রকিব হাসান বাংলাদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজের স্রষ্টা ও কিশোর-কিশোরীদের সেরা পছন্দের লেখকদের শীর্ষ তালিকার একজন। তাঁর মাধ্যমেই বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীরা গোয়েন্দা কাহিনি ও তিন গোয়েন্দা সিরিজের সাথে পরিচিত হতে থাকে। শুধু তাই নয়, তিনি বহু ক্লাসিক ও কিশোর রোমহর্ষক সিরিজের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক। লেখালেখির দীর্ঘ ৫০ বছরে চারটি প্রজন্ম অতিবাহিত হলেও আজও তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বি। মূলত তিনি নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন বিধায় মিডিয়ায় তাঁর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবুও প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে দেশ বিদেশে তাঁর লক্ষ লক্ষ পাঠকশ্রেণি রয়েছে। যাদের ছেলে-মেয়ে-নাতি-নাতনী এবং পরবর্তী প্রজন্মের কিশোর-কিশোরীদের কাছেও রকিব হাসান অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক। বর্তমান প্রজন্মের পাঠক-ভক্তদের কাছেও ‘তিন গোয়েন্দা সিরিজটি’ এবং ‘কিশোর, মুসা, রবিন’ চরিত্রটি অসম্ভব জনপ্রিয়। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও কিশোর-কিশোরীসের সেরা পছন্দের এই গুণী লেখকের জন্ম কুমিল্লায়, ১৯৫০ সালে। মূলত এক সময়ে পাঠকের হাতে স্বল্পমূল্যে বই তুলে দিতে এবং নিত্য নতুন পাঠক সৃষ্টি করতে ‘পেপারব্যাক সংস্করণে’ প্রকাশিত স্বনামে-বেনামে তাঁর লেখা বহু বই তিন দশক ধরে বেস্টসেলার ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল। আজও তাঁর প্রকাশিত বইগুলো সমান জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সকল কিছুকে ছাপিয়ে তাঁর ‘তিন গোয়েন্দা সিরিজটি’ এবং ‘কিশোর, মুসা, রবিন’ চরিত্র কালজয়ী জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। স্বনামে-বেনামে ও ছদ্মনামে এই তিন ক্যাটাগরিতেই তাঁর জনপ্রিয়তায় কোন ছেদ পড়েনি। তিনি সকল ধরনের মিডিয়া ও প্রচার প্রচারণাকে এড়িয়ে চলতে পছন্দ করতেন বলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই লেখকের ফেসটি তেমন পরিচিত নয়। কিন্তু আমরা বাস্তবতায় দেখেছি যে, যখন কোন পাঠক একটু জানতে পেরেছেন যে, রকিব হাসান বইমেলায় অমুক প্রকাশনীতে আছেন, তখন একে একে নিমিষেই প্রচÐ ভীড়ের সৃষ্টি হতো। এমনকি পাঠকের ভীড়ে তাঁকে খুঁজে পাওয়া দায় হয়ে যেতো। এই গুণী লেখকের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় পাঁচ শতাধিক। তাঁর লেখা প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৭৭ সালে, ছদ্মনামে। স্বনামে প্রথম প্রকাশিত বইটি ছিল অনুবাদগ্রন্থ, ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’। এরপর অনুবাদ করেছেন জুল ভার্ন, জিম করবেট, কেনেথ অ্যান্ডারসন, মার্ক টোয়েন, রবার্ট লুই