Close
  • Look inside image 1
  • Look inside image 2
  • Look inside image 3
  • Look inside image 4
  • Look inside image 5
আমার আছে জল image

আমার আছে জল (হার্ডকভার)

হুমায়ূন আহমেদ

TK. 150 Total: TK. 113
You Saved TK. 37

down-arrow

25

আমার আছে জল

আমার আছে জল (হার্ডকভার)

27 Ratings  |  20 Reviews
wished customer count icon

201 জনের প্রিয় তালিকায় আছে বইটি

"আমার আছে জল"বইটির প্রথমের কিছু অংশ:
রেল স্টেশনের এত সুন্দর নাম আছে নাকি? “সােহাগী”। এটা আবার কেমন নাম? দিলু বললাে – আপা, কি সুন্দর নাম দেখেছ?
| নিশাত কিছু বললাে না। তার ... See more

TK. 150 TK. 113 You Save TK. 37 (25%)
in-stock icon In Stock (only 3 copies left)

* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন

পাঠকেরা একত্রে কিনে থাকেন

plus icon plus icon equal icon
Total Amount: TK. 968

Save TK. 362

এই ই-বুক গুলোও দেখতে পারেন

বইটই

বইটির বিস্তারিত দেখুন

"আমার আছে জল"বইটির প্রথমের কিছু অংশ:
রেল স্টেশনের এত সুন্দর নাম আছে নাকি? “সােহাগী”। এটা আবার কেমন নাম? দিলু বললাে – আপা, কি সুন্দর নাম দেখেছ?
| নিশাত কিছু বললাে না। তার ঠাণ্ডা লেগেছে। সারারাত জানালার পাশে বসে ছিলাে। খােলা জানালায় খুব হাওয়া এসেছে। এখন মাখ। ভারভার। কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তাে নাক দিয়ে জল ঝরতে শুরু করবে। দিলু বললাে – আপা, স্টেশনের নামটা পড়ে দেখ না। প্লীজ।
পড়েছি। ভাল নাম। দিলুর মন খারাপ হয়ে গেলাে। সে আশা করেছিলো নিশাত আপাও তার মত অবাক হয়ে যাবে। চোখ কপালে তুলে বলবে – ও মা, কেমন নাম! কিন্তু সে আজকাল কিছুতেই অবাক হয় না। কথাবার্তা বলে স্কুলের জিওগ্রাফী আপার মত। নিশাত বললাে - দিলু, দেখ তাে বাবু কোথায়? দুধ খাবে বােধহয়।
| দিলু বাবুকে কোথাও দেখতে পেলাে না। এমন দুষ্ট হয়েছে। ওয়েটিং রুমে যাপটি মেরে বসে আছে হয়তাে। কাছে গেলেই টু দেবে। ধরতে গেলেই আবার ছুটে যাবে।
ওয়েটিং রুমের সামনে একগাদা জিনিসপত্রের সামনে বাবা দাঁড়িয়ে আছেন। বিরক্ত মুখ। তিনি দিলুকে দেখেই বললেন - একেকজন একেক দিকে চলে গেছে। ব্যাপারটা কি? তাের মা কোথায়?
জানি না তাে। তাের মাকে খুঁজে বের কর।
আমি পারব না বাবা, আমি বাবুকে খুঁজছি। ' | বাবুকে খুঁজলে তাের মাকে খোঁজা যাবে না – এরকম কথা কোথাও লেখা আছে?
সবাই আজ এরকম করে কথা বলছে কেন? কোথাও বেড়াতে গেলে সবার খুব হাসিখুশি থাকা উচিত। কিন্তু এখানে সবাই কেমন রেগে কথা বলছে। রাগটা তার উপরই। ট্রেনে মা তিনবার বললেন – দিলু পা নাচাচ্ছ কেন? পা নাচানো একটা অসভ্যতা। চুপ করে বস। পা নাচাননার মধ্যে আবার সভ্যতা-অসভ্যতা কি? যত আজগুবি কথা।
দিলু।
বল।
Title আমার আছে জল
Author
Publisher
ISBN 9844540011
Edition 20th Published, 2016
Number of Pages 64
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা

