দ্বিতীয় বাসর (হার্ডকভার)

মিতুর আজ বিয়ে। চারিদিকে সাজ সাজ হৈচৈ ব্যাপার-স্যাপার। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না মিতু। নিজেকে সেই ছোটবেলার বিয়ের পুতুল মনে হচ্ছে। বৌপুতুল সাজবার আগে তো মেয়েদের চোখে কত স্বপ্ন থাকে কিন্তু মিতুর চোখে কোন স্বপ্ন নেই। সেই ছেলেবেলায় মিতুর গায়ের রঙ ছিল দুধে আলতা বরণ। মিতুর দাদী তাই ওকে ডাকত হীরা নামে। গোসলের পর মিতুর গোলগোল গালগুলো যেন হীরার মতোই চকচক করতো। সেই হীরার গায়ের রঙ এখন ফিকে বর্ণ হয়ে গেছে সংসার আর কাজের চাপে।
মা মরা হতভাগী মেয়ে বাবার সংসারে তাই দিব্যি বসে বসে খাওয়া কপালে জোটেনি। মিতু যখন মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়ে তখনি তাদের মা চলে যান না ফেরার দেশে। ছোট ভাইয়ের বয়স তখন এক কি দেড় বছর। মিতু ও তার বোন মায়ের মতোই কোলে পিঠে বড় করে তুলেছে একমাত্র ভাইটিকে। মিতু মেঝো, বড় বোন সেতারার বিয়ে হয়ে যাবার পর মিতু একই সংসারের হাল ধরেছে। ইন্টার পড়ুয়া ছোট ভাই মুহিনের পড়াশোনার খরচ সে চালায়। বাবা ফজলুর রহমান সরকারি কলেজের শিক্ষক ছিলেন। রিটায়ার্মেন্ট এরপর কিছু টিউশন করান। তবে আগের মতো ছাত্র পড়াতে পারেন না।