি পড়েন? বাপরে বাপ বিশাল কঠিন প্রশ্ন। তা মাথাটা স্টোর্মিং করে সবচেয়ে সহজ বই মনে করে বললাম লাস্টস এনাটমি। মেয়েটির নাম ছিল চঞ্চলা। এখন বেচে আছে কিনা জানিনা। মুনীর হাসান স্যার হয়তো আমাদের ডাক্তারী মাপকাঠিতে সফল নন। মানে তিনি হয়তো বিদেশের কোন কলেজের প্রফেসর হননি, কিংবা কোটি কোটি টাকা কামাননি। কিন্তু দেশে ম্যাথ জনপ্রিয়করনে, বিজ্ঞানে জনপ্রিয়করনে তিনি অনেকের অনুসরনীয় হয়ে থাকতে পারেন। বইয়ের শেষে তার দেয়া কিছু বই, ছবি, গান ভাষণ এর তালিকা আছে, যা অনেক এর উপকারে আসতে পারে। পড়েশুনে একটাই দুঃখ হয় কেন আগে থেকে আউট বই পড়লাম না। অনেক যে পড়া বাকী।
Read More
Was this review helpful to you?
By shonali,
13 Apr 2024
Verified Purchase
বইটি আমি হাতে নিয়েছিলাম এই আশায় যে এই বই পড়ে গুছিয়ে পড়ালেখার প্রতি কোন আগ্রহ বা উৎসাহ জন্মাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি বেশ খানিকটা হতাশ হয়েছি। কেননা তার পড়ালেখা জীবনের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে একাডেমিক পড়ালেখার জায়গা দখল করে নিয়েছে বহির্মুখী বিভিন্ন কার্যক্রম। একাডেমিক পড়ালেখার প্রতি ভালো আগ্রহ জন্মাবে এমন তেমন কোন উদাহরণ তার এই বইয়ের ভিতরে পেলাম না অথচ বইটির নাম ,,,পড়ো পড়ো পড়ো,,, তিনি যে পড়ালেখা পড়ালেখার উদাহরণ স্থাপন করেছেন তা অনেকটা বিচ্ছিন্ন এবং এলোমেলো টাইপ পড়ালেখার । পুরো বইটা পড়ে আমার যা মনে হলো ওনার পড়ালেখার ধরনটা কিছুটা এলোমেলো টাইপের। এভাবে এলোমেলো পড়ালেখা করে মেধাবী এবং প্রতিভাবানরা নিজের মাথায় কিছু জমাতে পারলেও সাধারণ মেধাবীদের জন্য এতে তেমন কোন আদর্শ নেই বলে আমার মনে হয়েছে। অবশ্য শেষে কিছু বই এবং কিছু সিনেমার লিস্ট আছে যা কিছুটা উপকার করবে বলে মনে হচ্ছে। সবশেষে বইটা কিনে আমার টাকার কিছুটা অপব্যবহার হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md. Sakibur Rahman Sakib,
24 Nov 2019
Verified Purchase
মুনির হাসানের বই আমার ভালো লাগে। উনার লিখাগুলো অন্য ধাঁচের, গতানুগতিক না, ঠিক এই বইটাও তেমনি। যাদের স্বপ্ন বুয়েটে পড়া তাদের জন্য বইটি খুবই ভাল হবে। দিনরাত শুধু পড়াশুনা যারা করে তাদেরই যে বুয়েটে চান্স হবে এমন নয়, বইটি থেকে সে ধারণাই পাওয়া যায়। বুয়েটে যে সবাই শুধু পড়াশুনা করে এমন নয়, এর বাহিরেও ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক সামাজিক কাজকর্ম, অন্যান্য এক্সটা কারিকুলার এক্টিভিটিস সমূহ করেও যে বুয়েটে পড়া শেষ করা যায় লেখক তাই বুঝিয়েছেন। বইটি থেকে আশির দশকের রাজনীতি সম্পর্কেও জানা যায়। কি করে বুয়েটের কঠিন লাইফকে সহজে পার করা যায় বুঝা গেলো বইটি থেকে। যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি ব্যতিক্রম লেগেছে তা হলো লেখক বইয়ের শেষে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন আর তা হলো যেসব বই পড়তে পারি, কিছু সিনেমার তালিকা, কিছু গানের তালিকা, কিছু বক্তৃতার তালিকা ইত্যাদি।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Shakil Shaikh,
02 Jan 2020
Verified Purchase
very Inspiring book... I love this book, i alwys looking for motivational and self improvemnt books. This book in my area of interest. I belive this "The first and foremost benefit of reading self-help books is the experience puts the reader on a path to where they can read, practice the strategies learned, and make improvements in their lives without having to ask others for help."