স্টিভেনসন, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, ফ্রেড জিপসন, রেনে জুঁইঅ, এরিক ফন দানিকেন, ফার্লে মোয়াট, জেরাল্ড ডুরেল-এর মত বিখ্যাত লেখকদের অনেক ক্লাসিক বই। অনুবাদ করেছেন মহাক্লাসিক ‘অ্যারাবিয়ান নাইটস’ ও এডগার রাইস বারোজ- এর ‘টারজান’ সিরিজ। তাঁর লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছে ছোটদের নিয়ে রচিত ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজটি। এই সিরিজের তিনটি মূল চরিত্র ‘কিশোর-মুসা-রবিন’কে নিয়ে লিখেছেন আরও তিনটি সিরিজ ‘তিন বন্ধু’, ‘তিন কিশোর গোয়েন্দা’ ও ‘গোয়েন্দা কিশোর মুসা রবিন’। লিখেছেন ‘কিশোর গোয়েন্দা’ সিরিজ ‘খুদে গোয়েন্দা’ সিরিজ, জাফর চৌধুরী ছদ্মনামে ‘রোমহর্ষক’ সিরিজ এবং আবু সাঈদ ছদ্মনামে ‘গোয়েন্দা রাজু’ সিরিজ। এ ছাড়া কিশোরদের জন্য বেশ কিছু ভূতের বই ও সাইন্স ফিকশনও লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখা কিশোর-কিশোরীদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে এবং সেরা বিনোদন যোগায়। আমরা এই গুণী ও অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখকের সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মহান আল্লাহপাক আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করুন। আমীন।
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নাম: শ্বাপদের চোখ লেখক:রকিব হাসান প্রকাশন: সেবা প্রকাশনী প্রথম প্রকাশকাল: ২০০১ . (রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা সিরিজের "ভলিউম ৪৮" এর তিনটি গল্পের মধ্যে "শ্বাপদের চোখ" একটি) . সকালে ঘুম ভাঙ্গে কিশোরের। ভীষণ ক্লান্ত সে। চেহারাও হয়তো এই ক'দিনে কিছুটা বদলে গেছে, চুল গুলো উষ্কখুষ্ক..... সারা গায়ে কি জানি কি রকম একটা কষ্ট.... কি হয়েছে তার? কোথায় সে? মনে করার চেষ্টা করছে কিশোর। হ্যাঁ, জেল হাসপাতালে কিশোর!!!! কেন???? . রকি বীচ থেকে ওশেনসাইডে যাচ্ছে কিশোররা, রাশেদ পাশা, মেরিচাচী, আর মেরিচাচীর ভাইয়ের ছেলেমেয়ে দুইটা এরিক আর বেকি। শয়তানের হাড্ডি দুইটা! খালি দুষ্টামি! মেরিচাচীর ভাই মিস্টার হোমার একজন সরকারি উকিল। বোনের দায়িত্বে ছেলেমেয়েকে রেখে ইউরোপে বেড়াতে গেছেন স্ত্রীকে নিয়ে তিনি। এখন এই বিচ্ছু টাইপ ছেলেমেয়েকে দেখাশোনার জন্য একজন বেবি-সিটার প্রয়োজন। তারই প্রেক্ষিতে পত্রিকায় দেয়া হয় বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ওশেনসাইডে এসে হাজির হয় এক পরমা সুন্দরী মেয়ে! নাম ট্রিশ! ট্রিশ আন্ডারসন! বেশ মেয়েটি। কিন্তু শুরুতেই পরিচয় পর্বটাতে জমতে থাকে এক অজানা ভীতি!...... কিশোরের বিড়াল মিস্টার ডেভিল। কেমন জানি এক বিচ্ছিন্ন ভয় আর অজানা আতংক জমতে থাকে এই নিরিহ বিড়াল আর ট্রিশের অস্বাভাবিক আচরণে! ব্যাপারটা ঠিক পরিষ্কার হয়না কিশোরের কাছে... খাচায় রাখা প্রিয় দুইটা পাখি... সারাবেলা কিচিরমিচির করে, তাদের কলকাকলিতে মুখর