Sponsored Products Related To This Item

Reviews and Ratings

4.4

27 Ratings and 20 Reviews

5

18

4

6

3

6

2

0

1

0

sort icon

হুমায়ূন আহমেদের 'আমার আছে জল' আমার জন্য একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা। এই বইটি আমাকে অনেক উত্সাহ এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছে।

এই বইটি আমাদের একটি ভাল গল্প বলে যে কিভাবে মানুষ সবসময় আশার দিকে তাকিয়ে থাকে। আমাদের জীবনে অনেক কিছু আছে যা আমরা নিজের চোখে দেখতে পারি না। কিন্তু এই বইটি আমাদের শিখিয়েছে যে সবসময় আমাদের হৃদয়ে আশা থাকা কতটি গুরুত্বপূর্ণ।

গল্পটি বাকের ভাই নামের একজনকে নিয়ে, যিনি রাস্তায় বিশুদ্ধ পানি বিক্রি করেন। তাকে তার জীবনে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, কিন্তু সে কখনো হাল ছাড়ে না। বইটি সম্পর্কের গুরুত্ব এবং কীভাবে সম্পর্ক আমাদের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে তাও তুলে ধরে।

হুমায়ূন আহমেদ একজন দক্ষ গল্পকার এবং তিনি তার ব্যতিক্রমী লেখার দক্ষতা দিয়ে এই বইটি সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন। মানুষের আবেগের সারমর্মকে সহজ সাবলীলভাবে উপস্থাপন করার তার ক্ষমতা সত্যিই প্রশংসনীয়।

সামগ্রিকভাবে, যারা একটি হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটি গল্প খুঁজছেন তাদের কাছে আমি এই বইটির রিকমেন্ড করব। এটি অবশ্যই আপনার মনের উপর একটি ছাপ রেখে যাবে।

Read More

Was this review helpful to you?

বইটি অসম্ভব সুন্দর। লেখার মান নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা আমার নেই?
সব মিলিয়ে বইটি অনন্য, নির্দ্বিধায় কিনতে পারেন।
বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না।

Read More

Was this review helpful to you?

বইটির মর্মার্থ অসীম যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না..

Read More

Was this review helpful to you?

আমার খুব পছন্দের একটা উপন্যাস❤️

Read More

Was this review helpful to you?

.......................?

Read More

Was this review helpful to you?

অসম্ভব সুন্দর একটি বই!

Read More

Was this review helpful to you?

wow so nice

Read More

Was this review helpful to you?

Valoi

Read More

Was this review helpful to you?

Good

Read More

Was this review helpful to you?

#রকমারি_বইপোকা_বুক_রিভিউ


উপন্যাসঃ “আমার আছে জল”
লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ

আসবেনা তুমি, জানি আমি জানি
অকারণে তবু কেন কাছে ডাকি?
কেন মরে যাই তৃষ্ণাতে
এসোনা চলো জলে ভিজি, শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিতে !!

ভালোবাসা আর বিচ্ছেদ মুহ্যমান সত্য আর আজন্মকালের, কখনো হারিয়ে ফেলি তো কখনো ফিরে পাই বিদ্যুৎ চাঞ্চল্যতায় ভালোবাসার অদল-বদল পাল্টায় জীবনের গতিময়তা, পাল্টায় জীবনের স্বাভাবিক রং। কিন্তু কখনো মরে যাওয়া ফুলকে বাঁচাতে গিয়ে সদ্য ফুটে ওঠা ফুলকে হত্যা করে ফেলি।