Read More
Was this review helpful to you?
By Abdullah Al Shahariar,
01 Nov 2019
Verified Purchase
In this book, You will see the writer has shared some valuable quotes and information about bill gates. I think it is one of the best books about bill gates which has translated to Bangla. It may change your thinking quality. Thank you.
Read More
Was this review helpful to you?
By Saikat Tanu,
03 Dec 2020
Verified Purchase
জ্যানেট লো সবটুকু আনতে না পারলেও, বিল গেটসের জীবনের চুম্বকাংশ তুলে ধরতে পেরেছে। যা কি না অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Sakibul Hasan,
25 May 2021
Verified Purchase
খুবই সুন্দর অনুবাদ! অনুবাদককে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর ভাবে বইটি অনুবাদের জন্য। ?
Read More
Was this review helpful to you?
By Prasanta Chakraborty,
05 Apr 2022
Verified Purchase
শেষের দিকটা অতটা ভাল লাগেনি। তবে অনুবাদ ঠিকঠাক আছে।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী (স্ট্যান্ডার্ড) এর তুলনায় কি অসমাপ্ত আত্মজীবনী (ডিলাক্স) এর প্রিন্ট ভালো নাকি শুধুই একটি বক্সের পার্থক্য? এছাড়া আর কোনো তফাত নেই??Questioned by সামিউল ইসলাম সৌরভon 31 Mar, 2018
A:
সব গুলো বইয়ের প্রিন্ট একই রকম। Answered by Md. Mahmud Alamon 31 Mar, 2018
Q:
অসমাপ্ত আত্মজীবনী (ডিলাক্স) এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী (স্ট্যান্ডার্ড) এর মধ্যে পার্থক্য কী?
?Questioned by Turzo Zahidon 13 Dec, 2021
A:
ধন্যবাদ , ডিলাক্স কপিতে অতিরিক্ত বক্স আছে । স্ট্যান্ডার্ড কপি সাধারণ হার্ডকভার বই গুলো যেমন হয় সেরকম । Answered by Md. Mahmud Alamon 13 Aug, 2017
Q:
বইটিতে যে পেপার ইউজ করা হয়েছে সেটা হোয়াইট নাকি অফ-হোয়াইট পেপার??Questioned by প্রান্ত গুহon 08 Oct, 2024
৮ম সংস্করণ জুন ২০১৯।Answered by Al Amin Sarkeron 27 Jan, 2022
Q:
koto page er??Questioned by Muhtasim Tasfia Mahinon 23 Feb, 2022
A:
The Number of Pages 460.Answered by Al Amin Sarkeron 23 Feb, 2022
Q:
প্যাপার ব্যাক আর এটার মধ্যে পার্থক্য কী? ?Questioned by Fahad Ahammedon 15 Apr, 2018
A:
এই বইটি হার্ড কভারের ও আরো বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত। Answered by Md. Mahmud Alamon 15 Apr, 2018
Q:
অফসেট কাগজ না নিউজ প্রিন্ট ? ?Questioned by G.M.Farukon 21 Nov, 2020
A:
সাতা পাতার কাগজ। Answered by Md. Mahmud Alamon 21 Nov, 2020
Q:
পৃষ্টা কত টি ??Questioned by G.M.Farukon 17 Nov, 2020
A:
৯৫ পেইজ। Answered by Md. Mahmud Alamon 17 Nov, 2020
Q:
I want this book ?Questioned by md rabbi rahmanon 24 Jan, 2023
A:
Sorry, that will depend on the publisher. Please click on the "Request for reprint " option, when the publisher will reprint that book then you will be notified.Answered by Al Amin Sarkeron 24 Jan, 2023
Q:
have you any e copy??Questioned by naz****comon 13 Feb, 2024
A:
Dear customer, The book is available in stock—order before stock out. Thanks for your question.Answered by SG Shamim Ahmedon 13 Feb, 2024
Q:
এই বইটি কি বাংলায় লেখা ?Questioned by rid****comon 12 Nov, 2023
A:
প্রিয় গ্রাহক, বইটি বাংলা ভাষায় অনূদিত। ধন্যবাদ। Answered by Zakariya Arifon 12 Nov, 2023