থাকে পরিবেশ। কিন্তু,,,,,, হঠাৎ করে এমন কি ঘটে গেল যে এই দুইটা পাখি পর্যন্ত মৃতপাখির মত নিরব হয়ে গেল! শুরু হয় রহস্য। কিশোরের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির মাথায় ঢুকে যায় আগাম অশনি বার্তা! . সবাই বেশ পছন্দ করতে শুরু করে ট্রিশকে। এরিক আর বেকি তো ট্রিশ আপা বলতে পাগল। রাশেদ পাশা আর মেরিচাচীরও বেশ পছন্দ ট্রিশকে। কিন্তু খুঁতখুঁতে বুদ্ধিশালী কিশোরের ঠিক পছন্দ হয়না এই মেয়েটিকে... কেন? বেশকিছু দূর্ঘটনাও ঘটে যায় ক'দিনে... হঠাৎ করেঈ এক্সিডেন্টে মারা যায় মিস্টার ডেভিল! সত্যিই কি এক্সিডেন্ট ছিল? হঠাৎ করেই খাঁচায় জবাই করা অবস্থায় পাওয়া যায় সেই দুটি মিষ্টি পাখিকে! কে কোন কারণে জবাই করে এই নিরীহ পাখি দুটিকে? ধীরে ধীরে বেপরোয়া হয়ে ওঠে কিশোর.... হঠাৎ এক রাতে আশ্চর্য এক দৃশ্য চোখে পড়ে কিশোরের! ট্রিশের ঘরে উঁকি দেয় কিশোর, জাস্ট কৌতূহলবশত! কিন্তু একি!! ট্রিশ যে শূণ্যে ভাসছে!! কি করে সম্ভব???? কিশোরের মাথায় কি আবার সেই পাগলামির ধাঁচ ঢুকে গেল??? কি জানি, জানতে হলে পড়তে হবে! যোগসূত্র ঘটে রবিন আর মুসারও..... বেশ জমে ওঠে কাহিনী! পুরনো কিছু পত্রিকা ঘাটতে গিয়ে হঠাৎ করেই নাকেমুখে রক্ত বের হতে থাকে রবিনের! কি আশ্চর্য! কোন যোগসূত্রে এই ভয়ংকর ঘটনা? গাড়ি এক্সিডেন্ট করে নিথর দেহে পড়ে আছে মুসা! সে কি বেঁচে আছে??? আর কিশোর? কিশোর কোথায়? কোন ভয়ংকর বিপদে কি জড়িয়ে যাচ্ছে কিশোর? এরিক বেকি এরাও বা কেমন আছে? অনেক বছর আগেকার কোন ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনার বলি কি ওরাই হতে যাচ্ছে???? শুধুই উত্তেজনা! . #ব্যক্তিগত_মন্তব্য: যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন থেকেই পরিচয় এই তিনটা ছেলের সাথে! :) এত বেশী ভাল লাগত যে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে কিনতাম #তিন_গোয়েন্দা শ্বাপদের চোখ আমার সেই ক্লাস ফোরে পড়া বই.... পড়ে অবাক,ভয়ে বিভোর ছিলাম! সত্যি কথা, এখন পর্যন্ত এই তিন গোয়েন্দার বইয়ের প্রতি ভালবাসা সেই আগের জায়গায় অবস্থান করছে :)
Read More
Was this review helpful to you?
By murad,
23 Jul 2016
Verified Purchase
গণ্ডির মধ্যে বন্দি বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের নতুন এক জীবনের স্বাদ দিয়েছে তিন গোয়েন্দা। তিন গোয়েন্দার সঙ্গে একটির পর একটি জটিল রহস্য ভেদ করে অনায়াসে ঝালিয়ে নেওয়া যায় নিজের বুদ্ধি। ঘরে বসেই বেড়িয়ে আসা যায় আমাজনের জঙ্গলের নরমুণ্ডু শিকারিদের গ্রাম কিংবা জলদস্যুদের দ্বীপ থেকে। বেলুনে চড়ে আকাশে উড়ে বেড়াতেও নেই মানা। আবার মুক্তার খোঁজে মুসা আমানের সঙ্গে ডুব দেওয়া যায় সাগরে। এমন রহস্য-রোমাঞ্চের জগতের হাতছানি কজনই বা এড়িয়ে যেতে পারে। তাই তো তিন গোয়েন্দা অন্য সবার চেয়ে আলাদা, সবার এত প্রিয়। গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে, বৃষ্টিভেজা