হুমায়ুন আহমেদ রচিত ‘আমার আছে জল’ এখানে দেখা যায় এক পরিবার বেরাতে যায়, ট্রেন থামে ‘সোহাগী’ নামক জংশনে। ট্রেন থেকে নেমে চরিত্ররা নানা দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই কাহিনী শুরু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশের আইজি, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে নিশাত ও দিলশাত, তাদের সাথে যায় দূরসম্পর্কের জামিল, আইজির সঙ্গী ওসি কামরুল, একজন গৃহকর্মী ও নিশাতের মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য এক মহিলা। নতুন সঙ্গী হয় সাব্বির নামক এক ফটোগ্রাফার; সে সম্প্রতি দেশে এসেছে, এমনকি নিশাতের মা নিশাতের সাথে তার বিয়ে দিতে চান। নিশাতের স্বামী মারা যাওয়ার পর সে বেশিরভাগ সময়ই চুপচাপ থাকে, এমনকি তার বাবা-মাও তাকে খানিকটা ভয় পায় তার রাগান্বিত স্বভাবের জন্য। যদিও ছোট বেলা থেকেই জামিলকে যে ভালোবাসে কি না সেটা তার নিজের কাছেই অস্পষ্ট। অপর দিকে, জামিল আজ পর্যন্ত তাকে ভালোবেসে এসেছে। ছোট বোন দিলশাত, ডাক নাম দিলু খুবই চঞ্চল। সে জামিলের প্রেমে বিভোর, যদিও জামিলের বয়স তার সয়স থেকে তিনগুণ। নিশাতের জামিলের সাথে দিলুর কথা বলায় দিঘল আপত্তি আছে। জামিল কম পড়াশোনা করায় নিশাতের পরিবারের কাছে উপেক্ষিত, যদিও জামিল তাদের পরিবারের ভালো মন্দ খেয়াল রাখে।

অন্যদিকে, সাব্বির খুব তাড়াতাড়ি সকলের মন জয় করে নেয়। সাব্বিরের নিশাকে ভালো লাগে কিন্তু নিশাত খুব বেশি পাত্তা দেয় না। এখানে নিশাত চরিত্রের মানসিক টানাপোড়েন একটা বিরাট রহস্য, তার মনঃদ্বন্দ্ব নিজেও ভালোভাবে বোঝে না। অন্যরা তাকে প্রায়ই ভুল বোঝে। দিলুর সয়স কম হওয়ায় আবেগের বশে সে অনেক কিছুতে উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া দেখায়। তার মানসিক দ্বন্দ্ব এক সময় ভিন্নধর্মী ট্র্যাজেডিতে রূপান্তর হয়। এক রাতে নিশাত দিলুকে তার ক্লাস নাইনে পড়ার একটা ঘটনা বলে : সে জানায় জামিলের সাথে সে পালিয়ে বিয়ে করতে চাইলেও কবিরের সাথে তার বিয়ে হয়। এতে দিলুর মন ভেঙ্গে যায়। কৈশোর প্রাণ দিলু এসব মেনে নিতে না পেরে সেই প্রকান্ড বাড়িতে অবস্থিত জ্যোৎস্নাস্নাত পুকুরে ডুব দেয় নিথর দেহ ভেসে যায় ভালোবাসার অবাঞ্চিত স্রোতে।
হয়তোবা এই উপন্যাস কালজয়ীর খাতায় থাকবেনা
কিন্তু সেরা নিমার্ণ হয়ে চিরস্মরণীয় থাকবে।

” সখি ভালোবাসা কারে কয়,
নদীর জলে ভালোবাসা খোঁজার কি কোন অর্থ হয়? “

তাই , দিলু ,মর্মবিদ্ধ প্রাণের মতো বলতে কি পারে নাহ
“ আমার আছে জল । ”

Read More

Was this review helpful to you?

কয়েকদিন ধরে এমন এমন বই পড়ছি যেগুলো আপনাকে ভীষণ ভাবে ভাবাবে এবং আজকে হঠাৎ ধরলাম এ বইটি এবং সেই একই অনুভুতি ভিতর থেকে পেলাম। হুমায়ূন আহমেদ এর লিখা গুলো এমন ভাবে মনে দাগ কেটে যায় তা আর বলার থাকে না। রিভিউ লিখাও খুব কষ্টসাধ্য। এখানে কাহিনী সংক্ষেপ এ কাহিনীর পুরাটাই তুলে ধরেছি তাই স্পয়লার না পেতে চাইলে শুধু শেষের মতামত টুকু পড়ে নিতে পারেন।


কাহিনী সংক্ষেপঃ
গল্পটি দিলুকে কে নিয়ে। ১৪ বছরের এর মেয়ে, তার হঠাৎ বড় হয়ে যাবার কথা,
ছোটবেলার প্রেমে পরার কথা নিয়ে।

সোহাগী নামক এক রেল স্টেশনে এসে নামলেন ওসমান সাহেব। ঘুরতে এসেছেন, সাথে তার পরিবার। বাইরের লোক ও আছে দুজন জামিল ভাই আর সাব্বির।
এই জামিল ভাই দিলুর খুব প্রিয় একজন মানুষ, তার মজার গল্প, ভুতের গল্প, ধাঁধা সবই ভাল লাগে দিলুর। আর জামিলও দিলু দের সাথে ছোট বেলা থেকে আছে, তার বন্ধুর সাথেই দিলুর বড় বোন নিশাত এর বিয়ে হয়ছিল।

ওদিকে আছে সাব্বির যে ১১ বছর পড়ে দেশে এসেছে, নেশা হচ্ছে ছবি তোলা, নিশাতের মা তাকে জোর করে নিয়ে এসেছেন সাথে ঘুরাবেন বলে কিন্তু মনে তার অন্য চিন্তা, যদি নিশাতকে পছন্দ করে বিয়ে করতে চায় সাব্বির তাহলে বেশ হবে।
সাব্বির কে ডেকে নিশাত কয়েকটা ছবি তুলে দেওয়ার আবদার জানায়, সাব্বির তাকে বলে লাল শাড়ি পড়ে পুকুরে সাতার দিতে, মৎস্য কন্যার মত লাগবে তাকে। কিন্তু দিলু সাতার পারে না, তাই ওভাবে ছবিও তোলা হয়ে উঠে না।

ঘুরতে যেয়ে নিশাত দিলু আর জামিল কে বেশ এক সাথে থাকতে দেখে, সে বুঝতে পারে দিলু লোকটির প্রতি মুগ্ধ হয়ে পরছে, প্রেমে পরছে। ওদিকে এই জামিলের প্রতি নিশাত ও আকৃষ্ট ছিল তার বয়সে কিন্তু পড়ে একটু বড় হয়ে তার প্রতি ওরকম কিছু টান না থাকলেও এখন বুঝতে পারে তার প্রতি এখনও গভীর টান অনুভব করে সে। ওদিকে দিলুও জানে যে জামিল ভাই নিশাত কেই অনেক ভালবাসে। নিশাত ও দিলু কথা বলাতে সব কথা বলে নিশাত দিলুকে। দিলুও তার মাকে যেয়ে বলে তাই ভাল হবে অনেক।

পরের দিন খুব ভোরে সাব্বির দিলুকে পায় লাল ফ্রকে সবুজ পানির উপরে, অসাধারণ ছবির কম্পোজিশন পায়, এমন ছবি তুলতে পারলে যেকোনো ফটোগ্রাফার এর জীবন ধন্য হয়ে যাবে। কিন্তু সাব্বির ছবিটা তুলতে পারে না... চীৎকার করে সবাইকে ডাকে।

মতামতঃ
অসাধারণ একটা গল্প, হুমায়ূন আহমেদ সাধারণ এর মাঝে অসাধারণ টুকু খুব ভাল করে বুঝতে পারতেন, এবং গল্পের মাঝে তাই এসেছে। একই পরিবারের দুই বোনের সম্পর্ক, বড় বোনের জন্য ছোট বনের ত্যাগ সবই এসেছে।
অন্য কারও হাতে এমন গল্প এত অসাধারণ হত না, এর জন্যই তো ‘হুমায়ূন আহমেদ’ হুমায়ূন আহমেদ হয়েছেন। গল্পে পড়ে যা অনুভব করেছি তার সিকিভাগও রিভিউতে তুলে ধরতে পারিনি। মাঝে অনেক অনেক সুন্দর দৃশ্য আছে যা অনেক ভাল লাগবে। অনেক, অনেক সুন্দর কাহিনী এটি। আপনি যদি বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন তাহলে টিস্যু পেপার সাথে রাখবেন। এবং না পড়ে থকলে পড়ে নিবেন বইটি। অসাধারণ কিছু সময় কাটবে বইটির সাথে।

Read More

Was this review helpful to you?