রাতে মোমবাতির আলোয়, কুয়াশাভরা শীতের রাতে লেপের নিচে আমি তাঁর সাথে হেঁটে বেড়িয়েছি কাশ্মীর, বার্লিন, মাদ্রিদ, নেপলস, প্যারিসের অলিগলি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি বারবার। তবুও হাঁটা থামে নি আমার। কত বন্ধু পেলাম তাঁর কারণে। স্বর্ণহৃদয় রডরিক আর ল্যাম্পনি, ক্যান্সারাক্রান্ত মেজর ফজল মাহমুদ, অসহ্য মাইকেল সেভারস, মোচওয়ালা ক্যাপ্টেন মিশ্রী খান, লেফটেন্যান্ট আতাসী, ছোট বোনের মত লুবনা আভান্তি, হাতকাটা সোহেল আহমেদ, ফ্রেঞ্চকাট দাঁড়ির ভিনসেন্ট গগল, ‘লড়েচ কি মরেচ’ গিলটি মিয়া এবং অতি অবশ্যই কাঁচাপাকা ভুরুর সেই বুড়ো যার নাম রাহাত খান। তিন গোয়েন্দা ভলিউম-৪৮ (হারানো জাহাজ, শ্বাপদের চোখ, পোষা ডাইনোসর গোয়েন্দা কাহিনী ।
রাকিব হাসান বাংলাদেশের একজন গোয়েন্দা কাহিনী লেখক। তিনি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তিন গোয়েন্দা নামক গোয়েন্দা কাহিনীর স্রষ্টা। তিনি মূলত মূল নামে লেখালেখি করলেও জাফর চৌধুরী ছদ্মনামেও সেবা প্রকাশনীর রোমহর্ষক সিরিজ লিখে থাকেন। থ্রিলার এবং গোয়েন্দা গল্প লেখার পূর্বে তিনি অন্যান্য কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি রহস্যপত্রিকার একজন সহকারী সম্পাদক ছিলেন।রকিব হাসান শুধুমাত্র তিন গোয়েন্দারই ১৬০টি বই লিখেছেন। এছাড়া কমপক্ষে ৩০টি বই অনুবাদ করেছেন। তিনি টারজান সিরিজ এবং পুরো আরব্য রজনী অনুবাদ করেছেন। তাঁর প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ ড্রাকুলা। রকিব হাসান লিখেছেন নাটকও। তিনি "হিমঘরে হানিমুন" নামে একটি নাটক রচনা করেন, যা টিভিতে সম্প্রচারিত হয়।
Read More
Was this review helpful to you?
By fahema,
02 Dec 2019
Verified Purchase
TIN GOYENDA, VOLUME 48. WRITER: ROKIB HASAN. PUBLISHED FROM SEBA PROKASHONI. FIRST BOOK IS HARANO JAHAJ. THREE INVESTIGATORS ARE IN GOBLE BEACH. THEY WERE ENJOYING THE SEA IN GINA'S ISLAND. THEN? WHAT IS TGE WRONG? WHAT IS THIS SHADOW UNDER WATER? COULD THEY FINISH THIS CASE? .... THE SECOND STORY IS SHAPODER CHOKH. WHAT HAPPENED WITH KISHOR? WHY HE IS THERE? COULD YOU BELIEVE THAT KISHOR IS A MENTALLY SICK BOY? WHO IS THIS GIRL? HER NAME IS TRESSY. WHAT IS THE WRONG WITH KISHOR? WHAT IS THE POWER OF THIS GIRL? ISN'T SHE HARMFUL? COULD EVERYONE UNDERSTAND IT? WHAT HAPPENED? .... THE THIRD STORY POSHA DINOSAUR. WHO IS DOING THIS? SABOTAGE? IS IT A SABOTAGE? THEN WHO IS THE SABOTAGER? WHO IS WORKING BEHIND THIS? COULD THE THREE INVESTIGATORS SILVE THIS CASE? WHAT HAPPENED WITH THEM? WHO? .... IF YOU WANT TO KNOW THE ANSWERS OF THESE QUESTIONS, YOU NEED TO READ THE WHOLE BOOK... FOR ITS THRILLER I AM GIVING IT 99.5/100.