আমি যখন নাইন- টেনে পড়ি তখন মাঝেমধ্যেই দাদি মজা করে বলতো "এই বয়সে মনের মধ্যে রং লাইগা থাকে,মরদা কুত্তা দেখলেও মনে ধরে। পিরিত করবার মন চায়। নাগরটাগর পাইছো নাকি?"
আমি লজ্জা পেতাম। মনে মনে বয়সের হিসাব কষতাম। মনে কাউকে ধরলো নাকি বুঝার চেষ্টা করতাম কিন্তু,,,,!
এক ছোট ভাইয়ের থেকে পাওয়া বই "আমার আছে জল" । নাম জেনে ভেবেছি রোমান্টিক ধাচের কোনো বই হবে । কল্পনাও করেছি কতো, নায়িকা আর নায়ক হয়তো এ ওর হাত ধরে জোসনাবিলাস করবে বসে বসে। মেয়েটা কোনো এক বাধানো ঘাটের সিড়িতে বসে পা ডুবিয়ে রাখবে পানিতে। হুট করে পানি ছিটিয়ে কাকভেজা করে দেবে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটিকে। ন্যাকামী সুরে বলবে আমার আছে জল,আমার আছে জল।
বই খুলে পড়া শুরু করলাম, একটা রেলস্টেশনের নাম নিয়ে কথা বলছে দিলু নামের একটা মেয়ে তার বড় বোন নিশাতের সঙ্গে। দিলুর বয়স পনেরো।উচ্ছ্বল,হাসি-খুশি, সরলা মেয়ে সে। নিশাত তার উল্টো বদমেজাজি আর একগুয়ে। বাবু নামের একটা ছেলে আছে তার। বিবাহিত জীবনে মন থেকে ভালোবাসতে পারেনি তার স্বামী কবিরকে। ভালোবাসবেই বা কিভাবে? একজনকে বুকে পুষে অন্যজনকে ভালোবাসা যায়! কেউ একজনকে সে ভালোবেসেছিল ভয়ঙ্কর সেই পনেরো বছর বয়সে। অল্প বয়সেই মারা যায় কবির।
দিলুর পরিবার পিকনিক করতে যাচ্ছে নীলগঞ্জ নামের এক গ্রামে। ওদের সাথে যোগ হয়েছেন সাব্বির এবং জাবেদ নামের দুই কাজিন।
সাব্বির ইনজিনিয়ার,ফোটোগ্রাফিতেও বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। নিশাতকে ভালোবাসেন তিনি।
জাবেদ শিক্ষকতা করেন। গল্পটল্প করে মানুষকে মুগ্ধ করা বিশেষ এক ক্ষমতা আছে তার। দিলুও তার ব্যাতিক্রম নয়। মন্ত্রমুগ্ধের মতো প্রেমে পড়ে যায় জাবেদের। সবাই মিলে ভালোই কাটছিল পিকনিকের দিনগুলি।
হঠাৎ এক দূর্ঘটনা,এলোমেলো হয়ে গেল সব।
দিলু,নিশাত,নাইন টেনে পড়ার সেই বয়স, আহ্!
পাঠ পতিক্রিয়াঃ
ঘোর ঘোর লাগছে কেমন! অনুভূতিহীন হয়ে গেছি! ৬৪ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটা বই,ছোট্ট একটা গল্প একটা মানুষকে অনুভূতিহীন করে দেয় কিভাবে?
পড়ে দেখুন "আমার আছে জল"।

Read More

Was this review helpful to you?

#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতাbr
বইয়ের নামঃআমার আছে জল
লেখকঃহুমায়ূন আহমেদ
ধরনঃসমকালীন উপন্যাস
প্রকাশনীঃশিখা প্রকাশনী
প্রচ্ছদ ও অলংকারঃসমর মজুমদার
মূল্যঃ৮০ টাকা
রেল স্টিশনের নাম "সোহাগী" এই স্টেশন থেকে উপন্যাস এর শুরু।
রিটায়ার্ড আইজি ওসমান সাহেব তার স্ত্রী, দুই মেয়ে নিশাত, দিলু, আর ও আছে নিশাতের শিশুকন্যা, দুই যুবক একজনের নাম জামিল অন্য জন সাব্বির। সাব্বির একজন প্রবাসী ফটোগ্রাফার। এছাড়া ও সাথে দুইজন কাজের লোক এবং তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন সোহাগী থানার ওসি।
ওসমান সাহেব সপরিবার নীলগঞ্জ ডাকবাংলো ছুটি কাটাতে এসেছেন।
এই উপন্যাসটা মুলত দিলু এবং নিশাতকে নিয়ে এরাই গল্পের প্রধান চরিত্র।
নিশাত,,
অসম্ভব রুপবতী একটা মেয়ে। বিয়ের কয়েক বছর পরই তার স্বামী মারা যায়।তার স্বামী ছিল কবির। আমুদে ছেলে।হৈচৈ করতো সবসময়। প্রচুর মিথ্যে কথা বলতো।নিশাতের মতে কবির এমন ছেলে যে পৃথিবীর যে-কোনো মেয়েকে বিয়ে করেই সুখী হতো।এই সব ছেলেদের সুখী হওয়ার ক্ষমতা অসাধারণ।কিন্তু  নিশাত সুখী হতে পারেনি।
দিলু,,,
দিলুর বয়স চৌদ্দ বা পনেরো। এই বয়সে চেনা মেয়েগুলিকে ও অচেনা লাগে।বড় বেশি আবেগী মেয়ে অল্পতেই তার চোখে পানি আসে।
ডাকবাংলোতে আসার পর থেকেই দিলু জামিলের প্রতি অন্য এক টান অন্য রকম অনুভূতি অনুভব করতে থাকে।
দিলুর মা রেহানা বেগম সেটা বুঝতে পারেন এর জন্য তিনি বিরক্ত হয়ে আছেন।
এদিকে ফটোগ্রাফার সাব্বিরের নিশাতকে পছন্দ হয় এবং সে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়।
নানা ঘটনার পর জামিল এর সাথে নিশাতের সম্পর্কের কথা জানতে পারে।
এখন কি করবে দিলু?  জামিল বা পরিবারকে জানাবে কি তার ভালবাসার কথা।
সুন্দর একটা বই যারা পড়েননি পড়ে ফেলুন তারাতারি।

Read More

Was this review helpful to you?

স্টেশনের নাম "সোহাগী"। স্টেশনের নাম এতো সুন্দর হয় দিলুর আগে জানা ছিলো না। বাবা ওসমান সাহেব, মা, বড় আপা নিশাত আর নিশাতের মেয়ে- সবাই একসাথে বেড়াতে এসেছে। ও হ্যাঁ সাথে সাব্বির আর জামিল নামেও দুটি ছেলে আছে। উদ্দ্যেশ্য নীলগঞ্জ ডাকবাংলোয় ছুটি কাটানো।

দিলু মেয়েটির বয়স মাত্র ১৪ বছর। খুব বেশি আবেগি। অল্পতেই চোখে পানি চলে আসে। আসলে এই বয়সের মেয়েদের সহজে বোঝা যায় না। তারা কি চায় না চায় কিছুই বুঝে উঠা যায় না। গল্পের দিলু ঠিক তেমনই একটা মেয়ে।
নিশাত দিলুর বড় বোন। অপূর্ব সুন্দরী একটা মেয়ে। নিশাতের স্বামীর নাম কবির। কবির জামিলেরই বন্ধু ছিলো। নিশাতের বিয়ের কয়েক বছর পরই স্বামী মারা যায়। এরপর থেকে মেয়েকে আকড়ে ধরে জীবন কাটাতে শুরু করে নিশাত।

এইতো গেলো নিশাত আর দিলুর পরিচয়। ওদের সাথে থাকা সাব্বির নামের ছেলেটি বিদেশ থাকে। প্রায় এগারো বছর পর দেশে এসেছে। ছেলেটি শখের ফটোগ্রাফার। দিলুর মায়ের ইচ্ছা সাব্বিরের সাথে নিশাতের আবার বিয়ে দেয়া, নিশাতের জীবন আবার নতুন করে শুরু করে দেয়া। আর এই উদ্দ্যেশেই মূলতঃ সাব্বিরকে তাদের সাথে এনেছেন তিনি।

কিন্তু নিশাত আর জামিল দুজন দুজনের প্রতি দূর্বল। আর কেউ না বুঝলেও ব্যাপারটা দিলু ঠিকই ধরতে পেরেছে। আসলে নিশাত ছোট থাকতে জামিলকে পচ্ছন্দ করতো। কিন্তু বিয়ে হয়ে যায় কবিরের। এতো বছর পর আবার সেই ভালবাসা জেগে উঠে জামিলের প্রতি।
কিন্তু নিশাতের মা সাব্বিরের সাথে বিয়ে দিবে বলে ঠিক করে রেখেছেন। আর জামিলকে ভালবেসে ফেলেছে কিশোরী দিলু। ঘটনার মোড় ঘুরে যায় অন্যদিকে......! কি হয় তারপর???

Read More

Was this review helpful to you?

হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লিখিত বই গুলোর মধ্যে "আমার আছে জল" বইটি সর্বপ্রথম পড়েছিলাম। আজ পর্যন্ত স্যারের অন্যান্য অনেক বই পড়া হলেও, এই বই এর প্রতি কেমন এক আলাদা অনুভূতি আছে।

বই এর প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বিচিত্রতা। গল্পের কাহিনির মধ্যে আছে আলাদা এক ভাব। বই পড়া সবসময়ই হয় কিন্তু খুব কম সংখ্যক বই ই আছে যা মনের মধ্যে এক গভীর ছাপ ফেলে যেতে পারে। "আমার আছে জল" বই টি সেই সকল বই এর মধ্যে একটি।

Read More

Was this review helpful to you?

Show more Review(s)

Product Q/A

Have a question regarding the product? Ask Us

Q:

hard cover ? ? Questioned by irf****com on 18 Mar, 2024

A:

প্রিয় গ্রাহক, জি, বইটি হার্ডকভার। ধন্যবাদ। Answered by Rafid Ahmed on 18 Mar, 2024

Q:

vaia,boita abr kobe asbe?ami urgently nite chai? Questioned by JUAIRIA JARA on 03 Nov, 2021

A:

দুঃখিত, বইটা বর্তমানে ছাপা নেই। প্রকাশনীতে নতুন করে ছাপানো হলে তখন থেকে পাওয়া যাবে। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন। Answered by Al Amin Sarker on 03 Nov, 2021

Q:

কত পৃষ্টা বইয়ের?? Questioned by মুহাম্মাদ ইতকান on 26 Oct, 2021

A:

Number of Pages 64 Answered by Al Amin Sarker on 26 Oct, 2021

Customers Also Bought

loading

Similar Category Best Selling Books

prize book-reading point
Superstore
Up To 65% Off

Recently Viewed

cash

Cash on delivery

Pay cash at your doorstep

service

Delivery

All over Bangladesh

return

Happy return

7 days return facility

0 Item(s)

Subtotal:

Customers Also Bought

Are you sure to remove this from bookshelf?

Write a Review

আমার আছে জল

হুমায়ূন আহমেদ

৳ 113 ৳150.0

Please rate this product